স্টিভ জবস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্টিভ জবস
Shoulder-high portrait of smiling man in his fifties wearing a black turtle neck shirt with a day-old beard holding a phone facing the viewer in his left hand
২০১০ সালে স্টিভ জবস
জন্ম
স্টিভেন পল জবস

(১৯৫৫-০২-২৪)২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫[১]
মৃত্যুঅক্টোবর ৫, ২০১১(2011-10-05) (বয়স ৫৬)
পালো অ্যালটো, ক্যালিফোর্নিয়া[২]
মৃত্যুর কারণনিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার
জাতীয়তামার্কিন
মাতৃশিক্ষায়তনরীড কলেজ (ড্রপড আউট)
পেশাপ্রযুক্তিবিদ
পরিচিতির কারণ
উপাধি
  • অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
  • পিক্সার এর প্রাথমিক বিনিয়োগকারী ও চেয়ারম্যান
  • নেক্সট এর প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
বোর্ড সদস্যদ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি,[৩] অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড
দাম্পত্য সঙ্গীলরেন পাওয়েল (বি. ১৯৯১)
সঙ্গীক্রিসান ব্রেনান (১৯৭২-১৯৭৭)
সন্তান৪ (লিসা ব্রেনান-জবস সহ)
আত্মীয়মোনা সিম্পসন (বোন)
স্বাক্ষর
ম্যাকওয়ার্ল্ড সম্মেলনে স্টিভ জবস

স্টিভ জবস, পুরোনাম স্টিভেন পল জবস (ইংরেজি: Steven Paul "Steve" Jobs; জন্ম: ফেব্রুয়ারি ২৪, ১৯৫৫, মৃত্যু: ৫ অক্টোবর ২০১১),[৫][৬] যুক্তরাষ্ট্রের একজন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক ছিলেন। তাকে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়। তিনি স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন -এর সাথে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে "অ্যাপল কম্পিউটার" প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি "পিক্সার এ্যানিমেশন স্টুডিওস"-এরও প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ১৯৮৫ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের "বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের" সদস্যদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের থেকে পদত্যাগ করেন এবং নেক্সট কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৬ সালে অ্যাপল কম্পিউটার নেক্সট কম্পিউটারকে কিনে নিলে তিনি অ্যাপলে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯৫ সালে টয় স্টোরি নামের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।

জীবনবৃত্তান্ত[সম্পাদনা]

জবস জন্মেছিলেন সান ফ্রান্সিস্কোতে[১] এবং পরে পল ও ক্লারা জবস তাকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ করেন এবং তাকে নামকরণ করা হয় স্টিভেন পল জবস। কিন্তু তার প্রকৃত পিতা-মাতা ছিলেন জোয়ান ক্যারোল এবং আব্দুল্লাহ ফাতাহ জান্দালি (সিরিয়া থেকে স্নাতকোত্তর ছাত্র ছিলেন।পরবর্তীতে রাস্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েছিলেন)। যারা পরবর্তীতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তাদের ঘরে জবস-এর বোন সাহিত্যিক মোনা সিম্পসন জন্মান।

জবস কুপারটিনো জুনিয়র হাই স্কুলে এবং হোমস্টিড হাই স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি প্রায়ই হিউলেট-প্যাকার্ড কোম্পানির লেকচারগুলোতে অংশগ্রহণ করতেন। যেখানে পরবর্তীতে তিনি গ্রীষ্মকালীন কর্মচারী হিসাবে স্টিভ ওজনিয়াকের সাথে কাজ করেন। ১৯৭২ থ্রিস্টাব্দে তিনি হাই স্কুল শেষ করেন এবং রীড কলেজ়ে ভর্তি হন। যদিও তিনি পরবর্তীতে কলেজ ছেড়ে দেন তার পরেও তিনি ক্যালিগ্রাফীসহ আরো কিছু ক্লাসে যোগদান করেছিলেন। এই সম্পর্কে তার বক্তব্য ছিল "যদি আমি ওই কোর্সে না যেতাম তবে ম্যাকের কখনোই বিভিন্ন টাইপফেস বা সামঞ্জস্যপূর্ণ ফন্টগুলো থাকতো না।"[৭]

১৯৭৪ সালে জবস ক্যালির্ফোনিয়াতে পুনরায় চলে আসেন। এ সময় তিনি নিয়মিত ওজনিয়াকের সাথে হোমব্রিউ কম্পিউটার ক্লাবের সভাগুলোতে উপস্থিত থাকেন। তিনি ভিডিও গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আটারিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি এসময় মূলত ভারতে যাবার জন্য অর্থ জমানোর চেষ্টা করছিলেন। জবস ভারতে নিম কারোলি বাবার কাইনিচি আশ্রমে তার বন্ধু ড্যানিয়েল কটকের সাথে ভ্রমণ করেন।[৮] আধ্যত্মিক জ্ঞান অর্জনের জন্য তিনি ভারতে আসেন ও বৌদ্ধধর্মে ধর্মান্তরিত হন।[৯][১০]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

প্রারম্ভিক কর্মজীবন[সম্পাদনা]

