মধুপুর জাতীয় উদ্যান

স্থানাঙ্ক: ২৪°৪১′৫৪″ উত্তর ৯০°০৭′১০″ পূর্ব / ২৪.৬৯৮৩০৩° উত্তর ৯০.১১৯৩৭৮° পূর্ব / 24.698303; 90.119378
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মধুপুর জাতীয় উদ্যান
মধুপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটক
মানচিত্র মধুপুর জাতীয় উদ্যানের অবস্থান দেখাচ্ছে
মানচিত্র মধুপুর জাতীয় উদ্যানের অবস্থান দেখাচ্ছে
বাংলাদেশে অবস্থান
অবস্থানমধুপুর, টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ
নিকটবর্তী শহরমধুপুর
স্থানাঙ্ক২৪°৪১′৫৪″ উত্তর ৯০°০৭′১০″ পূর্ব / ২৪.৬৯৮৩০৩° উত্তর ৯০.১১৯৩৭৮° পূর্ব / 24.698303; 90.119378
আয়তন৮,৪৩৬ হেক্টর
স্থাপিত১৯৬২

মধুপুর জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ উন্মুক্ত উদ্যান।[১][২] টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত এই বনকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা দেয়া হয় ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে।[৩] নিসর্গপ্রেমীদের কাছে মধুপুরের জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান।

অবস্থান[সম্পাদনা]

মধুপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটক থেকে বনের মধ্যে ইট বাঁধানো পায়ে চলার পথ। এই পথ ধরে হরিণ প্রজনন কেন্দ্রে যাওয়া যায়।

রাজধানী শহর ঢাকা থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত। টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে ময়মনসিংহ যাবার পথে রসুলপুর মাজার নামক স্থানে গিয়ে মধুপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটক বামদিকে দেখতে পাওয়া যায়। ফটকের পাশেই মধুপুর জাতীয় উদ্যান রেঞ্জ অফিস ও সহকারী বন সংরক্ষকের অফিস অবস্থিত। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে বনের ভিতর ঢুকতে হয়।[৪] এই উদ্যান ১৯৮২ সালের হিসাব অনুযায়ী ৮,৪৩৬ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হলে। এটি পূর্বের আয়তন থেকে অনেক ছোট হয়ে এসেছে অনেকের মতে এটি প্রায় অর্ধেক। এই উদ্যান মূলত বিস্তৃত শালবনের খানিকটা অংশ নিয়ে গঠিত।[৫]

উদ্ভিদবৈচিত্র্য[সম্পাদনা]

শাল, বহেড়া, আমলকি, হলুদ, আমড়া, জিগা, ভাদি, অশ্বথ, বট সর্পগন্ধা, শতমূলী, জয়না, বিধা, আজুকি/ হারগাজা, বেহুলা প্রভৃতি নানা জাতের বৃক্ষরাজিতে শোভিত এই উদ্যান। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাহাড়ি আলু, শটি আর নাম না জানা বিভিন্ন ধরনের লতাগুল্ম।[৪]

জীববৈচিত্র্য[সম্পাদনা]

এই বন পূর্বে চিতাবাঘ এর প্রিয় আবাস্থল ছিল ও বিস্তৃতিও ছিল বিশাল তবে বর্তমানে বানর, বুনো শূকর, মুখপোড়া হনুমান, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, শিয়াল, বন বিড়াল, মেছোবাঘ, বনরুই সহ ৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী[৫]; লাল বনমোরগ, কাঠময়ূরসহ[৪] ৩৮ প্রজাতির পাখি, ৪ প্রজাতির উভচর ও কয়েক প্রজাতির সরীসৃপ পাওয়া যায়। [৫] বনের ঠিক মাঝখানে লহরিয়া বিট অফিসের কাছে রয়েছে একটি হরিণ প্রজনন কেন্দ্র।[৪]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৮-১৯" (পিডিএফ)বন অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  2. "বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭-১৮" (পিডিএফ)বন অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  3. পাভেল পার্থ। "মধুপুর শালবনে রক্তের দাগ শুকোবে না?"দৈনিক সমকাল। ঢাকা। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল (ওয়েব) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৩, ২০১০ 
  4. "দর্শনীয় স্থান মধুপুর: মধুপুর জাতীয় উদ্যান" (ওয়েব)। টাঙ্গাইল জেলা তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৩, ২০১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. রিদওয়ান আক্রাম (জানুয়ারি ২৫, ২০১০)। "বনে জঙ্গলে"। দৈনিক কালের কণ্ঠ (প্রিন্ট)। ঢাকা। পৃষ্ঠা ৯। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]