সানা মীর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সানা মীর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামসানা মীর
জন্ম (1986-01-05) ৫ জানুয়ারি ১৯৮৬ (বয়স ৩৮)
অ্যাব্‌টাবাদ, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তান
ব্যাটিংয়ের ধরনডান হাতি
বোলিংয়ের ধরনডান হাতি লেগ স্পিন
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক২৮ ডিসেম্বর ২০০৫ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৯–২০১০জারাই তারাকিতী ব্যাংক লিমিটেড নারী
২০০৫–২০১০পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নারী গ্রীণ
২০০৮–২০০৯সাউথ জোন (পাকিস্তান) নারী
২০০৫–২০০৮করাচী নারী
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই টি২০আই ডব্লিউএলও ডব্লিউটি২০
ম্যাচ সংখ্যা ৯৫ ৭৫ ১৩৬ ১০১
রানের সংখ্যা ১,২১৭ ৬৮৭ ১,৮৮৮ ১.০২৮
ব্যাটিং গড় ১৬.৬৭ ১৪.৩১ ২০.৫২ ১৬.৮৫
১০০/৫০ ০/২ ০/০ ১/৫ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৫২ ৪৮* ১০৪* ৫০*
বল করেছে ৪,৫৯১ ১,৫৬২ ৬,২২৪ ২,০০০
উইকেট ১০৪ ৬৬ ১৬৫ ৮৭
বোলিং গড় ২৬.৬১ ২০.৩৭ ২১.১২ ১৮.৯০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - - - -
সেরা বোলিং ৫/৩২ ৪/১৩ ৫/১৮ ৪/৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩০/– ১৭/– ৪৫/– ২৪/–
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সানা মীর (জন্ম: ৫ জানুয়ারি, ১৯৮৬) হলেন একজন কাশ্মীরি বংশোদ্ভুত পাকিস্তানি নারী ক্রিকেটার এবং পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।[১] তাকে ২০০৮ সালের নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার খেলায প্লেয়ার অব দ্যা টূর্ণামেন্ট ঘোষণা করা হয় এবং বর্তমানে আইসিসি খেলোয়াড় র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৬তম ওডিআই বোলারের অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি পাকিস্তানি ২০ খেলোয়াড়ের মধ্যে অন্যতম একজন।[২] প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে এক শ উইকেট নেওয়া ক্রিকেটার তিনি।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পাশাপাশি, মীর একজন পরিপূর্সণ ছাত্রী ছিলেন। তার প্রিয় ক্রিকেটার হলেনে ওয়াকার ইউনুস, ইমরান খান[৪]

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

অধিনায়কত্ব[সম্পাদনা]

৪ মে ২০০৯ সালে মীরকে পাকিস্তান ২০০৯ সালের আইসিসি নারী বিশ্বকাপ টুয়েন্টি২০ জন্য অধিনায়ক নির্বাচিত করেন।[৫] তিনি পূর্বে উরুজ মুমতাজ এর অধীনে সহ-অধিনায়ক ছিলেন। সহ-অধিনায়ক হিসেবে মীর এর কর্তব্য নাইন আবিদি এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।[৬] মীরকে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি নারী ক্রিকেট প্রতিযোগীতার জন্য অধিনায়কত্ব অপরিবর্তিত রাখা হয়।[১]

২০১০[সম্পাদনা]

২০১০ সালের এশিয়ান গেমস, মীরের নেতৃত্বে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল স্বর্ণ পদক লাভ করে।[৭] উক্ত প্রতিযোগিতায় সানা মীরের অসাধারণ অধিনায়কত্ব এবং মার্জিত ক্রিকেটের সুবাদে সর্বপ্রথম নারীদের ক্রিকেটে স্বর্ণপদক লাভ করেন।

২০১১[সম্পাদনা]

চতুর্থবারের জন্য জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে সানা মীর ঘরোয়া পর্যায়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। তার দল এখনো পর্যন্ত গত চার বছরে ঘরোয়া পর্যায়ে একটি খেলাতেও হেরে যায়নি। এছাড়াও সানা মীর পাকিস্তান জাতীয় দলের নেতৃত্বে তাদের প্রথম টুর্নামেন্টে জয় টি২০ এবং ওয়ানডে উভয় ফরম্যাটের। উক্ত টুর্নামেন্ট ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চার দেশী কাপে দল ছিল শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, এবং হল্যান্ড। তিনি টি২০ চার দেশীয় কাপের ফাইনালে ম্যাচ খেতাব নারীতে ভূষিত হন।

ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ার ২০১২:[সম্পাদনা]

নারী দল তার অধিনায়কত্ব অধীনে ২০১২ টি২০ এবং ২০১৩ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে। প্রথমবারের মতো দলটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে যার ফলে, ৮ থেকে ৬ নং র্যা়ঙ্কিয়ে তাদের উন্নতি হয়।

২০২০[সম্পাদনা]

২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এসে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সানা মীর।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sana retains captaincy, Retrieved 25 August 2010.
  2. Reliance Mobile Rankings: Women's ODI Bowlers, Retrieved 25 August 2010.
  3. "অবসর নিলেন সানা মীর"। prothomalo.com। ২৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৬, ২০২০ 
  4. Yahoo! Cricket: Sana Mir Profile ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জুলাই ২০১১ তারিখে, Retrieved 25 August 2010.
  5. Dawn News: Sana Mir T20 captain, Retrieved 25 August 2010.
  6. Cricinfo: Sana Mir to lead T20 team, Retrieved 25 August 2010.
  7. Final result ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ নভেম্বর ২০১০ তারিখে Official Asian Games website. Retrieved 19 November 2010.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]