আজিজি মসজিদ, উত্তর সুমাত্রা
আজীজি মসজিদ | |
---|---|
Masjid Azizi | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
প্রদেশ | উত্তর সুমাত্রা |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | তেনজাং পুরা,উত্তর সুমাত্রা ইন্দোনেশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩°৫৩′২৯″ উত্তর ৯৮°২৫′২৬″ পূর্ব / ৩.৮৯১৫২৬° উত্তর ৯৮.৪২৩৯৭৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | মুঘল স্থাপত্য |
ভূমি খনন | ১৮৯৯ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৩ জুন, ১৯০২ |
নির্মাণ ব্যয় | ২০০,০০০ রিংগিত |
বিনির্দেশ | |
সম্মুখভাগের দিক | পশ্চিম |
ধারণক্ষমতা | ২,০০০ |
দৈর্ঘ্য | ২৫ মিটার (৮২ ফু) |
প্রস্থ | ২৫ মিটার (৮২ ফু) |
উচ্চতা (সর্বোচ্চ) | ৩০ মিটার (৯৮ ফু) |
গম্বুজসমূহ | সর্বমোট ২১, ৪ প্রথান গম্বুজ |
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে) | ২০ মিটার (৬৬ ফু)[১] |
মিনার | ১ |
মিনারের উচ্চতা | ৬০ মিটার (২০০ ফু) |
আজিজি মসজিদ, উত্তর সুমাত্রা ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানদের একটি উপাসনালয়। যা তেনজাং পুরা, উত্তর সুমাত্রায় অবস্থিত। এটি ছিল লাংকাট সালতানাতের রাজকীয় মসজিদ।[২]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
লাংকাট সালতানাতের উনিশ শতকের শেষের শাসক এবং টেংকু সুলতানের হাজী মুসা আল-খালিদী আল-মুয়াজজম সিয়াহর পুত্র টেংকু সুলতান আবদুল আজিজের নির্দেশে ১৮৮৯ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। [৩] মসজিদটির নকশা করেছিলেন এক জার্মান স্থপতি। বেশিরভাগ নির্মাণ শ্রমিক লাংকাট রিজেন্সি-র চীনা বাসিন্দা ছিলেন। পেনাং এবং সিঙ্গাপুর থেকে বাতাং সেরানগান নদীর মাধ্যমে নির্মাণ সামগ্রী প্রেরণ করা হয়েছিল এবং ৮০ টি গরুর গাড়ি দিয়ে তা স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। [৩] মসজিদটির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার আগে আবদুল আজিজ মারা গিয়েছিলেন। সুতরাং নির্মাণকাজটি তাঁর ছেলে টেংকু সুলতান মাহমুদ রহমত সায়াহ হাতে নিয়েছিলেন। [৩] মসজিদটির নির্মান কাজ ১৩ই জুন, ১৯০২ সালে শেষ হয়েছিল। ১৯২৬ সালে মসজিদটিতে একটি মিনার যুক্ত করা হয়।[৪]
১৯৭৮-১৯৭৯, ১৯৮০-১৯৮১ এবং ১৯৯০-১৯৯১ সালে মসজিদটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছিল।[৪]
মসজিদ[সম্পাদনা]
মসজিদ কমপ্লেক্সটি প্রায় ৩ হেক্টর (৭.৪ একর) জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রধান প্রার্থনা হলটি প্রায় ২৫x২৫ মিটার। প্রধান প্রার্থনা হলের উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে তিনটি মুঘল স্টাইলের প্রবেশদ্বার রয়েছে। মসজিদটির রয়েছে মুঘল-স্টাইলের গম্বুজ রয়েছে যা তামা দিয়ে সজ্জিত। সবচেয়ে ভারী গম্বুজটির ওজন প্রায় ৪০ টন। [৩] অভ্যন্তর প্রধানত মার্বেল পাথর ও ইতালিয়ান স্ফটিক ঝাড়বাতি দিয়ে সজ্জিত। [৩] মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিতরে ল্যাংকাট সালতানাতের অন্তর্ভুক্ত রাজ পরিবারের বেশ কয়েকটি সমাধি রয়েছে। [৪]
মালয়েশিয়ার কেদাহ শহরের জহির মসজিদের নির্মাণশৈলী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজিজি মসজিদের স্থাপত্য নির্মান করা হয়। [৪]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
- ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম
- ইন্দোনেশিয়ার মসজিদগুলির তালিকা
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ I.G.N. Anom ও Tjepi Kusman 1991, পৃ. 37।
- ↑ https://books.google.com.bd/books?id=q37zDQAAQBAJ&pg=PA218&lpg=PA218&dq=Azizi+Mosque+indonesia&source=bl&ots=RQiiYhkEo3&sig=ACfU3U3IY65pk5h2kYjB6Hi6QVHyhaeeAQ&hl=en&sa=X&ved=2ahUKEwjr3v3xuq7pAhXj7HMBHSf7AgcQ6AEwC3oECBUQAQ#v=onepage&q=Azizi%20Mosque%20indonesia&f=false
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Zein 1999।
- ↑ ক খ গ ঘ I.G.N. Anom ও Tjepi Kusman 1991।
কাজ উদ্ধৃত[সম্পাদনা]
- I.G.N. Anom; Tjepi Kusman (১৯৯১)। Soekatno Tw.; Samidi, সম্পাদকগণ। Album Peninggalan Sejarah dan Purbakala [Album of Historical and Archeological Heritage] (Indonesian ভাষায়)। Jakarta: Direktorat Jenderal Kebudayaan। আইএসবিএন 9789798250002।
- Zein, Abdul Baqir (১৯৯৯)। Masjid-masjid bersejarah di Indonesia [Historic mosques in Indonesia] (Indonesian ভাষায়)। Gema Insani। আইএসবিএন 9789795615675।