জিল্যান্ডস-পোস্টেন মুহাম্মাদ কার্টুন বিতর্ক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: নতুন পুনর্নির্দেশনা পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
#Redirect [[জিল্যান্ডস-পোস্টেন মুহাম্মাদ কার্টুন বিতর্ক]]
'''Jyllands-Posten মুহাম্মদ কার্টুন বিতর্ক''' (অথবা মুহাম্মদ কার্টুন সংকট, ড্যানিশ: Muhammed-krisen)<ref>{{cite journal|last=Henkel|first=Heiko|date=Fall 2010|title=Fundamentally Danish? The Muhammad Cartoon Crisis as Transitional Drama|url=http://www.okcir.com/Articles%20VIII%202/Henkel-FM.pdf|series=2|archive-url=https://web.archive.org/web/20131029194639/http://www.okcir.com/Articles%20VIII%202/Henkel-FM.pdf|archive-date=29 October 2013|url-status=live|access-date=25 November 2012|journal=Human Architecture: Journal of the Sociology of Self-knowledge|volume=VIII}}</ref> শুরু হয়েছিল ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সালে যখন ড্যানিশ সংবাদপত্র Jyllands-Posten ১২টি সম্পাদকীয় কার্টুন প্রকাশ করে। অধিকাংশ কার্টুনেই ইসলামের প্রধান ব্যক্তিত্ব হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে দেখানো হয়। খবরের কাগজটি ঘোষণা করে যে এটি ছিলো ইসলামের সমালোচনা এবং আত্ম-সেন্সরশিপ সম্পর্কে আলোচনায় অবদান রাখার একটি প্রচেষ্টা। ডেনমার্কের মুসলিম গোষ্ঠীগুলো এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়, এবং ঘটনাটি শেষ পর্যন্ত কিছু মুসলিম দেশে সহিংসতা ও দাঙ্গায়সহ সারা বিশ্বে বিক্ষোভের দিকে পরিচালিত করে।<ref>Jensen, Tim (2006). "The Muhammad Cartoon Crisis. The tip of an Iceberg." ''Japanese Religions''. 31(2):173–85. {{ISSN|0448-8954}}.</ref>

ইসলামের রয়েছে ভাস্কর্যবিরোধিতার একটি শক্তিশালী ঐতিহ্য এবং ইসলামিক রীতির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হযরত মুহাম্মদকে চিত্রায়ণ করা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ধর্মনিন্দা বলে মনে করা হয়। মুহাম্মাদ এবং ইসলামকে অপমান করেছে এই ধারণা এবং কার্টুনগুলোর সমন্বয়ে, অনেক মুসলমানকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ডেনমার্কের মুসলিম সংগঠনগুলি এই কার্টুনের প্রতিবাদে ইসলামিক দেশগুলির দূতাবাস এবং ডেনমার্কের সরকারের কাছে আবেদন জানায়। এ বিষয়ে একটি বিচারিক অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল, যেটি ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে খারিজ হয়ে যায়। ডেনমার্কের সরকার মুসলিম দেশগুলির কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানানোর পরে এবং আইনী নীতি অনুসারে, ডেনমার্কের আইনী ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করার পরে, আহমেদ আক্কারির নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ড্যানিশ ইমাম এই সমস্যাটি নিয়ে সমর্থন আদায়ের জন্য ২০০৫ সালের শেষের দিকে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন। তারা Jyllands-Posten এর বারোটি কার্টুন এবং মুহাম্মদের অন্যান্য চিত্রায়ন সম্বলিত একটি ফাইল উপস্থাপন করেন। কিছু চিত্রায়ন ছিলো বাস্তব, আবার কিছু জাল। জাল চিত্রের মধ্যে একটি ছিলো যেখানে তারা দাবি করে যে মুহাম্মদ (সা.) কে একটি শূকর হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মানুসারে শূকরকে হারাম ও অপবিত্র বলে গণ্য করা হয়। এই শেষ চিত্রটি একটি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের তোলা ছবি হিসেবে প্রমাণিত হয়, যেখানে একজন শূকর চিৎকার প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীকে দেখানো হয়। এই চিত্র এবং অন্যান্য মিথ্যাগুলোর প্রমাণ পেশ করার পরে, প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র স্বীকার করেন যে সফরের উদ্দেশ্য ছিলো শত্রুতা উসকে দেওয়া।<ref name="DW article - free speech and Muhammad cartoons">{{cite web|title=Free speech at issue 10 years after Muhammad cartoons controversy|url=https://www.dw.com/en/free-speech-at-issue-10-years-after-muhammad-cartoons-controversy/a-18747856|access-date=7 November 2019|website=DW}}</ref><ref name="responsibilities">{{cite news|url=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/4686536.stm|title=A clash of rights and responsibilities|last=Reynolds|first=Paul|date=6 February 2006|work=BBC News|access-date=22 March 2010|archive-url=https://web.archive.org/web/20090615150915/http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/4686536.stm|archive-date=15 June 2009|url-status=live}}</ref><ref name="hansen&hundevadt">{{cite book|title=Provoen og Profeten: Muhammed Krisen bag kulisserne|last2=Hundevadt|first2=Kim|year=2006|publisher=Jyllands-Postens Forlag|language=da|isbn=978-87-7692-092-0|last1=Hansen|first1=John|trans-title=The Provo and the Prophet Muhammed: The crisis behind the scenes|location=Copenhagen}}</ref>{{Rp|80–4}}