হোমব্রিউ কম্পিউটার ক্লাবের নিউজ লেটার, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬

১৯৭৩ সালের শেষ দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার লস গ্যাটোসে অ্যাটারি ইনকর্পোরেটেডে প্রকর্মী হিসেবে যোগ দেন জবস।[১১] ১৯৭৪ এর মাঝামাঝি সময় জবস ভারত ভ্রমণ করেন।[১২] নিম কারোলি বাবার সাথে সাক্ষাত্‍ করার জন্য জবস তার কৈঞ্চি আশ্রমে যান রিড কলেজের বন্ধু ড্যানিয়েল কোটকেকে সাথে নিয়ে। কিন্তু তা প্রায় জনশূন্য অবস্থায় ছিল, কারণ নিম কারোলি বাবা ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে মারা যান।[১১] এরপর তারা চলে যান হরিয়াখান বাবার আশ্রমে। ভারতে তারা কয়েকবার বাস ভ্রমণ করেন। দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশ, সেখান থেকে ফিরে হিমাচল প্রদেশ এরপর পুনরায় দিল্লি ফিরে আসেন।[১১] সাত মাস অবস্থানের পর জবস ভারত ত্যাগ করেন।[১৩]

ভারত থেকে ফেরার পর জবসের নতুন আবির্ভাব ঘটে। তার মস্তক মুন্ডিত ছিল এবং তিনি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। এছাড়া তিনি বৌদ্ধধর্মের অনুসারি হয়ে ওঠেন।[১৪]

এরপর জবস অ্যাটারিতে ফিরে আসেন এবং আর্কেড ভিডিও গেম ব্রেকআউটের জন্য সার্কিট বোর্ড তৈরির কাছে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। প্রত্যেক চিপের জন্য $১০০ দেওয়ার প্রস্তাব দেয় অ্যাটারি। সার্কিট বোর্ড ডিজাইনে জবসের একটু বিশেষ জ্ঞান ছিল এবং তিনি ওজনিয়াকের সাথ সমানভাবে ফি ভাগ করে নেওয়ার চুক্তি করেন, যদি ওজনিয়াক চিপের সংখ্যা কমাতে পারেন। অ্যাটারি ইঞ্জিনিয়ারদের বিস্মিত করে, ওজনিয়াক চিপের সংখ্যা ৫০-এ নামিয়ে আনেন। ডিজাইন এতটাই দূর্ভেদ্য ছিল যে অ্যাসেম্বলি লাইন নকল করা প্রায় অসম্ভব ছিল। ওজনিয়াকের কাছে থেকে জানা যায় যে অ্যাটারি তাদেরকে মাত্র $৭০০ দিয়েছিল (প্রস্তাবিত $৫,০০০ এর পরিবর্তে), এতে ওজনিয়াকের অংশ দাড়ায় $৩৫০। অবশ্য, ওজনিয়াক ১০ বছর পর আসল বোনাসের পরিমাণ জানতে পারেন। তবে তিনি বলেন যে যদি জবস তাকে এ সম্পর্কে জানাত এবং তার টাকাগুলোর প্রযোজনীয়তা সম্পর্কে বলত তাহলে তিনি তা তাকে দিয়ে দিতেন।

টেলিফোন নেটওয়ার্ককে নিপূনভাবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় টোন উত্‍পন্ন করতে, ওজনিয়াক একটি কম খরচের “ব্লু বক্স” তৈরি করেন। এতে দীর্ঘ দূরত্বের টেলিফোন কল বিনামূল্যে করা যেত। জবস সিদ্ধান্ত নেন যে তারা এটি বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই অবৈধ ব্লু বক্সের চোরাগোপ্তা বাণিজ্য ভালই চলে এবং এটি জবসের মনে বীজ বুনে দেয় যে ইলেকট্রনিক্স মজাদার এবং লাভজনক হতে পারে।[১৫]

১৯৯৪ সালে একটি সাক্ষাত্‍কারে, জবস বলেন যে ব্লু বক্স কীভাবে তৈরি করতে হয় তা বুঝে উঠতে তাদের ছয় মাস সময় লেগেছিল। তিনি বলেন যে যদি ব্লু বক্সগুলো তৈরি না হত, তাহলে হয়ত অ্যাপলও থাকত না। তিনি আরও বলেন যে এটি তাদেরকে দেখিয়েছিল যে তা বড় কোম্পানিগুলোকে হারিয়ে দিতে পারে।[১৬]

১৯৭৫ সালে, জবস ওজনিয়াকের সাথে হোমব্রিউ কম্পিউটার ক্লাবের সভায় নিয়মিত উপস্থিত হতে শুরু করেন। তিনি এডুইন এইচ. ল্যান্ডের ব্যাপক প্রশংসা করেন, যিনি ইন্সট্যান্ট ফটোগ্রাফির উদ্ভাবক এবং পোলারইড কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা।[১৭][১৮]

১৯৭৬ সালে, জবস এবং ওজনিয়াক নিজেদের ব্যবসা শুরু করেন। তারা তাদের কোম্পানির নাম দেন “অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি”। প্রথম দিকে সার্কিট বোর্ড বিক্রয়ের মাধ্যমে তারা এই কোম্পানি চালু করেন।[১৯]

