লিওনিদ ব্রেজনেভ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লিওনিদ ব্রেজনেভ
Леонид Брежнев
Леонід Брежнєв
সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব
কাজের মেয়াদ
১৪ অক্টোবর, ১৯৬৪ – ১০ই নভেম্বর, ১৯৮২
রাষ্ট্রপতিআনাস্তাস মাইকোয়েন
নিকোলাই পদগোর্নি
প্রিমিয়ারআলেক্সি কোসিগিন
নিকোলাই টিখোনোভ
পূর্বসূরীনিকিতা ক্রুশ্চেভ
উত্তরসূরীইউরি আন্দ্রোপভ
সুপ্রিম সোভিয়েত প্রেসিডিয়াম সভাপতি
কাজের মেয়াদ
১৬ই জুন, ১৯৭৭ – ১০ই নভেম্বর, ১৯৮২
পূর্বসূরীনিকোলাই পদগোর্নি
উত্তরসূরীইউরি আন্দ্রোপভ
কাজের মেয়াদ
৭ মে, ১৯৬০ – ১৫ই জুলাই ১৯৬৪
পূর্বসূরীক্লিমেন্ট ভোরোশিলভ
উত্তরসূরীআনাস্তাস মাইকোয়েন
রুশ সমাজতন্ত্র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি
কাজের মেয়াদ
১৬ নভেম্বর, ১৯৬৪ – ৮ এপ্রিল, ১৯৬৬
ডেপুটিআন্দ্রেই কিরিলেঙ্কো
পূর্বসূরীনিকিতা ক্রুশ্চেভ
উত্তরসূরীপদবী রহিত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯০৬-১২-১৯)১৯ ডিসেম্বর ১৯০৬
কামিয়ানস্কি, রাশিয়া
(বর্তমানঃ দিপ্রোদজারঝিনস্ক, ইউক্রেন)
মৃত্যু১০ নভেম্বর ১৯৮২(1982-11-10) (বয়স ৭৫)
মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়ন
(বর্তমানঃ রাশিয়া)
রাজনৈতিক দলকমিউনিস্ট পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীভিক্টোরিয়া পেত্রোভনা
সন্তানগ্যালিনা
ইউরি
পুরস্কারহিরো অব দ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন (৪)
হিরো অব সোশিয়্যালিস্ট লেবার
অর্ডার অব লেনিন (৮)
স্বাক্ষর
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য সোভিয়েত ইউনিয়ন
শাখালাল ফৌজ
কাজের মেয়াদ১৯৪১–১৯৪৬
পদমেজর জেনারেল
সোভিয়েত ইউনিয়নের মার্শাল
কমান্ডসোভিয়েত সেনাবাহিনী
যুদ্ধদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
This article is part of the series
The Life of Leonid Brezhnev

Brezhnev Era
Death and funeral
Legacy

লিওনিদ ইলিয়িচ ব্রেজনেভ (রুশ: Леони́д Ильи́ч Бре́жнев​, রুশ: lʲɪɐˈnʲit ɨˈlʲjidʑ ˈbrʲeʐnʲɪf; ইউক্রেনীয়: Леоні́д Іллі́ч Бре́жнєв; জন্মঃ ১৯ ডিসেম্বর, ১৯০৬ - মৃত্যুঃ ১০ নভেম্বর, ১৯৮২[১]) একজন প্রাক্তন ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ যিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব ছিলেন। ১৯৬৪ সাল থেকে একাধারে ১৯৮০ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করেন। জোসেফ স্টালিনের পর সোভিয়েত নেতৃত্বে সর্বাধিক আঠারো বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। শীতল যুদ্ধকালীন সময়ে তার শাসনামলে সোভিয়েত ইউনিয়নের বৈশ্বিক প্রভাব বিস্তার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। বহির্বিশ্বে সোভিয়েত সামরিক বাহিনী প্রেরণই এর মূল কারণ। কিন্তু দেশে অর্থনৈতিক দুরবস্থা চিহ্নিত না করা, তীব্র অর্থনৈতিক সমস্যাকে গ্রাহ্য না করার প্রেক্ষাপটে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন।

ব্রেজনেভ সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিগণিত ছিলেন। কিন্তু, স্ট্যালিনের ন্যায় ততোটা নন। মিখাইল গর্বাচেভ ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন শাসনকালীন সময়ে প্রকাশ্যে তার আমলের কথা নিন্দাজ্ঞাপনের সাথে তুলে ধরেন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নকে উদারনীতির সাহায্যে পরিচালনা করেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