২০০৬ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে এবং ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে কিছু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এই সমস্যাটি গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মনোযোগ পায়। সারা বিশ্বে এই ঘটনার ফলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি বিক্ষোভ সহিংসতার রূপ নেয় যার ফলে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়, ডেনমার্ক এবং অন্যান্য ইউরোপীয় কূটনৈতিক মিশনগুলোতে হামলা হয়, গির্জা এবং খ্রিস্টানদের উপর আক্রমণ হয়, এবং ডেনমার্কের পণ্য বর্জন শুরু হয়। কিছু গোষ্ঠী তীব্র ভাস্কর্যবিরোধী বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ড্যানিশ নীতিগুলিকে সমর্থন করে, "ড্যানিশ ক্রয় করুন" প্রচারণা এবং বাকস্বাধীনতার সমর্থনে অন্যান্য কর্মকাণ্ড শুরু করে। একটি বড় সংবাদ কাহিনী হিসেবে কার্টুনগুলি বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রগুলিতে পুনরায় মুদ্রিত হয়েছিলো, সেটি সাংবাদিক সংহতি এবং দৃষ্টান্ত হিসেবে।

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী আন্ডারস ফগ রাসমুসেন এই বিতর্কটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ডেনমার্কের সবচেয়ে বাজে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেন। পশ্চিমা দেশগুলোতে উগ্র ইসলামিক সন্ত্রাসী হামলা (৯/১১ হামলার মতো) এবং মুসলিম দেশগুলোতে পশ্চিমাদের সামরিক অভিযানের পর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা তখন চরম মাত্রায় ছিল। ডেনমার্কের মুসলিম সম্প্রদায় এবং বৃহত্তর সমাজের সম্পর্কও ছিল নিম্ন পর্যায়ে। এই বিতর্ক ইসলামি সম্প্রদায় ও বাকী সমাজের মাঝে বিভেদ এবং বৈসাদৃশ্যগুলোকে প্রতীকী করে তুলেছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে, কার্টুনগুলোর প্রতিশোধ হিসেবে বলে দাবি করে জিহাদি সন্ত্রাসীরা Jyllands-Posten ও এর কর্মচারীদের বিরুদ্ধে, ডেনমার্কের বিরুদ্ধে বা ইসলামী নবীদের কার্টুন প্রকাশকারী সংবাদপত্রগুলোর (বিশেষত ২০১৫ সালের চার্লি হেবদো হামলা) বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করে এবং কিছু হামলা চালিয়েছে।

সমর্থকরা বলেন, কার্টুনগুলোর প্রকাশ ছিল বাকস্বাধতার বৈধ প্রয়োগ। অভিব্যক্তির বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন, সন্ত্রাসের ভয় ছাড়াই ইসলাম নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এছাড়া, তারা বলেন যে কার্টুনগুলো সমালোচনামূলক বিষয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে। বাকস্বাধতার জন্য ডেনমার্কের তুলনামূলকভাবে উচ্চ সহনশীলতার ঐতিহ্য কিছুটা মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এই বিতর্ক সমস্ত সমাজে বাকস্বাধতার সীমা, ধর্মীয় সহনশীলতা, পশ্চিমা সমাজে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বৃহত্তর সমাজের সাথে সম্পর্ক এবং সাধারণভাবে ইসলামী বিশ্বের সাথে পশ্চিমাদের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটায়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, মূল প্রকাশের কয়েকদিন পর  Jyllands-Posten মুসলিম দেশগুলো থেকে বৈধভাবে কেনা মুহাম্মদ (সা.)-এর বেশ কয়েকটি চিত্র প্রকাশ করে। তবে এটি খুব কম মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

== তথ্যসূত্র ==

১২:৩০, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