অ্যাপল প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]

ক্যালিফোর্নিয়ার লস অল্টোসের ক্রিস্ট ড্রাইভে পল এবং ক্লারা জবসের বাড়ি।
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অল্টোসের ক্রিস্ট ড্রাইভে পল এবং ক্লারা জবসের বাড়ি। ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস এই বাড়ির গ্যারেজে স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েনের সাথে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েন অল্প কিছু দিন তাদের সাথে ছিলেন, তবে তিনিও কোম্পানিটির প্রাথমিক সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৭৬ সালে ওজনিয়াক একক প্রচেষ্টায় অ্যাপল ১ কম্পিউটার উদ্ভাবন করেন। ওজনিয়াক কম্পিউটারটি জবসকে দেখালে, জবস তা বিক্রয় করার পরামর্শ দেন। তখন তারা এটিকে বিক্রয়ের জন্য রোনাল্ড ওয়েনকে সাথে নিয়ে জবসের গ্যারেজে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন।[২০] ওয়েন অল্প কিছু দিন ছিলেন। অতঃপর তিনি জবস এবং ওজনিয়াককে ছেড়ে চলে যান। অবশ্য, তিনিও ছিলেন অ্যাপলের প্রাথমিক সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ইন্টেলের তত্‍কালীন অর্ধ-অবসরপ্রাপ্ত পণ্য বিপণন ব্যবস্থাপক মাইক মার্ককুলা তাদেরকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।[২১]

১৯৭৮ সালে, অ্যাপল মাইক স্কটকে প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৮৩ সালে, জবস পেপসি-কোলার জন স্কালীকে অ্যাপলের প্রধান নিবাহী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রলুব্ধ করেন। জবস তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কি তোমার জীবনের বাকিটা সময় চিনির পানীয় বিক্রয় করে কাটাতে চাও, নাকি আমার সাথে এসে বিশ্বকে বদলে দিতে চাও?”[২২]

১৯৮০’র দশকের প্রথম দিকে, জবস তাদের একজন ছিলেন যারা জেরক্স পার্কের মাউস নিয়ন্ত্রিত গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেসের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখছিলেন, যা জবসকে অ্যাপল লিসা উদ্ভাবনে পরিচালিত করে। এক বছর পর, অ্যাপলের কর্মচারী জেফ রাস্কিন ম্যাকিন্টশ উদ্ভাবন করেন।[২৩][২৪]

পরের বছর, অ্যাপল “১৯৮৪” শিরোনামে একটি সুপার বোল টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করে। ১৯৮৪ সালের ২৪ জানুয়ারি, অ্যাপলের অংশীদারদের বার্ষিক সভায় জবস ব্যাপকভাবে উত্‍সাহী দর্শকদের সামনে ম্যাকিন্টশ উন্মোচন করেন।[২৫]

১৯৭৭ সালে অ্যাপলের লোগো। রংধনুর রংগুলোর সমন্বয়ে রব জানোফ এই লোগো ডিজাইন করেন। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যবহৃত হয়।

জবস একজন প্ররোচনামূলক এবং সহজাত দক্ষতা সম্পন্ন পরিচালক হওয়া সত্ত্বেও, সে সময়ের তার কিছু কর্মচারী তাকে মেজাজী হিসেবে দেখতেন। বাজারে সুবিধা করতে না পারায় জবসের সাথে স্কালীর কাজের সম্পর্কে অবনতি ঘটে, যা তাদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরিণত হয়।[২৬] জবস মধ্যরাতেও সভা চালিয়ে যান, লম্বা ফ্যাক্স পাঠান এবং সকাল ৭টায় নতুন সভা আহবান করেন।[২৭]

স্কালী জানতে পারেন যে জবস পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের দ্বারা একটি অভ্যত্থান সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং মে ২৪, ১৯৮৪ তারিখে, সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি পরিচালনা পরিষধদের সভা আহবান করেন।[২৬] অ্যাপলের পরিচালনা পরিষদ স্কালীর পক্ষ নেয় এবং জবসকে ম্যাকিন্টশ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ফেলা দেওয়া হয়।[২৮] জবস ধীরে ধীরে কাজে আসা বন্ধ করে দেন। মহাকাশচারী হিসেবে স্পেস শাটলে ওড়ার ব্যর্থ প্রয়াস এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে একটি নতুন কম্পিউটার কোম্পানি চালু করার কথা বিবেচনা করে,[২৯] তিনি অ্যাপল থেকে পদত্যাগ করেন।[২৬]

২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় তিনি বলেন যে অ্যাপল থেকে বহিষ্কারের ঐ ঘটনাটি ছিল তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা। তিনি বলেন, “সফল হওয়ার ভার, নতুন করে শুরু করার আলোয় কেটে গিয়েছিল, সবকিছু সম্পর্কে কম নিশ্চিত ছিলাম। এটি আমাকে আমার জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল আংশে প্রবেশ করতে সহায়তা করে।” তিনি আরও বলেন, “আমি মোটামুটি নিশ্চিত এর কিছুই ঘটত না যদি না আমাকে অ্যাপল থেকে বহিষ্কার করা হত। এটি ছিল ভয়াবহ ওষুধের মত, তবে আমি মনে করি রোগীর এটি প্রয়োজন ছিল।”[৭][৩০][৩১]

