সাম্প্রদায়িকতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধম্মায়েত্র, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে থাইল্যান্ড সীমান্তে লাম্পাটাও, কম্বোডিয়ায় একটি বার্ষিক শান্তি মিছিল।

সাম্প্রদায়িকতা (ইংরেজি: Communalism) হচ্ছে এক ধরনের মনোভাব। কোন ব্যক্তির মনোভাবকে তখনই সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যা দেওয়া হয় যখন সে এক বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ভুক্তির ভিত্তিতে অন্য এক ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং তার অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধচারণ এবং ক্ষতিসাধন চেষ্টা করা।[১] নিজের বিশ্বাস্য বা অনুসৃত মতবাদকে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাবা এবং অন্যের মতবাদকে ভুয়া, নিকৃষ্ট আর বাতিল গণ্য করে সেসব মতবাদ ও মতবাদিকে ঘৃণা বা প্রতিহত করার ইচ্ছা যার বা যাদের মনে জাগ্রত তাদের সাম্প্রদায়িক বলে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে কোনো কিছু বিশ্বাস করতে বা বিশ্বাস্য/ মাতবাদিক কোনো আচরণ পালন করতে বা কোনো আচরণ হতে বিরত থাকতে বাধ্য করাও সাম্প্রদায়িকতা।

এ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিবিশেষের ক্ষতিসাধন করার মানসিক প্রস্তুতি সেই ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ পরিচয় অথবা বিরুদ্ধতা থেকে সৃষ্ট নয়। ব্যক্তিবিশেষ এ ক্ষেত্রে গৌণ, মুখ্য হলো সম্পদায়। ধর্মনিষ্ঠার সাথে সম্পর্ক আছে ধর্মীয় তত্ত্ব এবং আচার বিচারের। সাম্প্রদায়িকতার যোগ আছে সম্পদায়ের সাথে। অর্থাৎ ধর্মনিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যক্তির নিজের আচরণ এবং ধর্মবিশ্বাসের গুরুত্ব বেশি।[২] সাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে নিজের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ এক জাতীয় আনুগত্যের গুরুত্ব বেশি। এ ছাড়া সত্যকার ধর্মনিষ্ঠা পরকালমুখী। পরকালেই তার সত্যকার পুরস্কারের আশা। সাম্প্রদায়িকতার মুনাফা ইহলোকে। ধর্মনিষ্ঠার জন্য অন্যের বিরুদ্ধাচরণের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. উমর, বদরুদ্দিন (১৯৮০)। সাম্প্রদায়িকতা। ঢাকা: মুক্তধারা। পৃষ্ঠা ৯। 
  2. "Secularism Vs Communalism"। ৮ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০০৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]