সরফরোশী কী তমন্না

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
سرفروشی کی تمنا
সরফরোশী কী তমন্না
 
বিসমিল আজিমাবাদী কর্তৃক রচিত
দেশব্রিটিশ ভারত
ভাষাউর্দু
বিষয়স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগ

সরফরোশী কী তমন্না (উর্দু: سرفروشی کی تمنا‎‎) ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী বিসমিল আজিমাবাদী[১] দ্বারা রচিত একটি উর্দু কবিতা।[২] ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনপূর্বক এই কবিতাটি রচিত হয়।[৩][৪][৫]

কথা[সম্পাদনা]

গানের কথা উর্দু ভাষায় বাংলা প্রতিলিপিকরণ


سرفروشی کی تمنا اب ہمارے دل میں ہے
دیکھنا ہے زور کتنا بازوئے قاتل میں ہے

کرتا نہیں کیوں دوسرا کچھ بات چیت
دیکھتا ہوں میں جسے وہ چپ تیری محفل میں ہے
اے شہید ملک و ملت میں تیرے اوپر نثار
اب تیری ہمت کا چرچہ غیر کی محفل میں ہے
سرفروشی کی تمنا اب ہمارے دل میں ہے

وقت آنے دے بتا دیں گے تجھے اے آسمان
ہم ابھی سے کیا بتائیں کیا ہمارے دل میں ہے
کھینج کر لائی ہے سب کو قتل ہونے کی امید
عاشقوں کا آج جمگھٹ کوچئہ قاتل میں ہے
سرفروشی کی تمنا اب ہمارے دل میں ہے

ہے لئے ہتھیار دشمن تاک میں بیٹھا ادھر
اور ہم تیار ہیں سینہ لئے اپنا ادھر
خون سے کھیلیں گے ہولی گر وطن مشکل میں ہے
سرفروشی کی تمنا اب ہمارے دل میں ہے

ہاتھ جن میں ہو جنون کٹتے نہیں تلوار سے
سر جو اٹھ جاتے ہیں وہ جھکتے نہیں للکا ر سے
اور بھڑکے گا جو شعلہ سا ہمارے دل میں ہے
سرفروشی کی تمنا اب ہمارے دل میں ہے

ہم جو گھر سے نکلے ہی تھے باندھ کے سر پہ کفن
جان ہتھیلی پر لئے لو، لے چلے ہیں یہ قدم
زندگی تو اپنی مہمان موت کی محفل میں ہے
سرفروشی کی تمنا اب ہمارے دل میں ہے

یوں کھڑا مقتل میں قاتل کہہ رہا ہے بار بار
کیا تمناِ شہادت بھی کِسی کے دِل میں ہے
دل میں طوفانوں کی ٹولی اور نسوں میں انقلاب
ہوش دشمن کے اڑا دیں گے ہمیں روکو نہ آج
دور رہ پائے جو ہم سے دم کہاں منزل میں ہے

وہ جِسم بھی کیا جِسم ہے جس میں نہ ہو خونِ جنون
طوفانوں سے کیا لڑے جو کشتیِ ساحل میں ہے

سرفروشی کی تمنا اب ہمارے دل میں ہے
دیکھنا ہے زور کتنا بازوئے قاتل میں ہے

সরফরোশী কী তমন্না অব হমারে দিল মেঁ হ্যায়
দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-এ-কাতিল মেঁ হ্যায়

করতা নহী কিঁউ দুসরা কুছ বাতচীত,
দেখতা হুঁ ম্যাঁয় ওয়া চুপ তেরি মহফিল মেঁ হ্যায়
অ্যায় শহীদ-এ-মুল্ক-ও-মিল্লত, ম্যাঁয় তেরে উপর নিসার,
অব তেরী হিম্মত কা চর্চা গ্যার কী মহফিল মেঁ হ্যায়
সরফরোশী কী তমন্না অব হমারে দিল মেঁ হ্যায়

ওয়াক্ত আনে পর বতা দেঙ্গে তুঝে, অ্যায় আসমান,
হম অভী সে ক্যা বতায়েঁ ক্যা বিসমিলে দিল মেঁ হ্যায়
খেঁচ কর লাঈ হ্যায় সব কী কৎল হোনে কী উমীদ,
আশিকোঁ কা আজ জমগট কুচা-এ-কাতিল মেঁ হ্যায়
সরফরোশী কী তমন্না অব হমারে দিল মেঁ হ্যায়

হ্যায় লিয়ে হথিয়ার দুশম্ন তাক মেঁ বৈঠা উধর,
ঔর হম তৈয়ার হ্যায় সীনা লিয়ে আপনা ইধর
খুন সে খেলেঙ্গে হোলী গর বতন মুশকিল মেঁ হ্যায়,
সরফরোশী কী তমন্না অব হমারে দিল মেঁ হ্যায়

হাথ, জিন মেঁ হো জুনুন, কটনে নহী তলবার সে,
সর জো উঠ জাতে হ্যায় ওয়াহ নহীঁ ললকার সে
ঔর ভড়কেগা জী শোলা সা হমারে দিল মেঁ হ্যায়,
সরফরোশী কী তমন্না অব হমারে দিল মেঁ হ্যায়