নেক্সট কম্পিউটার[সম্পাদনা]

আসল কিবোর্ড, মাউস এবং নেক্সট মেগাপিক্সেল মনিটরের সাথে নেক্সটস্টেশন।

অ্যাপল থেকে পদত্যাগের পর ১৯৮৫ সালে ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে জবস প্রতিষ্ঠা করেন নেক্সট ইনকর্পোরেটেড (NeXt Inc.)।[২৭][৩২] এক বছর পর তার অর্থ সংকট দেখা দেয়, তার কোন পণ্যও ছিলনা, ফলে তাকে বিনিয়োগকারীদের সরণাপন্ন হতে হয়। তিনি বিলিয়নিয়ার রস পেরটের মনোযোগ আকর্ষণ করেন, যিনি কোম্পানিতে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেন।[৩৩] নেক্সট ওয়ার্কস্টেশন অবমুক্ত হয় ১৯৯০ সালে, এর মূল্য ছিল ৯,৯৯৯ মার্কিন ডলার। অ্যপল লিসার মত নেক্সট ওয়ার্কস্টেশনও প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রবর্তী ছিল। শিক্ষাখাতের জন্য ডিজাইন করা হলেও, অধিক মূল্যের কারণে এটি বাজারে সুবিধা করতে পারেনি।[৩৪] জবস নেক্সটের পণ্য বাজারজাত করেন অর্থনৈতিক, গবেষণা এবং শিক্ষাখাতের জন্য। এতে ছিল নতুন ধরনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, যার মধ্যে ম্যাখ কার্নেল, ডিজিটাল সিগনাল প্রসেসর চিপ এবং বিল্ট-ইন ইথারনেট পোর্ট উল্লেখযোগ্য। টিম বার্নার্স-লি সার্ন গবেষণা কেন্দ্রে একটি নেক্সট কম্পিউটারেঈ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবন করেছিলেন।[৩৫]

সংশোধিত দ্বিতীয় প্রজন্মের নেক্সটকিউবও ১৯৯০ সালে অবমুক্ত হয়। জবস এটিকে প্রথম ইন্টারপার্সোনাল কম্পিউটার হিসেবে ঘোষণা করেন। এটিতে ছিল নেক্সটমেইল নামক মাল্টিমিডিয়া ইমেইল প্রযুক্তি। নেক্সটকিউবের মাধ্যমে ইমেইলের সাথে প্রথমবারের মত ভয়েস, চিত্র, গ্রাফিক্স এবং ভিডিও চিত্র আদান প্রদানের সুবিধা চালু হয়। জবস সাংবাদিকদের বলন, “ইন্টারপার্সোনাল কম্পিউটার মানুষের যোগাযোগ এবং দলীয় কাজকর্মে বিপ্লব বয়ে আনবে।”[৩৬] ১৯৯৪ সালে কোম্পানি থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে তাদের ১.০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জিত হয়েছে।[৩৩] ১৯৯৬ সালে নেক্সট সফটওয়্যার ইনকপোরেটেড অবমুক্ত করে ওয়েবঅবজক্টস, যা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্টের জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক। ১৯৯৭ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক নেক্সট অধিগ্রহণের পর ওয়েবঅবজেক্টস ব্যবহৃত হয় অ্যাপল স্টোর,[৩৭] মোবাইলমি সেবা, এবং আইটিউনস স্টোর তৈরি এবং পরিচালনায়।

পিক্সার এবং ডিজনি[সম্পাদনা]

১৯৮৬ সালে, জবস লুকাসফিল্মের গ্রাফিক্স বিভাগ হতে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে গ্রাফিক্স গ্রুপ (পরবর্তীতে পিক্সার নামকরণ করা হয়) ক্রয় করেন। এর মধ্যে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কোম্পানিটিকে মূলধন হিসেবে দেওয়া হয়।[৩৮]

ডিজনির সাথে অংশীদারত্বের অধীনে প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র হল টয় স্টোরি (১৯৯৫), যেখানে জবসকে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে দেখানো হয়।[৩৯] মুক্তির পর এটি স্টুডিওর জন্য খ্যাতি এবং সমালোচনা উভয়ই বয়ে আনে। পরবর্তী ১৫ বছরে, পিক্সারের সৃষ্টিশীল প্রধান জন ল্যাসেটারের অধীনে, কোম্পানিটি কিছু বক্স-অফিস হিট চলচ্চিত্র প্রযোজনা করে: এ বাগ'স লাইফ (১৯৯৮); টয় স্টোরি ২ (১৯৯৯); মন্সটার্স, ইনক. (২০০১); ফাইন্ডিং নেমো (২০০৩); দ্য ইনক্রেডিবলস (২০০৪); কার্স (২০০৬); র‌্যাটাটুই (২০০৭); ওয়াল-ই (২০০৮); আপ (২০০৯); এবং টয় স্টোরি ৩ (২০১০)। ফাইন্ডিং নেমো, দ্য ইনক্রেডিবলস, র‌্যাটাটুই, ওয়াল-ই, আপ এবং টয় স্টোরি ৩ এই প্রত্যেকটি চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমী পুরস্কার পেয়েছে। এই পুরস্কারটি ২০০১ সাল থেকে প্রচলিত হয়।[৪০]

