জিওফ হার্স্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Geoff Hurst থেকে পুনর্নির্দেশিত)
স্যার জিওফ্রে চার্লস হার্স্ট
MBE
হার্স্ট ২০০৮ সালে আপটন পার্কের বাইরে অটোগ্রাফে স্বাক্ষর করছেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম জিওফ্রে চার্লস হার্স্ট[১]
জন্ম (1941-12-08) ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১ (বয়স ৮২)[২]
জন্ম স্থান অ্যাশটন-আন্ডার-লিন, ইংল্যান্ড
মাঠে অবস্থান ফরোয়ার্ড
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৫৯–১৯৭২ ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড ৪১১ (১৮০)
১৯৭৩–১৯৭৫ স্টোক সিটি ১০৮ (৩০)
১৯৭৩ → কেপ টাউন সিটি (ধার) (৫)
১৯৭৫–১৯৭৬ ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন ১০ (২)
১৯৭৬ কর্ক সেল্টিক (৩)
১৯৭৬ সিয়াটল সাউন্ডার্স এফ সি ২৩ (৮)
মোট ৫৬১ (২২৮)
জাতীয় দল
১৯৫৯ ইংল্যান্ড যুব দল (০)
১৯৬৩–১৯৬৪ ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২৩ (১)
১৯৬৬–১৯৭২[৩] ইংল্যান্ড ৪৯ (২৪)
১৯৬৬–১৯৭২ ফুটবল লীগ একাদশ (৪)
পরিচালিত দল
১৯৭৬–১৯৭৯ টেলফোর্ড ইউনাইটেড
১৯৭৯–১৯৮১ চেলসি
১৯৮২–১৯৮৪ কুয়েত এসসি
অর্জন ও সম্মাননা
পুরুষদের ফুটবল
 ইংল্যান্ড-এর প্রতিনিধিত্বকারী
ফিফা বিশ্বকাপ
বিজয়ী ১৯৬৬ ইংল্যান্ড

ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, উইকেট-কিপার
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬২এসেক্স
একমাত্র First-class30 May ১৯৬২ এসেক্স বনাম Lancashire
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা FC
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা
ব্যাটিং গড়
১০০/৫০
সর্বোচ্চ রান ০*
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড় n/a
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং n/a
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং
উৎস: CricketArchive, 21 October 2016
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

স্যার জিওফ্রে চার্লস হার্স্ট (জন্ম ডিসেম্বর ৮, ১৯৪১) একজন প্রাক্তন ইংরেজ ফুটবলার। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলায় পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৪-২ গোলের জয়ে হ্যাট্রিক করে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলায় হ্যাট্রিক করা একমাত্র ফুটবলার ছিলেন। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে কিলিয়ান এম্বাপ্পে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে হ্যাট্টিক করে তার পাশে বসেন। যদিও জিওফের সেই খেলায় তাঁর দ্বিতীয় গোলটি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত গোল হিসেবে বিবেচিত। রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দিলেও বলটি প্রকৃতপক্ষে গোললাইন অতিক্রম করেছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেছে।

হার্স্ট তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের সাথে, যেখানে তিনি ৫০০ টি ম্যাচ খেলে ২৪২ গোল করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে এফএ কাপ এবং ১৯৬৫ সালে ইউরোপীয় কাপ বিজয়ী দলে ছিলেন। পরবর্তীকালে, ১৯৭২ সালে তাঁর দল তাঁকে স্টোক সিটিতে £৮০,০০০ বিক্রি করা দিয়েছিল। স্টোকের সাথে তিনটি মরশুমে খেলার পরে তিনি ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবায়নের সাথে ফুটবল লিগের খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করেছিলেন। হার্ট তাঁর দেশ ছাড়া আয়ারল্যান্ড (কর্ক সেল্টিক) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (সিয়াটেল সাউন্ডারস) ফুটবল খেলতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে, নন-লিগ টেলফোর্ড ইউনাইটেডকে পরিচালনা করতে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। তিনি দু'বছর, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চেলসির ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছিলেন। পরে তিনি তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিশ্রুতিতে মনোনিবেশ করার জন্য খেলার জগত ছেড়ে দেওয়ার আগ তিনি কুয়েত এসসিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।

