রফিকুল ইসলাম (বীর প্রতীক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রফিকুল ইসলাম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্বপাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর প্রতীক

রফিকুল ইসলাম হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

তার বাবার নাম আবদুল আলী দেওয়ান। মায়ের নাম ফরিদা খাতুন। ১৯৭১ সালে মোঃ রফিকুল ইসলামের বয়স ছিল ১৫ বছর। সে সময় তিনি ফরিদপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি তার শিক্ষাজীবনের ৩টি বছর ফরিদপুর জিলা স্কুল হতে সম্পন্ন করেন । স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে তিনি মুন্সীগঞ্জের রামপাল হাইস্কুলে ভর্তি হন এবং এই স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। [২]

মুক্তিযুদ্ধে অবদান[সম্পাদনা]

রফিকুল ইসলাম ১৯৭১ সালের ২৮ মে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মেলাঘরে যান। সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি ২ নম্বর সেক্টরে যোগ দেন। পরে মুন্সীগঞ্জ জেলায় থানা কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মধ্যভাগের চরে একটি সেতু ধ্বংসের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত শেলের টুকরার আঘাতে তিনি আহত হন। এরপর তার সহযোদ্ধারা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি আবার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম মুন্সীগঞ্জ, টংগিবাড়ী, গজারিয়া, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি, হোমনা, দেবীদ্বার, পানতি, পাহাড়পুর, কোনাবন এবং ঢাকার মাতুয়াইলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের তাঁবেদার বাহিনী রাজাকারদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় সাহসিকতার সঙ্গে গেরিলা কায়দায় খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ করেছেন। [৩]

সম্মাননা ও স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ২৮-০৩-২০১১"। ২০১৪-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৩ 
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 9789843351449 
  3. একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। এপ্রিল ২০১২। পৃষ্ঠা ১৭১। আইএসবিএন 9789843338884 

পাদটীকা[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]