২০০৩ এবং ২০০৪ সালের দিকে, পিক্সারের সাথে ডিজনির চুক্তির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে চলে আসার কারণে, জবস এবং ডিজনির প্রধান নিবার্হী মাইকেল ইসনাল চেষ্টা করেও নতুন অংশীদারত্ব গঠনে ব্যর্থ হন,[৪২] এবং ২০০৪ এর প্রথম ভাগে, জবস ঘোষণা করেন যে ডিজনির সাথে পিক্সারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তারা নতুন অংশীদারের সন্ধান করবেন।

২০০৫ সালের অক্টোবরে, ইসনারের স্থালাভিষিক্ত হন বব ইগার। তিনি ডিজনির সাথে জবস এবং পিক্সারের সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারি, জবস এবং ইগার ঘোষণা করেন যে ডিজনি পিক্সারকে ৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অল-স্টক লেনদেনের মাধ্যমে ক্রয় করতে সম্মত হয়েছ। এই লেনদেন শেষ হলে, জবস দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির সবচেয়ে বড় অংশীদারে পরিণত হন, যার পরিমাণ কোম্পানির মোট তহবিলের প্রায় সাত শতাংশ।[৪৩] ডিজনিতে জবসের অংশীদারত্ব ইসনারের অংশীদারত্বকেও ছাড়িয়ে যায় (ইসনারের অংশীদারত্ব ছিল ১.৭ শতাংশ)। এমনকি তা ডিজনি পরিবারের সদস্য রয় ই. ডিজনির অংশীদারত্বের চেয়েও বেশি হয়ে পড়ে, ২০০৯ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যার অংশীদারত্বের পরিমাণ ছিল প্রায় এক শতাংশ। জবস ডিজনির ৭ শতাংশ অংশীদারত্ব পেয়ে যান এবং কোম্পানির সবচেয়ে বড় একক অংশীদার হিসেবে পরিচালনা পরিষদে যোগ দেন।[৪৩][৪৪][৪৫][৪৬] জবসের মৃত্যুর পর ডিজনিতে তার অংশীদারত্ব স্টিভেন পি. জবস ট্রাস্টে স্থানান্তরিত হয়, যা পরিচালনা করেন লরেন জবস।[৪৭]

অ্যাপলে প্রত্যাগমন[সম্পাদনা]

থিংক ডিফারেন্ট প্রচারাভিযানের লোগো, ১৯৯৭ সালে অ্যাপলে জবসের প্রত্যাগমনের পর প্রবর্তিত হয়।

১৯৯৬ সালে, অ্যাপল নেক্সটকে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ক্রয়ের ঘোষণা দেয়। ১৯৯৬ সালের শেষ দিকে লেনদেন চূড়ান্ত হয়।[৪৮] এর মাধ্যমে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জবসের কোম্পানিটিতে প্রত্যাগমন ঘটে। ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে, অ্যাপলের তত্‍কালীন প্রধান নির্বাহী গিল আমেলিওকে উচ্ছেদ করা হলে জবস কার্যত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেপ্টেম্বরে তিনি অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহীর পদ পেয়ে যান।[৪৯] ১৯৯৮ সালের মার্চে, অ্যাপলকে পুনরায় লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করা প্রচেষ্টা হিসেবে জবস নিউটন, সাইবারডগ এবং ওপেনডকের মত কিছু প্রকল্প বন্ধ করে দেন। জবস ম্যাকিন্টস ক্লোনের লাইসেন্সকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনেন, তিনি এটিকে প্রস্তুতকারকদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল করে দেন।

নেক্সটকে কিনে নেওয়ার ফলে, এর অনেক পণ্য অ্যাপলের পণ্যে পরিণত হয়, যেমন নেক্সটস্টেপ হয়ে যায় ম্যাক ওএস এক্স। জবসের নির্দেশনার অধীনে, আইম্যাক এবং অন্যান্য নতুন কিছু পণ্য প্রবর্তনের পর কোম্পানিটি উল্লেখযোগ্যভাবে বাজারে জায়গা করে নিতে শুরু করে। এরপর থেকে, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং শক্তিশালী বিপণন ব্যবস্থা অ্যাপলের জন্য খুব ভালোভাবেই কাজ করতে থাকে। ২০০০ সালে ম্যাকওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে জবস দাপ্তরিকভাবে তার পদ থেকে “অন্তবর্তীকালীন” শব্দটি উঠিয়ে দেন এবং অ্যাপলের স্থায়ী প্রধান নির্বাহীতে পরিণত হন।[৫০] জবস সে সময় ঠাট্টা করে বলেন যে তিনি “আইসিইও” শিরোনামটি ব্যবহার করবেন।[৫১]

২০০৫ সালের ১১ জানুয়ারি, ম্যাকওয়ার্ল্ড সম্মেলন এবং আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে মঞ্চে স্টিভ জবস।