হম তো হর সে হী থে নিকলে বাঁধকর সর পর কফন,
জাঁ হথেলী পর লিয়ে লো বঢ় চলে হ্যায় ইয়ে কদম
জিন্দেগী তো অপনী মেহমাঁ মৌত কী মহফিল মেঁ হ্যায়,
সরফরোশী কী তমন্না অব হমারে দিল মেঁ হ্যায়

য়ুঁ খড়া মক্তল মেঁ কাতিল কহ রহা হ্যায় বার-বার,
ক্যা তমন্না-এ-শহাদত ভী কিসী কে দিল মেঁ হ্যায়?
দিল মেঁ তুফানোঁ কী টোলী ঔর নসোঁ মেঁ ইনকিলাব,
হোশ দুশমন কে উড়া দেঙ্গে হমেঁ রোকো ন আজ
দূর রহ পায়ে জো হমসে দম কহাঁ মঞ্জিল মেঁ হ্যায়,

জিস্ম ভী ক্যা হিস্ম হ্যায় জিসমেঁ ন হো খুন-এ-জুনুন
ক্যা লড়ে তুফান সে জো কশতী-এ-সাহিল মেঁ হ্যায়

সরফরোশী কী তমন্না অব হমারে দিল মেঁ হ্যায়
দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-এ-কাতিল মেঁ হ্যায়

স্বাধীনতা আন্দোলনের রণহুঙ্কার[সম্পাদনা]

ভারতে ব্রিটিশ শাসনামলে একজন ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা রামপ্রসাদ বিসমিলের মাধ্যমে কবিতাটি রণহুংকার হিসাবে অমর হয়ে আছে।[৬][৭][৮] এটি আসফাকউল্লা খান, ভগৎ সিং এবং চন্দ্রশেখর আজাদের মত তরুণ প্রজন্মের আন্তঃ-যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথেও সম্পর্ক যুক্ত।[৯]

চলচ্চিত্রে ব্যবহার[সম্পাদনা]

১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভগৎ সিংয়ের জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ও মনোজ কুমার অভিনীত শহীদ নামক চলচ্চিত্রে এই কবিতা ব্যবহৃত হয়।[১০] পরবর্তীকালে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে দ্য লিজেন্ড অব ভগৎ সিং, ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে রং দে বাসন্তী এবং ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে গুলাল ইত্যাদি চলচ্চিত্রে এই কবিতা ব্যবহৃত হয়।

দ্ব্যর্থতা নিরসন[সম্পাদনা]

সরফরোশী কী তমন্না কবিতাটির রচয়িতা রামপ্রসাদ বিসমিল বলে ভুলভাবে তার নামের সাথে যুক্ত হয়। প্রকৃতপক্ষে এটির রচয়িতা বিসমিল আজিমাবাদী। এটি বিসমিল আজিমাবাদীর একটি জনপ্রিয় গজল। দুজনেই আলাদা আলাদা ব্যক্তিত্ব। পণ্ডিত রাম প্রসাদ বিসমিল উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যার বিভিন্ন ছদ্মনাম বিসমিল, রাম ইত্যাদি ছিল, তবে আজিমাবাদ (পাটনা) এর সাথে তার কোনও যোগসূত্র না থাকার কারণে তার নাম কখনো আজিমবাদী ছিলনা। বিসমিল আজিমাবাদী আজিমাবাদে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাই তার ছদ্মনাম আজিমাবাদী। এটি এখন উদঘাটিত হয়েছে যে, উক্ত গজলটি বিহারের বিসমিল আজিমাবাদী রচনা করেছিলেন এবং তার ওস্তাদ শাদ আজিমাবাদী সংশোধন করেছিলেন।[১১]

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Ghazals of bismil-azimabadi"Rekhta। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০২ 
  2. Kanda, K. C. (২০০৫)। Masterpieces of Patriotic Urdu Poetry: Text, Translation, and Transliteration। Sterling Publishers। পৃষ্ঠা 107। আইএসবিএন 9788120728936 
  3. Das, Sisir Kumar, "A Chronology of Literary Events / 1911–1956", in Das, Sisir Kumar and various, History of Indian Literature: 1911-1956: Political Movements and Indian Writers, Page 82 Sarfaroshi Ki Tamanna, 1995, published by Sahitya Akademi, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭২০১-৭৯৮-৯, retrieved via Google Books on 19 May 2013
  4. Ram Prasad Bismil Kranti Geetanjali 1929 (reprinted:2006) page-15
  5. Vande Mataram 1929 (Zabtashuda Nazmein page 27)
  6. Sehgal, Anil, সম্পাদক (২০০১)। "Ali Sardar Jafri"Lokodaya Granthamala। Bharatiya Jnanpith। 685আইএসবিএন 978-8-12630-671-8। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২০ 
  7. Muhammad, Shan (২০০২)। Muslims and India's freedom movement (ইংরেজি ভাষায়)। Institute of Objective Studies, New Delhi, India। আইএসবিএন 9788185220581। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  8. Hasan, Mushirul (২০১৬)। Roads to Freedom: Prisoners in Colonial India (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 9780199089673। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  9. Noorani, Abdul Gafoor Abdul Majeed (১৯৯৬)। The trial of Bhagat Singh: politics of justice। Konark। পৃষ্ঠা 16। 
  10. "History Book Sl.No. 12 Chapter Ram Prasad Bismil Page No. 82" (পিডিএফ)। ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৫ 
  11. "Sarfaroshi ki tamanna - Bismil Azimabadi"TAWARIKHKHWANI (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]