তিনি ৪৯ টি ম্যাচ খেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে তাঁর মধ্যে তিনি মোট ২৪ টি গোল করেছিলেন। তিনি ১৯৬৬ ফিফা বিশ্বকাপ ছাড়াও, ১৯৬৮ উয়েফা ইউরো এবং ১৯৭০ ফিফা বিশ্বকাপে সাফল্য অর্জন করেছিলেন। যদিও তাঁর প্রথম ভালোবাসা ছিল ক্রিকেট, ১৯৬২ সালে তিনি প্রথম শ্রেণিতে এসেক্স ক্রিকেট দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছিলেন এবং সেটি ছিল তাঁর সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট জীবন।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

৪ ডিসেম্বর, ১৯৪১ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের অ্যাশটন-আন্ডার-লিনে হার্স্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৪] তাঁর দুটি ছোট ভাইবোন ছিল: ডায়ান এবং রবার্ট। .[৪] তাঁর যখন ছয় বছর বয়সে ছিল, তাঁর পরিবার চেলসফোর্ড, এসেক্সে চলে এসেছিল।[৪] তাঁর পিতা, চার্লি হার্স্ট ছিলেন পেশাদার ফুটবলার যিনি ব্রিসটল রোভার্স, ওল্ডহ্যাম অ্যাথলেটিক এবং রোচডেলের হয়ে সেন্টার হাফে খেলতেন।[৫] তাঁর মা, এভলিন হপকিনস, গ্লাস্টারশায়ারের একটি পরিবারে মেয়ে ছিলেন এবং তাঁর মার পরিবার মূলত জার্মানি থেকে এসেছিলেন।[৬][৭] কিশোর বয়স থেকে তিনি ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন এবং একবার প্রতিবেশীর বাগানে নিয়মিতভাবে ফুটবল পাঠানোতে তাদের শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য তাঁকে £১ জরিমানা করা হয়েছিল।[৮]

১৯৬২ সালে আইজবার্থে, ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে এসেক্সের [৯] হয়ে একটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি, যদিও তিনি তেমন দারুন কিছু খেলেননি: প্রথম ইনিংসে তিনি ০ রানে অপরাজিত থাকেন এবং পরের ইনিংসে কলিন হিল্টনের বলে ০ রানে আউট হন।[১০] পরবর্তীকালে, তিনি পুরোপুরি ফুটবলে মনোনিবেশ করার আগে ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে তিনি এসেক্স দ্বিতীয় একাদশ দলের হয়ে সাধারণত উইকেটরক্ষক হিসাবে মোট ২৩ বার ক্রিকেট খেলেছিলেন।[১১] তাঁর পিতার পরিচালনায় ক্লাবটি থাকাকালীন, মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে একবার তিনি হাল্স্টেড টাউন রিজার্ভের হয়ে খেলেছিলেন।[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জিওফ হার্স্ট"ব্যারি হাগম্যান'স ফুটবলার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. "HURST, Sir Geoffrey Charles"হু'স হুukwhoswho.com2015 (online Oxford University Press সংস্করণ)। এ অ্যান্ড সি ব্ল্যাক, ব্লুম্‌সবারি পাবলিশিং পিএলসি মুদ্রিত।  (সাবস্ক্রিপশন বা ইউকে পাবলিক লাইব্রেরি সদস্যতা প্রয়োজন) (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  3. "Geoffrey Charles 'Geoff' Hurst – Goals in International Matches"। The Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation। ১৫ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. Hurst 2002, পৃ. 24
  5. Hurst 2002, পৃ. 22
  6. http://www.ancestry[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. Hurst 2002, পৃ. 23
  8. Hurst 2002, পৃ. 26
  9. "Geoff Hurst player profile"। Cricinfo.com।  Retrieved on 12 September 2008.
  10. "Lancashire v Essex, County Championship 1962"। CricketArchive.com। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  Retrieved on 12 September 2008.
  11. "Second Eleven Championship Matches played by Geoff Hurst (23)"। CricketArchive.com। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  Retrieved on 12 September 2008.
  12. "HURST WILL BE ROOTING FOR A SUDBURY WIN"Non League Daily। ১০ মে ২০০৩। ১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৮