বহনযোগ্য মিউজিক প্লেয়ার আইপড, আইটিউনস ডিজিটাল মিউজিক সফটওয়ার এবং আইটিউনস স্টোর চালু করার মাধ্যমে কোম্পানিটি ভোক্তা ইলেক্ট্রনিক্স এবং সঙ্গীত বিপণন বাজারে হানা দেয়। ২০০৭ সালের ২৭ জুন, আইফোন অবমুক্ত করার মাধ্যমে অ্যাপল সেলুলার ফোন ব্যবসা শুরু করে। আইফোন হল স্পর্শকাতর পর্দা সমৃদ্ধ একটি সেল ফোন, যার মধ্যে একটি আইপডের বৈশিষ্ট্যসমূহও রয়েছে এবং নিজস্ব মোবাইল ব্রাউজারের মাধ্যমে, এটি মোবাইল ব্রাউজিং এর দৃশ্যপটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বয়ে আনে।

জবস তার পণ্য বিক্রয়ে দক্ষতার কারণে প্রশংসা এবং সমালোচনা উভয়ই পেয়েছেন। ২০০৫ সালে, জবস অ্যাপলের বার্ষিক সম্মেলনে কোম্পানির দূর্বল পূনর্ব্যাবহার পদ্ধতির সমালোচনায় সাড়া দেন। এর কয়েক সপ্তাহ পর, অ্যাপল ঘোষণা করে যে তারা তাদের খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে আইপড ফেরত নেবেন। ২০০৬ সালে, তিনি অ্যাপলের পূনর্ব্যাবহার প্রক্রিয়ার পরিবর্ধন করেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোন ক্রেতা নতুন ম্যাক ক্রয় করলেও এই সুবিধা পাবেন।[৫২]

পুনরায় অ্যাপল ত্যাগ[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আগস্টে, জবস অ্যাপলের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তিনি কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বহাল ছিলেন।[৫৩][৫৪] ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেয়ার বাজারে অ্যাপলের পাঁচ শতাংশ দরপতন ঘটে।[৫৫] এই ক্ষুত্র দরপতন অ্যাপলে জবসের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত বহন করে। বিগত কয়েক বছর ধরে তার স্বাস্থ সমস্যা খবরের শিরোনাম হয়ে আসছিল এবং তিনি ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে চিকিত্‍সার জন্য ছুটিতে ছিলেন।[৫৬] ফোর্বস কর্তৃক প্রকাশিত হয় যে জবসের পদত্যাগ অ্যাপলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেই সাথে দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারে, যেখানে তিনি পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।[৫৭] ঘোষণার দিন ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির শেয়ারেও ১.৫ শতাংশ দরপতন ঘটে।[৫৮]

ব্যবসায়িক জীবন[সম্পাদনা]

সম্পদ[সম্পাদনা]

জবস অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে বছরে মাত্র ১ মার্কিন ডলার বেতন গ্রহণ করতেন।[৫৯] অবশ্য তার কাছে অ্যাপলের ৫.৪২৬ মিলিয়ন শেয়ার ছিল, যার মূল্য ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া ছিল ডিজনির ১৩৮ মিলিয়ন শেয়ার, যার মূল্য ৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[৬০][৬১] জবস ঠাট্টস্বরূপ বলেন যে অ্যাপল থেকে তিনি বছরে যে ১ মার্কিন ডলার পান, তার ৫০ সেন্ট পান বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য এবং বাঁকি ৫০ সেন্ট পান নিজের কাজের জন্য।[৬২] ২০১০ সালে ফোর্বসের হিসাব অনুসারে, তার সম্পত্তির পরিমাণ ৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।[৬৩]

উদ্ভাবন[সম্পাদনা]

অক্টোবর ২০১১ পর্যন্ত স্টিভ জবসের নামে ৩৪২টি আমেরিকান উদ্ভাবনের স্বত্ত্ব অধিকার রয়েছে।

স্বাস্থ্য সমস্যা[সম্পাদনা]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

স্টিভ জবস ১৯৮৫ সালে স্টিভ ওজনিয়াকের সাথে প্রথম ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি লাভ করেন।[৬৪] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ২০১১ সালে ৩২ জনের নাম 'পার্সন অফ দ্য ইয়ার' হিসেবে মনোনীত করে। এ তালিকায় - আঙ্গেলা ম্যার্কেল, বারাক ওবামা, সিলভিও ব্যার্লুস্কোনি, লিওনেল মেসি প্রমূখ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি তিনিও স্থান পেয়েছেন৷[৬৫]

প্রভাব[সম্পাদনা]

ওয়াল্টেয়ার ইসাক্‌সন স্টিভ জোবসের একটি জীবনী লেখেন ‘স্টিভ জোবস’ নামে যা ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় এবং এর অনুপ্রেরণায় পরবর্তীকালে ড্যানি বোয়েল একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। লিসা ব্রেনানের লেখা ‘স্মল ফ্রাই’ কিংবা স্টিভ ওজনিয়াকের লেখা ‘আই ওয়াজ’ বইগুলিতেও আত্মজৈবনিক বর্ণনার মধ্য দিয়ে স্টিভ জোবসের কথা উঠে এসেছে বারবার।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

