স্টুয়ার্ট ক্লার্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্টুয়ার্ট ক্লার্ক
২০০৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে স্টুয়ার্ট ক্লার্ক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামস্টুয়ার্ট রুপার্ট ক্লার্ক
জন্ম (1975-09-28) ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ (বয়স ৪৮)
সাদারল্যান্ড, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামসরফরাজ
উচ্চতা১.৯৫ মিটার (৬ ফুট ৫ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৯৬)
১৬ মার্চ ২০০৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২০ আগস্ট ২০০৯ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৩)
৭ অক্টোবর ২০০৫ বনাম আইসিসি বিশ্ব একাদশ
শেষ ওডিআই১ মে ২০০৯ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৮ – ২০১১নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ
২০০৪ – ২০০৫মিডলসেক্স
২০০৭হ্যাম্পশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৪ ৩৯ ১০৫ ১৩৯
রানের সংখ্যা ২৪৮ ৬৯ ১,৩২৪ ২৪১
ব্যাটিং গড় ১৩.০৫ ১৩.৮০ ১৩.৭৯ ৯.২৬
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/১ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩৯ ১৬* ৬২ ২৯
বল করেছে ৫,১৪৬ ১,৮২৯ ২১,৪৩০ ৭,০৬৫
উইকেট ৯৪ ৫৩ ৩৭৭ ১৮৭
বোলিং গড় ২৩.৮৬ ২৭.৮৬ ২৭.২৫ ২৭.১১
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৩
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৫/৩২ ৪/৫৪ ৮/৫৮ ৬/২৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ১০/– ২৭/– ২৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

স্টুয়ার্ট রুপার্ট ক্লার্ক (ইংরেজি: Stuart Clark; জন্ম: ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫) নিউ সাউথ ওয়েলসের সাদারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারঅস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে তিনি নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন।

সরফরাজ নওয়াজের বোলিংয়ের সাথে তার বোলিংয়ের মিল থাকায় সরফরাজ ডাকনামের অধিকারী স্টুয়ার্ট ক্লার্ক ঘরোয়া ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলে প্রতিনিধিত্ব করেন।[১]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান পিতা-মাতার সন্তান ক্লার্কের বাবা ব্রুস ক্লার্ক চেন্নাই থেকে এবং মা মেরি (বিবাহ-পূর্ব বুসি) ব্যাঙ্গালোরের কর্ণাটকের অধিবাসী ছিলেন।[২] তন্মধ্যে মেরি’র পরিবার খ্যাতনামা ক্রীড়া পরিবার হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সালে ফাইন্যান্স বিষয়ে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকধারী হন।[৩][৪] ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দেয়ার পূর্বে গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহতি তিনি। মিচেল নাম্নী এক তরুণীর সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের লাচলান ও সোফি নামে দুই সন্তান রয়েছে।[৫] এছাড়াও তিনি ফুটবল পছন্দ করেন ও লিভারপুলের সমর্থক।

ঘরোয়া ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রথম-স্তরের ক্রিকেটের মাধ্যমে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাসমানিয়ার বিপক্ষে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অভিষেক ঘটে তার।[৬] কিন্তু অভিষেক মৌসুমটি তার সুখকর ছিল না। ৭৬.৭৫ গড়ে তিনি মাত্র ৪টি উইকেট পেয়েছিলেন।[৭] পরের ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে তাকে আরো বেগ পোহাতে হয়। ২২০.৫০ গড়ে পেয়েছেন মাত্র ২ উইকেট।[৭] ফলে প্রথম ৭টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় তার গড় ছিল ১২৪.৬৬। ফলে পরের দুই বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।[৮] ২০০০-০১ মৌসুমে দলে ফিরে আসেন ও ৩ খেলায় ২৫.৭৫ গড়ে ৮ উইকেট নেন। ২০০১-০২ মৌসুমে ৯ খেলায় ৪৫ উইকেট পান। ঐ মৌসুমে তিনি ৪বার ৫-উইকেট পান ও শীর্ষ উইকেট সংগ্রহকারীর তালিকায় মাইকেল কাসপ্রোভিচের পর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এরফলে জাতীয় পর্যায়ে চুক্তিবদ্ধ হন।

২০০৩-০৪ মৌসুমটি আঘাতপ্রাপ্তিতে কাটে। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের সাথে খেলেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে হ্যাম্পশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন।[৯]

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজের ৪র্থ ও ৫ম টেস্টে যথাক্রমে গ্লেন ম্যাকগ্রাব্রেট লি আহত হলে দলে তার অন্তর্ভুক্তি ঘটে। এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি ট্রেভর হোন্স বলেন যে, ‘স্টুয়ার্টের বোলিং অনেকটাই ম্যাকগ্রা’র মতো। ইতোমধ্যেই তিনি ইংল্যান্ডে রয়েছেন ও ভাল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন। তাই আমরা আঘাতপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের সহায়তাকল্পে তাকে নির্বাচিত করেছি।’ ২০০৬-০৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সাথে স্থায়ীভাবে চুক্তিবদ্ধ হন।[১০]

অক্টোবর, ২০০৫ সালে আইসিসি বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত আইসিসি সুপার সিরিজে শন টেইটকে সহায়তার লক্ষ্যে খেলার জন্য দলে পুনরায় ডাক পান ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হন। কিন্তু ৫ অক্টোবর প্রথম খেলায় তিনি খেলতে পারেননি। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি খেলেছেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমের চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে আঘাতপ্রাপ্ত ব্রেট লি’র পরিবর্তে ক্রিকেট বিশ্বকাপে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Experience, technique drive Clark and Hussey to the top"The Age। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-১৩ 
  2. "The Clarks and the Booseys"। ৩ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৫ 
  3. "Stuart Clark calls stumps to tackle CEO job"Daily Telegraph। ১৮ মে ২০১১। 
  4. "Stuart Clark: the person" (পিডিএফ)। University of Sydney Alumni Magazine। ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  5. "Stuart Clark quits state cricket"ABC। ১৯ মে ২০১১। 
  6. New South Wales v Tasmania Sheffield Shield 1997/98 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে Cricket Archive. Retrieved 31 December 2007
  7. First-class Bowling in Each Season by Stuart Clark[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Cricket Archive. Retrieved 31 December 2007
  8. First-Class Matches played by Stuart Clark (85) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে Cricket Archive. Retrieved 31 December 2007
  9. Aussie Cheese confirms Hants move
  10. Bowling in Pura Cup 2006/07 (Ordered by Average) আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে Cricket Archive. Retrieved 1 January 2007

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]