কেপলার ওয়েসেলস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেপলার ওয়েসেলস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামকেপলার ক্রিস্টোফেল ওয়েসেলস
জন্ম (1957-09-14) ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ (বয়স ৬৬)
ব্লুমফন্তেইন, অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনিয়ন
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, কোচ, ধারাভাষ্যকার
সম্পর্করিকি ওয়েসেলস (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩১৭/২৪৬)
২৬ নভেম্বর ১৯৮২ 
অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৮ আগস্ট ১৯৯৪ 
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭১/১১)
৯ জানুয়ারি ১৯৮৩ 
অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৮ অক্টোবর ১৯৯৪ 
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৮-২০০০গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট
১৯৮৬-৯৮ইস্টার্ন প্রভিন্স
১৯৭৯-৮৬কুইন্সল্যান্ড
১৯৭৬-৮০সাসেক্স
১৯৭৭-৭৮ট্রান্সভাল
১৯৭৬-৭৭ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
১৯৭৩-৭৬অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি লিস্ট এ
ম্যাচ সংখ্যা ৪০ ১০৯ ৩১৬ ৩৩৭
রানের সংখ্যা ২৭৮৮ ৩৩৬৭ ২৪৭৩৮ ১২৫০৩
ব্যাটিং গড় ৪১.০০ ৩৪.৩৫ ৫০.৫৮ ৪১.৫৩
১০০/৫০ ৬/১৫ ১/২৬ ৬৬/১৩২ ১৫/৯০
সর্বোচ্চ রান ১৭৯ ১০৭ ২৫৪ ১৪৬
বল করেছে ৯০ ৯০ ১৪১৬ ১৩২৭
উইকেট ১৮ ১৩ ৩৬
বোলিং গড় ৩৭.০০ ৪৪.১৫ ৩১.১১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ০/২ ২/১৬ ২/২৫ ৪/২৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩০/– ৪৯/– ২৬৮/– ১৫১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

কেপলার ক্রিস্টোফেল ওয়েসেলস (ইংরেজি: Kepler Wessels; জন্ম: ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৭) দক্ষিণ আফ্রিকার অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট প্রদেশের ব্লুমফন্টেইনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত এবং সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, অধিনায়ক, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের হয়ে ২৪ টেস্ট খেলেন। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্য হন ও দলের অধিনায়কত্ব করেন। বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ও একদিনের আন্তর্জাতিকে দুই দেশের হয়ে খেলেছেন।[১]

বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি মাঠে নামতেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স, নর্দার্ন ট্রান্সভাল, ইস্টার্ন প্রভিন্সগ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট; অস্ট্রেলিয়ায় কুইন্সল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে সাসেক্স দলের হয়ে খেলেছেন। ২০০৮ মৌসুমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে চেন্নাই সুপার কিংসের কোচের দায়িত্ব পালন করেন কেপলার ওয়েসেলস

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

ছয় বছর বয়সে তার বোনের ছেলেবন্ধু যোহন ভোলসটিটের মাধ্যমে ক্রিকেট খেলার সাথে পরিচিত হন।[২] ভোলসটিট তাকে খেলার মৌলিক ধারণাগুলো শেখান। ওয়েসেলসের বাড়ীতে প্রতি রবিবার নিয়মিতভাবে এসে ক্রিকেট খেলা শেখাতে আরম্ভ করেন। কয়েক বছর পর ভোলসটিট ব্লুমফন্তেইনের গ্রে কলেজে ক্রিকেট খেলার প্রধান হিসেবে নিযুক্তি পান। বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশে থাকাকালীন সময়ে ওয়েসেলসের কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৭০-এর দশকের শেষার্ধ্বে অস্ট্রেলীয় ধনকুবের কেরি প্যাকারের পরিচালনায় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট দলের সদস্য হিসেবে খেলার তালিকায় ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ওয়েসেলসের নিজ দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলার ক্ষীণ আশা ছিল। তাই, অধিকতর অর্থ ও শর্তাবলীর আলোকে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে সার্কাস নামে পরিচিত বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেন।

২১ বছর বয়সে সিডনিতে আসেন ও স্থানীয় ওয়াভার্লি ক্লাবের অনুশীলনীতে যোগ দেন। সেখানেই প্যাকার তাকে প্রথম বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটের অমূল্য সম্পদরূপে ভাবতে শুরু করেন। পেনরিথের বিপক্ষে ১২৩ রান করার পর সংবাদপত্রগুলো ওয়েসেলসকে নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজ্যদলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে লিখতে শুরু করে।[২] কিন্তু গণমাধ্যমগুলো ওয়েসেলসের সাথে প্যাকারের চুক্তিবদ্ধতার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না। এরপর সিডনি ক্লাবের বিপক্ষে ১৩৭ রান করলে দল নির্বাচকমণ্ডলী খুব দ্রুততার সাথে রাজ্যের অনুশীলনী দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে। প্যাকার বিষয়টি অবগত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওয়েসেলসের বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ১০৯টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। ৫৪টি ছিল অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ও ৫৫টি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে। অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ৪০টি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৪ ও দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১৬ টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েসেলস অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ হয়ে টেস্ট খেলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যাবর্তনের পর ১৮ এপ্রিল, ১৯৯২ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টে তার অধিনায়কত্বে টার্টিয়াস বস, হানসি ক্রনিয়ে, অ্যালান ডোনাল্ড, অ্যান্ড্রু হাডসন, পিটার কার্স্টেন, অ্যাড্রিয়ান কুইপার, মেরিক প্রিঙ্গল, ডেভ রিচার্ডসন, মার্ক রাশমেয়ার, রিচার্ড স্নেল প্রথমবারের মতো টেস্টে অভিষিক্ত হন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে বার্বাডোসে ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের মধ্যকার উদ্বোধনী ঐ টেস্টে রিচি রিচার্ডসনের প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঐ মাঠে ধারাবাহিকভাবে একাদশবারের ন্যায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে মাত্র ৫২ রানের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।[৩] এ টেস্টে অংশগ্রহণের ফলে টেস্ট পর্যায়ে ত্রয়োদশ খেলোয়াড় হিসেবে তিনি দুই দেশের হয়ে মাঠে নামেন।[৩] খেলায় তিনি ৫৯ ও ৭৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে পৃথক দুই দলে খেলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরে খেলার সুযোগ লাভ করেন। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্ডারসন কামিন্স কানাডার পক্ষে খেলে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে খেলেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Individuals who played for two countries"। Cricinfo। ২১ মে ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০০৭ 
  2. Griffiths, E. (১৯৯৪)। Kepler: A Biography। Johannesburg: Pelham Books। আইএসবিএন 0-7207-2045-1 
  3. "West Indies v South Africa 1991-92"espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৪ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
আলী বাখের
দক্ষিণ আফ্রিকান টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৯১/৯২-১৯৯৪
উত্তরসূরী
হানসি ক্রনিয়ে
পূর্বসূরী
ক্লাইভ রাইস
দক্ষিণ আফ্রিকান ওডিআই ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৯২-১৯৯৪
উত্তরসূরী
হানসি ক্রনিয়ে