মনোহরদী উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°৭′৩১″ উত্তর ৯০°৪২′১৪″ পূর্ব / ২৪.১২৫২৮° উত্তর ৯০.৭০৩৮৯° পূর্ব / 24.12528; 90.70389
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মনোহরদী
উপজেলা
মানচিত্রে মনোহরদী উপজেলা
মানচিত্রে মনোহরদী উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৭′৩১″ উত্তর ৯০°৪২′১৪″ পূর্ব / ২৪.১২৫২৮° উত্তর ৯০.৭০৩৮৯° পূর্ব / 24.12528; 90.70389 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলানরসিংদী জেলা
আয়তন
 • মোট১৯৩.৬০ বর্গকিমি (৭৪.৭৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট২,৮৪,৫৬৩
 • জনঘনত্ব১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৮০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৪৬%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড১৬৫০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৬৮ ৫২
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

মনোহরদী উপজেলা বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

এই উপজেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা, দক্ষিণে শিবপুর উপজেলা, পূর্বে বেলাবো উপজেলাকিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলা, পশ্চিমে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলা

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ওয়ারী বটেশ্বর সভ্যতার পরে অযোদ্ধার রামচন্দ্রের কিছু অনুসারী রায়পুর এলাকায় বসতি স্থাপন করে। তারপর চন্ডীপাড়ায় চন্ডী রাজা বসতি স্থাপন করেন। জনশ্রুতি রয়েছে কৃষ্ণের অনুসারীগণ কৃষ্ণপুরে বসতি স্থাপন করেন। ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানের আর্যকর্তৃক বিতারিত অনার্যদের আশ্রয় স্থল হয় মনোহরদী। এখানকার সংস্কৃতি গড়ে উঠে রাম, শ্রীকৃষ্ণ ও বৈদিক সংস্কৃতির দ্বারা; এক কথায় বলা চলে ধর্মভিত্তিক। চন্ডী রাজা শাহইরান কর্তৃক পরাজিত হলে এখানে ইসলাম ধর্মের উম্মেষ ঘটে। পরবর্তীকালে জৈনপুরের কেরামত আলী ও হাজী শরীয়ত উল্লাহর মাধ্যমে মুসলিম পূর্নজাগরের সংস্কৃতির চালু হয়।

মনোহরদী থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৪ সালে। ১৯০৪ সালে মনোহরদীতে পুলিশী থানা প্রতিষ্টিত হওয়ার র্পূবে এ জনপদটি ছিল রায়পুরা থানার অন্তগর্ত।

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

পৌরসভা ১ টি।

  1. মনোহরদী পৌরসভা

ইউনিয়ন ১২টি

  1. চালাকচর ইউনিয়ন
  2. বড়চাপা ইউনিয়ন
  3. কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন, মনোহরদী
  4. খিদিরপুর ইউনিয়ন
  5. লেবুতলা ইউনিয়ন, মনোহরদী
  6. কাচিকাটাঁ ইউনিয়ন
  7. গোতাশিয়া ইউনিয়ন
  8. চন্দনবাড়ী ইউনিয়ন
  9. শুকুন্দি ইউনিয়ন
  10. একদুরিয়া ইউনিয়ন
  11. চরমান্দালিয়া ইউনিয়ন
  12. দৌলতপুর ইউনিয়ন, মনোহরদী

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

এখানকার মোট জনসংখ্যা ২,৮৪,৫৬৩ জন; যার মধ্যে পুরুষ ১,৩৯,৫৫৬ জন এবং মহিলা ১,৪৫,০০৭ জন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

মনোহরদি উপজেলার শিক্ষার হার ৬৯%। এখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০২টি, বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৯টি, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬টি, জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ৬টি, উচ্চ বিদ্যালয়(সহশিক্ষা) ২৩টি, উচ্চ বিদ্যালয়(বালিকা) ১৪টি, দাখিল মাদ্রাসা ১৩টি, আলিম মাদ্রাসা ৪টি, ফাজিল মাদ্রাসা ৮টি, কলেজ(সহপাঠ) ৮টি, কারিগরি কলেজ ৩টি, সরকারি কলেজ ০১টি। এছাড়াও অনেক কওমি মাদরাসা রয়েছে।

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

কবি সোমেন চন্দ্র,
বীর মুক্তিযুদ্ধা সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল সাবেক সংসদ সদস্য , 
নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিল্প মন্ত্রী 
নুর উদ্দিন, সাবেক সেনাপ্রধান

কৃষি[সম্পাদনা]

এই এলাকার প্রধান কৃষি ফসল হচ্ছে ধান, পাট, কলা, পান, আলু, বাদাম, আপেল কুল, মাছ, শিম, চালকুমড়া, পেঁপে, টমেটো, বেগুন, শসা, কেলাই, পেয়ারার উল্লেখযোগ্য ফসল উৎপাদন হয় (এছাড়া বর্তমানে পোল্ট্রি খামার এর পাশাপাশি ডেইরি খামার বা গরুর খামারও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে)।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

এ অঞ্চলের প্রধান ফসল ধান, কলা, পাট, পান চাষ, ইটের বাটা, প্লাস্টিক শিল্প, কুটির শিল্প, মৎস্য হ্যাচারি, গবাদী পশুর খামার ইত্যাদি উপজেলার সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী অর্থনীতি প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে চালাকচর বাজার বিশেষ করে মাছ, সবজি, কাপড়ের ব্যবসার ছোট বড় চার থেকে পাচঁশত দোকান রয়েছে ফার্নিচার শিল্প ও উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া পোলট্রি খামার ও মুরগীর বাচ্চা উৎপাদনে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা জাতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

যোগাযোগ[সম্পাদনা]

  • পাকা রাস্তা - ৩১৫.০০ কিলোমিটার;
  • কাঁচা রাস্তা - ২৫২.০০ কিলোমিটার;
  • ব্রীজ/কালভার্ট - ৬০৪টি;
  • নদ-নদী - ৪টি।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মনোহরদী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]