জবস অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৩ সালে জবসের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং পুরো সময়কাল জুড়ে তিনি বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। তার স্বাস্থ্য সমস্যা সত্ত্বেও, জবস ২০১১ সালের আগস্টে পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অ্যাপলের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। মৃত্যুর মাত্র দুই মাস আগে অ্যাপলের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। মৃত্যুর সময় জবসের বয়স ছিল ৫৬ বছর।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Smithsonian Oral and Video Histories: Steve Jobs"Smithsonian Institution। এপ্রিল ২০, ১৯৯৫। ৫ ডিসেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২০, ২০০৬ 
  2. Markoff, John (অক্টোবর ৫, ২০১১)। "Steve Jobs, Apple's Visionary, Dies at 56"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৫, ২০১১ 
  3. "The Walt Disney Company and Affiliated Companies – Board of Directors"The Walt Disney Company। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২, ২০০৯ 
  4. "Forbes 400 Richest Americans"Forbes। March, 2011। সংগ্রহের তারিখ March 10, 2011  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. দৃষ্টি আকর্ষণ: এই টেমপ্লেটি ({{cite doi}}) অবচিত। doi দ্বারা চিহ্নিত প্রকাশনা উদ্ধৃত করার জন্য:10.1126/science.1216019, এর পরিবর্তে দয়া করে |doi=10.1126/science.1216019 সহ {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}} ব্যবহার করুন।
  6. দৃষ্টি আকর্ষণ: এই টেমপ্লেটি ({{cite doi}}) অবচিত। doi দ্বারা চিহ্নিত প্রকাশনা উদ্ধৃত করার জন্য:10.1038/479042a, এর পরিবর্তে দয়া করে |doi=10.1038/479042a সহ {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}} ব্যবহার করুন।
  7. "'You've got to find what you love,' Jobs says"Stanford Report। জুন ১৪, ২০০৫। জুলাই ১১, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩১, ২০০৬ "I didn't see it then, but it turned out that getting fired from Apple was the best thing that could have ever happened to me".
  8. "Il santone della Silicon Valley che ha conquistato i tecno-boss" (Italian ভাষায়)। Repubblica.it। ২০০৮-০৬-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-৩০ 
  9. Andrews, Amanda (জানুয়ারি ১৪, ২০০৯)। "Steve Jobs, Apple's iGod: Profile"The Daily Telegraph। UK। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৯, ২০০৯ 
  10. "Steve Jobs profile: Apple's hard core"। Edinburgh: News scotsman। জানুয়ারি ১১, ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৯, ২০০৯ 
  11. "An exclusive interview with Daniel Kottke"। India Today। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩ 
  12. "What really shaped Steve Jobs' view of India – Realms of intuition or the pains of Delhi belly?"Economic Times। ভারত। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১। ২০১২-০৭-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩ 
  13. "Wandering in India for 7 months: Steve Jobs"। Yahoo News। ২৪ অক্টোবর ২০১১। ৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩ 
  14. Silberman, Steve (২৮ অক্টোবর ২০১১)। "What Kind of Buddhist was Steve Jobs, Really?"NeuroTribes। ১৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৩ 
  15. "Steve Jobs and the Early Apple Years"Joomla। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৩ 
  16. "Silicon Valley Historical Association official YouTube Channel, Steve Jobs Interview about the Blue Box Story" 
  17. Bonanos, Christopher (৭ অক্টোবর ২০১১)। "The Man Who Inspired Jobs"The New York Times। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩ 
  18. "The story of Polaroid inventor Edwin Land, one of Steve Jobs' biggest heroes"37signals.com। ১৮ নভেম্বর ২০১০। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩ 
  19. "Apple and the personal computer era"Steve Jobs Biography। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩ 
  20. Owen W. Linzmayer, No Starch Press। "Apple Confidential: The Real Story of Apple Computer, Inc"The Denver Post। ১২ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  21. Markoff, John (১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭)। "An 'Unknown' Co-Founder Leaves After 20 Years of Glory and Turmoil"The New York Times। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  22. "His Opportunity to Change the World"ACTS International। ৩০ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  23. Kahney, Leander (৬ জানুয়ারি ২০০৪)। "Wired News: We're All Mac Users Now"Wired News। ২৯ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  24. "America's Most Admired Companies: Jobs' journey timeline"Fortune। ২৬ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  25. Hertzfeld, Andy। "The Times They Are A-Changin"Folklore.org। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  26. Seibold, Chris (২৪ মে ২০১১)। "May 24, 1985: Jobs Fails to Oust Sculley"Apple Matters। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  27. Hormby, Thomas। "Growing Apple with the Macintosh: The Sculley years"Low End Mac। ২৮ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  28. Hertzfeld, Andy। "The End of an Era"Folklore.org। Archived from the original on ২৬ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  29. Dormehl, Luke (২০১২)। The Apple Revolution: Steve Jobs, the counterculture and how the crazy ones took over the world। Random House। পৃষ্ঠা ২৫৮–২৫৯। 