কামেনস্কোতে (বর্তমান দিপ্রোজারঝিনস্ক, ইউক্রেন) রুশ শ্রমজীবী পরিবারে ১৯ ডিসেম্বর, ১৯০৬ সালে তার জন্ম। খনিশ্রমিক ইলিয়া ইয়াকোভলেভিচ ব্রেজনেভ এবং নাতালিয়া দেনিসোভানা দম্পতির সন্তান তিনি। জীবনে তিনি ইউক্রেনীয় অথবা রুশীয় - কোনটিরই নির্দিষ্ট পরিচয় না দেয়ায় কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাববিহীন অবস্থায় বড় হন।[২] ১৯১৭ সালে রুশ আন্দোলনের পরের বছর অন্যান্য অনেক তরুণের ন্যায় কারিগরী শিক্ষা কার্যক্রমে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ভূমি জরিপকারক এবং পরবর্তীতে ধাতববিদ্যায় পড়াশোনা করেন। দিপ্রোজারঝিনস্ক মেটালারজিক্যাল টেকনিকাম থেকে ১৯৩৫ সালে[৩] স্নাতক ডিগ্রি অর্জন শেষে ধাতব প্রকৌশলীহিসেবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লৌহ ও ইস্পাত কারখানায় যোগ দেন। ১৯২৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টির যুব সংগঠন কসমোলে যোগ দেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যতা লাভ করেন ১৯২৯ সালে।[২] দলীয় কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জরুরিভাবে সামরিক বাহিনীতে প্রেরিত হন। ১৯৪৬ সালে মেজর জেনারেল পদবি নিয়ে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেন।

১৯৩৫ থেকে ১৯৩৬ সালের মধ্যে সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে নিযুক্ত হন এবং ট্যাঙ্ক স্কুলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি। রাজনৈতিক কমিশার হিসেবে ট্যাঙ্ক কারখানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ১৯৩৬ সালের শেষদিকে দিপ্রোদজারঝিনস্ক মেটালারজিক্যাল টেকনিকাম বা কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের পরিচালক পদে আসীন হন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৫২ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন এবং ১৯৬৪ সালে ব্রেজনেভ প্রথম সচিব হিসেবে নিকিতা ক্রুশ্চেভের স্থলাভিষিক্ত হন। নেতা হিসেবে যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার পূর্বে সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করতেন। কিন্তু দেশের অর্থনীতিতে ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেননি তিনি, যে সময়টা স্থবির অর্থনীতির যুগ নামে পরিচিতি লাভ করে। সামরিক খাতে ব্যয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করেন, যা দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ৫০%। তার সর্বশেষ প্রধান সিদ্ধান্ত ছিল আফগানিস্তানে সোভিয়েত সৈন্য প্রেরণ। উদ্দেশ্য ছিল মুজাহেদিনদের কবল থেকে নিম্ন আয়ের দেশ আফগানিস্তানকে রক্ষার চেষ্টা করা।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয়
পূর্বসূরী
পাভেল নাইদেনোভ
দিপ্রোপেত্রোভস্ক আঞ্চলিক পার্টি কমিটি প্রধান
১৯৪৭-১৯৫০
উত্তরসূরী
আন্দ্রেই কিরিলেঙ্কো
পূর্বসূরী
নিকোলেই কোভাল
মলদোভা কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান
১৯৫০-১৯৫২
উত্তরসূরী
দিমিত্রি গ্ল্যাডকি
পূর্বসূরী
পেন্তেলিমোন পোনোমারেঙ্কো
কাজাখস্তান কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান
১৯৫৫-১৯৫৬
উত্তরসূরী
আইভান ইয়াকোভলেভ
পূর্বসূরী
নিকিতা ক্রুশ্চেভ
সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিউনিস্ট পার্টি মহাসচিব
১৯৬৪-১৯৮২
উত্তরসূরী
ইউরি আন্দ্রোপভ
রুশ সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি
১৯৬৪-১৯৬৬
পদ বিলুপ্তি
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
ক্লিমেন্ট ভোরোশিলোভ
সুপ্রিম সোভিয়েত প্রেসিডিয়াম সভাপতি
১৯৬০-১৯৬৪
উত্তরসূরী
আনাসতাস মাইকোয়েন
পূর্বসূরী
নিকোলাই পদগোর্নি
সুপ্রিম সোভিয়েত প্রেসিডিয়াম সভাপতি
১৯৭৭-১৯৮২
উত্তরসূরী
ইউরি আন্দ্রোপভ