শুশুনিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শুশুনিয়া
শুশুনিয়া পাহাড়
সর্বোচ্চ বিন্দু
উচ্চতা৪৪৮ মিটার (১,৪৭০ ফুট)
ভূগোল
অবস্থানছাতনা, বাঁকুড়া জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
মূল পরিসীমাছোটোনাগপুর মালভূমি

শুশুনিয়া পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি পাহাড়। এই পাহাড় তার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য বিখ্যাত।[১]

শুশুনিয়া পাহাড় একটি পরিচিত পুরাতাত্ত্বিক ও জীবাশ্ম ক্ষেত্র। এই অঞ্চলে সিংহ, জিরাফ, হায়না ও অন্যান্য অনেক জীবজন্তুর জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম শিলালিপিটি এই পাহাড়েই অবস্থিত। এখানে একটি ঝরনার মুখে একটি প্রাচীন এক পাথরের নরসিংহ মূর্তি দেখা যায়। শুশুনিয়া ক্যাম্পিং Campingপর্বতারোহণ Rock Climbing এর একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। শুশুনিয়া গ্রামের পাথর খোদাই শিল্প খুবই বিখ্যাত। এখানে অনেক প্রস্তরযুগীয় প্রত্নসামগ্রীও পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হয়, প্রাচীনকালে রাজা চন্দ্রবর্মণ এখানে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। শুশুনিয়ায় প্রাপ্ত একটু খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর শিলালিপি থেকে জানা যায় যে চন্দ্রবর্মণের রাজধানী ছিল পুষ্করণা শহর, যেটি বর্তমানে পোখরনা নামে পরিচিত।[২]

শুশুনিয়া একটি পর্বতারোহণ কেন্দ্র।[৩] ছাতনা শহরের ১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এই পাহাড় অবস্থিত। ছাতনা শহরটি আবার বাঁকুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া রোডের ধারে অবস্থিত।

শুশুনিয়ার কাছে শালতোড়া থানার নেতকমলা গ্রাম এবং ছাতনা ছানার বিন্ধ্যজাম গ্রাম দুটি বিখ্যাত ডোকরা শিল্পকেন্দ্র।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Social Search, 1995. Published by Bankura Exploration Nature Academy, Kenduadihi, Bankura 722102, West Bengal, India.
  2. Majumdar, R.C., History of Ancient Bengal, pp. 32, 444, Tulshi Prakashani.
  3. "Rock Climbing"। ২০১২-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-১৯ 
  4. Ghosh, Binoy, Paschim Banger Sanskriti, (in Bengali), part I, 1976 edition, pp. 408-409, Prakash Bhaban