সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০০৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস কুচকাওয়াজে একটি অগ্নি-২ মিশাইল।

সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি (আইজিএমডিপি) ছিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি কর্মসূচি। এই কর্মসূচির সময়কাল ছিল ১৯৮০-এর দশকের গোড়া থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এই কর্মসূচির অধীনে বিভিন্ন রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়। এর মধ্যে আছে মাঝারি পাল্লার অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র (ভূমি থেকে ভূমি) এবং কয়েকটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যেমন, পৃথ্বী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ভূমি থেকে ভূমি), আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (ভূমি থেকে আকাশ), অস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র (আকাশ থেকে আকাশ), ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্র (ভূমি থেকে আকাশ) ও নাগ ক্ষেপণাস্ত্র (ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী)। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিআরডিও) এই কর্মসূচির দায়িত্বে ছিল। ভারত সরকারের বিভিন্ন পরীক্ষাগার ও গবেষণা কেন্দ্র এই ব্যাপারে ডিআরডিও-কে সাহায্য করত। এই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান চিফ ইঞ্জিনিয়ার ড. আব্দুল কালাম ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১]

১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পের অধীনে বেশ কয়েকটি প্রধান স্ট্রাটেজিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়। এই প্রকল্পের অধীনে নির্মিত শেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি হল অগ্নি-৩ ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিশাইল। ২০০৭ সালের ৯ জুলাই সফলভাবে অগ্নি-৩ উৎক্ষেপণ করা হয়।[২] ২০০৮ সালের ৮ জানুয়ারি এবং তারপর ২০০৮ সালেরই ৭ মে অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের তৃতীয় পরীক্ষার পর ডিআরডিও ঘোষণা করে যে, যেহেতু আইজিএমডিপি প্রকল্পের অধীনে পরিকল্পিত সব কটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়ে গেছে এবং ভারতের সামরিক বাহিনী তা ব্যবহার শুরুও করে দিয়েছে, সেই হেতু তারা প্রকল্পটি বন্ধ করে দিচ্ছে।[৩] ডিআরডিও অধিকর্তা ড. এস প্রহ্লাদ বলেন, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্র নতুন পঞ্চবার্ষিকী কর্মসূচির মাধ্যমে ভারতের বেসরকারি শিল্প ও বিদেশি সহযোগীদের সাহায্য কম খরচে তৈরি করা হবে। ডিআরডিও স্বাধীনভাবে নাগ ও সূর্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যায়।[৪] সেই সঙ্গে ডিআরডিও ভারতের দিকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে লেজার-ভিত্তিক অস্ত্রও তৈরি করছে। এই কাজ চলছে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচির অধীনে।[৫]

২০০৮ সালে ভারত জানিয়ে দেয় রণকৌশলগত সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি তার নির্ধারিত লক্ষ্য পূর্ণ করেছে। এর পর থেকে রণকৌশল-সংক্রান্ত (স্ট্রাটেজিক) প্রকল্পগুলি এককভাবে (যেমন অগ্নি প্রকল্পের ক্ষেত্রে হয়েছে) পরিচালনা করা হবে। অন্যদিকে কৌশল-সংক্রান্ত (ট্যাকটিক) প্রকল্পগুলি যৌথভাবে পরিচালনা করা হবে। সেক্ষেত্রে বিদেশি সহযোগীও নেওয়া হবে।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Biography: Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam"Vigyan Prasar Science Portal। ২০০৭-০৩-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-১৪ 
  2. PIB Press Release:Agni III Launched Successfully April 12, 2007, Indian Government Press Information Bureau
  3. "India scraps integrated guided missile programme"The Hindu। Chennai, India। ২০০৮-০১-০৯। ২০১২-১১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-০৯ 
  4. "The Hindu News Update Service"। Chennai, India: Hindu.com। ২০০৮-০১-২৯। ২০১১-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  5. "The Hindu News Update Service"। Chennai, India: Hindu.com। ২০০৯-০১-১৮। ২০১১-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  6. "The Hindu News Update Service"। Chennai, India: Hindu.com। ২০০৮-০১-০৯। ২০১০-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ভিডিও[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Indian missiles

টেমপ্লেট:Defence Research and Development Organisation (DRDO)