  30. Kopun, Francine (২৫ আগস্ট ২০১১)। "Life lessons from Jobs"The Star। টরোন্টো। ২৬ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৩ 
  31. Naughton, John (৮ অক্টোবর ২০১১)। "Steve Jobs: Stanford commencement address, June 2005"দ্য গার্ডিয়ান। লন্ডন। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৩ 
  32. Spector, G (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫)। "Apple's Jobs Starts New Firm, Targets Education Market"। PC Week। পৃষ্ঠা ১০৯। 
  33. Linzmayer, O. W. (২০০৪)। "Apple Confidential 2.0: The Definitive History of the World's Most Colorful Company"। No Starch Press। আইএসবিএন ১-৫৯৩২৭-০১০-০
  34. Rose, Frank (২৩ এপ্রিল ২০০৯)। "The End of Innocence at Apple: What Happened After Steve Jobs was Fired"Wired। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  35. "Welcome to info.cern.ch: The website of the world's first-ever web server"। CERN (European Organization for Nuclear Research)। ২০০৮। ৪ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  36. Schlender, Brenton R. (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০)। "Who's ahead in the computer wars"Fortune। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  37. O'Grady, J. (২০০৮)। Apple Inc.Greenwood Press। আইএসবিএন ০-৩১৩-৩৬২৪৪-০
  38. "Pixar Founding Documents"Alvyray.com। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  39. ""Toy Story" Credits"IMDB। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  40. Hill, Jim (৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Steve Jobs bio reveals how Michael Eisner actively tried to derail Disney's 2006 acquisition of Pixar"। Jim Hill Media। ১০ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  41. জার্মান পাবলিক রেডিওর জন্য ম্যাক্সিমিলিয়ান স্কোনার কর্তৃক পরিচালিত সাক্ষাত্‍কার, মার্চ ২৭, ১৯৯৫
  42. Wolff, Michael (এপ্রিল ২০০৬)। "iPod, Therefore I am"Vanity Fair। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  43. "Disney buys Pixar for $7.4 bn"রেডিফ। ২৫ জানুয়ারি ২০০৬। ১৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  44. "Pixar Becomes Unit of Disney"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ৬ মে ২০০৬। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  45. "Steve Jobs, 1955–2011"। Splashnogly। ৬ অক্টোবর ২০১১। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  46. HOLSON, Laura M. (২৫ জানুয়ারি ২০০৬)। "Disney Agrees to Acquire Pixar in a $7.4 Billion Deal"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  47. Golum, Rob (২৪ নভেম্বর ২০১১)। "Jobs's 7.7% Disney Stake Transfers to Trust Led by Widow Laurene"ব্লুমবার্গ। ২০১৩-১০-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  48. "Apple Computer, Inc. Finalizes Acquisition of NeXT Software Inc"অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড। ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  49. "Apple Formally Names Jobs as Interim Chief"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  50. Norr, Henry (৬ জানুয়ারি ২০০০)। "MacWorld Expo/Permanent Jobs/Apple CEO finally drops 'interim' from title"San Francisco Chronicle। ২০১২-০৭-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  51. "Jobs announces new MacOS, becomes 'iCEO'"সিএনএন। ৫ জানুয়ারি ২০০০। ৮ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  52. Johnson, Bary Alyssa (২১ এপ্রিল ২০০৬)। "Apple Improves Recycling Plan"PC Magazine। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  53. Siegler, M.G. (২৪ আগস্ট ২০১১)। "Steve Jobs Resigns As CEO Of Apple"TechCrunch। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  54. Gupta, Poornima (১৮ আগস্ট ২০১১)। "Steve Jobs Quits"রয়টার্স। ২ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  55. "AAPL: Summary for Apple IncFinance"ইয়াহু। ২ জানুয়ারি ২০০৭। ২৮ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  56. Valentino-DeVries, Jennifer (২৪ আগস্ট ২০১১)। "Apple's Stock: Looks Like Jobs's Departure Was Priced In"Wall Street Journal। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  57. Schaefer, Steve (২৪ আগস্ট ২০১১)। "Steve Jobs Steps Down, Apple Shares Drop 5% After-Hours"ফোর্বস। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  58. "DIS: Summary for Walt Disney Company"ইয়াহু। ২ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১২ 
  59. "Executive salaries on the rise again"NineMSN। ২৯ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  60. Kim, Susanna (৭ অক্টোবর ২০১১)। "Future of Steve Jobs' $6.7 Billion Wealth Likely to Remain as Private As He Was"ABC News। ৭ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১২ 
  61. "Steve Jobs is $282 million richer"ফরচুন। সিএনএন। ২০০৯। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  62. Hatmaker, Taylor (৬ অক্টোবর ২০১১)। "8 things you didn't know about the life of Steve Jobs"Tecca। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  63. "Forbes 400 Richest Americans"ফোর্বস। সেপ্টেম্বর ২০১১। ২৬ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  64. http://www.uspto.gov/about/nmti/recipients/1985.jsp
  65. টাইম ম্যাগাজিনের পার্সন অফ দ্য ইয়ার’এর জন্য মনোনীত মেসি, সংগ্রহকালঃ ২৭ নভেম্বর, ২০১১ইং

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]