হ্যাংসন ডুং

স্থানাঙ্ক: ১৭°২৭′২৫″ উত্তর ১০৬°১৭′১৫″ পূর্ব / ১৭.৪৫৬৯৪° উত্তর ১০৬.২৮৭৫০° পূর্ব / 17.45694; 106.28750
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হ্যাংসন ডুং
Hang Sơn Đoòng
হ্যাংসন ডুং গুহা
দ্বিতীয় ডোলাইনের দিকে যাওয়ার দৃশ্য
মানচিত্র হ্যাংসন ডুং Hang Sơn Đoòng অবস্থান দেখাচ্ছে
মানচিত্র হ্যাংসন ডুং Hang Sơn Đoòng অবস্থান দেখাচ্ছে
অবস্থানকোং বিন প্রদেশ, ভিয়েতনাম
স্থানাঙ্ক১৭°২৭′২৫″ উত্তর ১০৬°১৭′১৫″ পূর্ব / ১৭.৪৫৬৯৪° উত্তর ১০৬.২৮৭৫০° পূর্ব / 17.45694; 106.28750
গভীরতাসর্বচ্চো ১৫০মিটার/৪৯০ফুট
দৈর্ঘ্যপ্রায় ৯,০০০মিটার/৩০,০০০ফুট
আবিস্কারহো-খানহ কর্তৃক ১৯৯১ সালে
ভূতত্ত্বপার্মো-কার্বোনিফারস চুনাপাথর
প্রবেশদ্বারপ্রায় ২টি
ঝুঁকিভূগর্ভস্থ নদী
গুহা জরিপ২০০৯, ব্রিটিশ/ভিয়েতনামী

হ্যাংসন ডুং (ভিয়েতনামী: Hang Sơn Đoòng ([haːŋ˧ ʂəːn˧ ɗɔ̤ŋ˨˩]) বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহা যেটি ভিয়েতনামের কোং বিন প্রদেশের বো টাচ জেলায় এই গুহা নেটওয়ার্কের অবস্থান।[১] হো-খানহ নামে এক ব্যক্তি ১৯৯১ সালে গুহাটি প্রথম আবিষ্কার করেন।[২]

আবিষ্কার[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ গুহা গবেষণা সংগঠনের প্রধান হাওয়ার্ড ও ডেভ লেমবার্ট ১০-১৪ এপ্রিল ২০০৯ সালে বিশ্বের বৃহত্তম এই গুহা নেটওয়ার্কে আয়তন ও প্রশস্ততা পরিমাপ করতে সমীক্ষা শুরু করেন। কিন্তু তাদের পর্যবেক্ষণ একটি বড় ক্যালসাইট পাচিলের কারণে থেমে যায়।[৩]

অবস্থান[সম্পাদনা]

ভিয়েতনামের জাতীয় উদ্যান ফুং না কিং ব্যাংয়ের পাশেই হ্যাংসন ডুংয়ের অবস্থান। গুহার মধ্যে রয়েছে অনেক সুড়ঙ্গপথ, যে সব পথ দিয়ে অতি সহজেই ভিয়েতনামের এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে যাতায়াত করা যায়।[৪]

আকার[সম্পাদনা]

হ্যাংসন ডুংয় ২০০ মিটারের বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট এবং ১৫০ মিটার চওড়া, সব মিলিয়ে ৫.৬ কিলোমিটার। গুহাটি প্রায় ১৫০টি গুহার সমন্বয়ে গঠিত। বিভিন্ন গবেষক দল গুহাটির আয়তন পরিমাপ করতে পারলেও এর শেষ খুঁজে বের করতে পারেনি। গুহাটি আবিষ্কারের আগে মালয়েশিয়ার ডির গুহা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহা।[৫][৬]

বিপদজনক গুহা[সম্পাদনা]

গবেষণা দল গুহাটিকে বিপদজনক আখ্যা দেন কারণ তারা আবিষ্কারের সময় নানা বিপদ-আপদের সম্মুখীন হন। গুহার মধ্যে গবেষণা দল বিষধর সাপ, বড় মাকড়সা, বিভিন্ন প্রাণী ও অপরিচিত বৃক্ষ দেখতে পান। গুহার মধ্যে ছোট পানির ফোয়ারাও দেখতে পান।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম ও ভয়ংকর গুহা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে, আজকের ২৪। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  2. জেনে নাও : পৃথিবীর ভয়ংকর গুহা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], মুহাম্মদ বশির উল্লাহ, দৈনিক ইনকিলাব। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৫ নভেম্বর, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  3. Dykes, Brett Michael (জানুয়ারি ৩, ২০১১)। "Explorers discover spectacular caves in Vietnam"Yahoo!। ২০১১-০১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-২৩ 
  4. পৃথিবীর ভয়ংকর ও বৃহত্তম গুহা, এ রিয়াজ, দৈনিক যুগান্তর। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  5. "World's largest grotto unveiled in Vietnam"। ২৭ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  6. "Britons claim to find world's largest cave"The Daily Telegraph। ৩০ এপ্রিল ২০০৯। 
  7. গুহা নেটওয়ার্ক হ্যাংসন ডুং ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ জুন ২০১৫ তারিখে, মো. রিয়াজুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিন। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১ ডিসেম্বর, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]