পাবলো পিকাসো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পাবলো পিকাসো
১৯০৮ সালে পিকাসো
জন্ম
পাবলো, দিয়েগো, হোসে, ফ্রান্সিসকো ডি পাওলা, হুয়ান নেপোমুসিনো, মারিয়া ডি লস রেমিডিওস, সিপিয়ানো ডে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ, রুইজ পিকাসো[১]

(১৮৮১-১০-২৫)২৫ অক্টোবর ১৮৮১
মৃত্যু৮ এপ্রিল ১৯৭৩(1973-04-08) (বয়স ৯১)
সমাধিশাতু অফ ভভেঁয়ারগে
৪৩°৩৩′১৫″ উত্তর ৫°৩৬′১৬″ পূর্ব / ৪৩.৫৫৪১৪২° উত্তর ৫.৬০৪৪৩৮° পূর্ব / 43.554142; 5.604438
জাতীয়তাস্প্যানিশ
শিক্ষাহোসে রুইজ ই ব্লাস্কো (বাবা),
রিয়েল আকাদেমিয়া বেলা আরতে দে সান ফেরনাঁদো
পরিচিতির কারণচিত্র, অঙ্কন, ভাস্কর্য প্রিন্টমেকিং, মৃৎশিল্প, পর্যায় নকশা, লেখা
উল্লেখযোগ্য কর্ম
লেই দেমোয়াজেল দে'ভিনিয়োঁ (১৯০৭)
গের্নিকা (১৯৩৭)
দ্য উইপিং উইম্যান (১৯৩৭)
আন্দোলনকিউবিজম, পরাবাস্তবাদ
দাম্পত্য সঙ্গীওলগা খোখলোভা (১৯১৮-১৯৫৫)
জ্যাকুলিন রোক (১৯৬১–১৯৭৩)

পাবলো রুইজ ই পিকাসো (/pɪˈkɑːs, -ˈkæs/;[২] স্পেনীয়: [ˈpaβlo piˈkaso]; ২৫ অক্টোবর ১৮৮১ – ৮ এপ্রিল ১৯৭৩), পাবলো পিকাসো হিসেবে পরিচিত, ছিলেন একজন স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, প্রিন্টমেকার, মৃৎশিল্পী, মঞ্চ নকশাকারী, কবি এবং নাট্যকার। বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী শিল্পী হিসেবে তিনি কিউবিস্ট আন্দোলনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, গঠনকৃত ভাস্কর্যের[৩][৪] উদ্ভাবন, কোলাজের সহ-উদ্ভাবন, এবং চিত্রশৈলীর বিস্তৃত ভিন্নতার কারণে অধিক পরিচিতি লাভ করেন। তার বিখ্যাত কাজের মধ্যে রয়েছে প্রোটো-কিউবিস্ট লেই দেমোয়াজেল দে'ভিনিয়োঁ (১৯০৭) এবং স্পেনের গৃহ যুদ্ধের বিরুদ্ধে আঁকা গের্নিকা (১৯৩৭)। পিকাসো, হেনরি মাতিসে এবং মার্সেল ডচাম্প এই তিনজন শিল্পী ২০শ শতাব্দীর শুরুতে প্লাস্টিক আর্টে বৈপ্লবীয় উন্নতি সাধনের মাধ্যমে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, প্রিন্টমেকিং এবং মৃৎশিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটান। পিকাসো ২০শ শতাব্দীর শিল্পে একজন শ্রেষ্ঠ-পরিচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৮৯০ সালের পূর্বে বাবার অধীনে পিকাসোর প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তাঁর সে সময়কার অগ্রগতি ফুটে উঠে বার্সেলোনায় মুইজিও পিকাসোতে সংগৃহীত চিত্রকর্মগুলোতে। জাদুঘরটি যে কোন প্রধান শিল্পীর প্রারম্ভিক কাজের সংগ্রহের জন্য প্রখ্যাত।

দামি শিল্পকর্ম[সম্পাদনা]

পাবলো পিকাসো, ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দ।

২০১৫ সালের ১১ই মে স্পেনের কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর আঁকা 'উইমেন অব আলজিয়ার্স' ছবিটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি শিল্পিকর্মে পরিণত হয়েছিল । নিলামে চিত্রকর্মটি রেকর্ড ১৭ কোটি ৯৩ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছিল । বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা । পিকাসোর এ তৈলচিত্রটিতে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার করা হয়েছিল । এতে পিকাসোয় সুপরিচিত কিউবিক ধারায় ছাপ রয়েছে । নগ্ন এক রমণীকে সেখানে দেখা গেছে । এটি পিকাসোর ১৫টি শিল্পকর্মের একটি সিরিজের অংশ ।

১৯৫৪-৫৫ সালের দিকে এটি এঁকেছিলেন তিনি । এটিতে A থেকে O পর্যন্ত ইংরেজি বর্ণমালার ব্যবহার ছিল । নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হাওয়া শিল্পকর্মের তালিকায় ছিল ব্রিটিশ চিত্রশিল্পী ফ্রান্সিস বেকন 'Three of Studies of Lusian Froyd' । ২০১৩ সালে নভেম্বরে এটি ১৪ কোটি ২৪ লাখ ডলারে বিক্রি হয় ।

উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম[সম্পাদনা]

  • তেতে দি ফ্রেমে
  • টেট ডি ফেমি (জ্যাকুলিন)
  • ল্য মুঁল্যা দ্য লা গালেৎ
  • দ্য ব্লু রুম
  • ওল্ড গিটারিস্ট
  • সেল্‌ফ-পাের্ট্রেট
  • টু নুডস
  • থ্রি মুজিশিয়ানস্‌
  • মডেল অ্যান্ড ফিশবৌল
  • গের্নিকা
  • উইমেন অব আলজিয়ার্স
  • দ্য ব্লু রুম
  • আভাগঁর রমণীবৃন্দ
  • থ্রি ড্যান্সার্স
  • গিটার
  • গ্লাস অব আবস্যাঁৎ
  • সিটেড বাথার
  • গােয়ের্নিকা
  • পালােমা বা শান্তিকপােত

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Pierre Daix, Georges Boudaille, Joan Rosselet, Picasso, 1900-1906: catalogue raisonné de l'oeuvre peint, Editions Ides et Calendes, 1988
  2. "Picasso". Random House Webster's Unabridged Dictionary.
  3. "The Guitar, MoMA"। Moma.org। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  4. "Sculpture, Tate"। Tate.org.uk। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]