জাতীয় গ্রন্থাগার (ভারত)

স্থানাঙ্ক: ২২°৩০′ উত্তর ৮৮°১৮′ পূর্ব / ২২.৫° উত্তর ৮৮.৩° পূর্ব / 22.5; 88.3
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(National Library of India থেকে পুনর্নির্দেশিত)
জাতীয় গ্রন্থাগার
স্থাপিত১৮৩৬
পরিচালকঅধ্যা:অজয় প্রতাপ সিং
অবস্থান
২২°৩২′০০″ উত্তর ৮৮°২০′০০″ পূর্ব / ২২.৫৩৩২০৬° উত্তর ৮৮.৩৩৩৩১৮° পূর্ব / 22.533206; 88.333318
ওয়েবসাইটwww.nationallibrary.gov.in
মানচিত্র

জাতীয় গ্রন্থাগার ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সরকারি দলিলের রক্ষণাগার। এই গ্রন্থাগারটি কলকাতার বেলভেডিয়ার এস্টেটে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি[সম্পাদনা]

১৮৩৬ সালে ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি নামে প্রথম এই গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় এটি ছিল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন এই লাইব্রেরির প্রথম মালিক। ভারতের তদনীন্তন গভর্নর-জেনারেল লর্ড মেটকাফ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ লাইব্রেরির ৪,৬৭৫টি বই এই গ্রন্থাগারে দান করেছিলেন। এই দানের ফলেই গ্রন্থাগারের গোড়াপত্তন সম্ভব হয়েছিল। এই সময় বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষার বইই এই গ্রন্থাগারের জন্য ক্রয় করা হত। কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গ্রন্থাগারকে অর্থসাহায্য করতেন; সরকারের কাছ থেকেও অনুদান পাওয়া যেত। এই সময় এই গ্রন্থাগারে বহু দেশি ও বিদেশি দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সংগৃহীত হয়, যা আজও রক্ষিত আছে। ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরিই ছিল শহরের প্রথম নাগরিক পাঠাগার। [১]

ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি[সম্পাদনা]

ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি

১৮৯১ সালে কলকাতার একাধিক সচিবালয় গ্রন্থাগারকে একত্রিত করে গঠিত হয় ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি। এই গ্রন্থাগারের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল গৃহ মন্ত্রকের গ্রন্থাগার। এই অংশে [১]

ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি ও ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির সংযুক্তিকরণ[সম্পাদনা]

১৯০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি লর্ড কার্জনের প্রচেষ্টায় ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি ও ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরিকে সংযুক্ত করে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সংযুক্ত লাইব্রেরিটি ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি নামেই পরিচিত হয়। এই সময় গ্রন্থাগারটি উঠে আসে আলিপুরের বেলভেডিয়ার রোডস্থ মেটকাফ হলের বর্তমান ঠিকানায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লাইব্রেরিটি এসপ্ল্যানেডের জবাকুসুম হাউসে স্থানান্তরিত হয়েছিল। [১]

জাতীয় গ্রন্থাগার[সম্পাদনা]

স্বাধীনতার পর ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি আবার মেটকাফ হলে উঠে আসে। এই সময় লাইব্রেরির নতুন নামকরণ হয় জাতীয় গ্রন্থাগার বা ন্যাশানাল লাইব্রেরি। ১৯৫৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ জাতীয় গ্রন্থাগারকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।[১]


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. জাতীয় গ্রন্থাগারের ওয়েবসাইট[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], জাতীয় গ্রন্থাগারের ইতিহাস
  • কলকাতা: এক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস, অতুল সুর, জেনারেল প্রিন্টার অ্যান্ড পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ১৯৮১, পৃ. ২৮৯-২৯১

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]