মানুষের লৈঙ্গিক পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পাইওনিয়ার স্মারক
পাইওনিয়ার স্মারক
পুরুষের শ্রোণী
পুরুষের শ্রোণী
নারীর শ্রোণী
নারীর শ্রোণী

উপরে: পাইওনিয়ার ফলকে অঙ্কিত পুরুষ ও নারী। নিচে: পুরুষ (বামে) ও নারী (ডানে) শ্রোণীচক্রের অস্থির তুলনামূলক চিত্র।

লৈঙ্গিক পার্থক্য বলতে সচারচর জীবপ্রজাতির পুরুষ ও স্ত্রী’র মধ্যে বিদ্যমান জৈবিক এবং/অথবা মানসিক বৈশিষ্টগত পার্থক্য বোঝায়। এই পার্থক্যগুলো উভয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই নিবন্ধে মানুষের পুরুষ ও নারীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বয়সের ক্ষেত্রে গড়পড়তা পার্থক্যের দিকে আলোকপাত করেছে। উদাহরণস্বরূপ, সাধারণত এবং গড়ে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ উচ্চতায় প্রাপ্তবয়স্ক নারীর চেয়ে লম্বা,[১] কিন্তু একজন নির্দিষ্ট নারী একজন নির্দিষ্ট পুরুষের চেয়ে লম্বা হতে পারেন। এই নিবন্ধে পরিষ্কারভাবে নারী-পুরুষ উভয়ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এমন পার্থক্যগুলো উল্লেখিত হয়েছে। যদিও কিছু লৈঙ্গিক পার্থক্য আছে যা বিতর্কিত।

শারীরিক পার্থক্য[সম্পাদনা]

উপস্থাপনা[সম্পাদনা]

  • গড়ে, পুরুষ নারীর থেকে বেশি লম্বা, প্রায় আধা ফুট (~১৫ সেন্টিমিটার)[১]
  • কটি-জঘন অনুপাত গড়ে নারীর তুলনায় পুরুষের বেশি (কটি-জঘন অনুপাত দেখুন)।
  • গড়ে, পুরুষের কর্তন দাঁতের দৈর্ঘ্য নারীর তুলনায় বেশি
  • গড়ে, পুরুষ নারীর তুলনায় বেশি শক্তিশালী। পুরুষের উচ্চ মাত্রার টেস্টোস্টেরন ক্ষরণের ফলে পেশি বিকাশ সুগঠিত হওয়ায় এমনটি হয়।
  • গড়ে, পুরুষের শরীরের নারী চেয়ে লোমের পরিমাণ বেশি।
  • পুরুষের ত্বক, নারীর ত্বকের তুলনায় বেশি মোটা (বেশি কোলাজেন সমৃদ্ধ) এবং তৈলাক্ত (সেবামের পরিমাণ বেশি থাকে)।[২]
  • নারীর ত্বক পুরুষের ত্বকের তুলনায় বেশি কোমল।
  • পুরুষের তর্জনী, অনামিকার তুলনায় ছোট। অপরদিকে নারীর তর্জনী, অনামিকার তুলনায় বড়।
  • নারীর শ্রোণীঅঞ্চল, পুরুষের তুলনায় প্রশস্ত। সন্তান ধারণ ও জন্মদানের জন্য নারীর শ্রোণীঅঞ্চল বড় হয়।
  • পুরুষের কণ্ঠমণি (Adam's Apple) রয়েছে, যার ফলে ভোকাল কর্ড বড় এবং কণ্ঠস্বর ভারী/গম্ভীর হয়।[৩]

অন্যান্য পার্থক্য[সম্পাদনা]

  • নারীর শরীরে চর্বির পরিমাণ পুরুষের তুলনায় বেশি।[১]
  • পুরুষের রক্তচাপ নারীর তুলনায় বেশি। এবং নারীর হৃৎস্পন্দন পুরুষের তুলনায় বেশি, এমন কী যখন তারা ঘুমিয়ে থাকে তখনও।[৪]
  • পেশি কলার ঘনত্ব নারীর থেকে পুরুষের বেশি, বিশেষ করে উর্ধ্বাঙ্গে।
  • পুরুষ ও নারীর কিছু হরমোনের ক্ষেত্রে মাত্রা ভিন্ন। যেমন: পুরুষের অ্যান্ড্রোজেন ক্ষরণের হার বেশি। অপরদিকে নারীর ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণের হার বেশি।
  • প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা প্রায় ৫২ লক্ষ, অপরদিকে প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ৪৬ লক্ষ।[৫].

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Gustafsson A & Lindenfors P (২০০৪)। "Human size evolution: no allometric relationship between male and female stature"। Journal of Human Evolution47: 253–266। ডিওআই:10.1016/j.jhevol.2004.07.004 
  2. Gender-related features of skin ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ আগস্ট ২০০৯ তারিখে Procter & Gamble Haircare Research Centre 1997
  3. http://wiki.answers.com/Q/Why_do_men_have_Adam's_apples
  4. Bren, Linda (২০০৫)। "Does Sex Make a Difference?"FDA Consumer magazine  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  5. Howstuffworks "Red Blood Cells"

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]