ভারতীয় পাত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভারতীয় পাত
ধরণগৌণ
আনুমানিক এলাকা১,১৯,০০,০০০ কিমি (৪৬,০০,০০০ মা)
আন্দোলনের দিকউত্তর-পূর্ব
গতিলুয়া ত্রুটি মডিউল:Convert এর 670 নং লাইনে: attempt to index field 'per_unit_fixups' (a nil value)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বিন্যাসভারতীয় উপমহাদেশ, ভারত মহাসাগর, আরব সাগর, হিমালয়
অনুরূপ আফ্রিকান পাত
  লাল রঙে চিহ্নিত করা ভারতীয় পাত
মহাদেশীয় প্রবাহের কারণে ভারতীয় পাত মাদাগাস্কার থেকে বিভক্ত হয়ে ইউরেশীয় পাতের সাথে সংঘর্ষে পরিণত হয় যার ফলে হিমালয় সৃষ্টি হয়।

ভারতীয় পাত একটি ভূত্বকীয় পাত যা আদিতে গন্ডোয়ানাল্যান্ড মহাদেশের অংশ ছিল এবং পরে উক্ত মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ৫০ থেকে ৫৫ মিলিয়ন বছর আগে এটি অস্ট্রেলীয় পাতের সঙ্গে মিশে যায়। বর্তমানে এটি ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের অংশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশভারত মহাসাগরের তলদেশে স্থিত একটি বেসিনে অংশ এই পাতের উপর অবস্থিত।

২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্প[সম্পাদনা]

২০০৪ সালের ডিসেম্বর ২৬ তারিখে ভারত মহাসাগরে ৯.৩ মাত্রার যে ভূমিকম্পটি হয়, তার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ভারতীয় পাতকে। পূর্ব ভারত মহাসাগরে ভারতীয় পাতটি বর্মী পাতের তলায় আঘাত হানছে (বছরে ৬ সেমি হারে)। ইন্দো-অস্ট্রেলীয় ও ইউরেশীয় পাতের মিলনস্থলে সুন্দা খাতের সৃষ্টি হয়েছে। এই জায়গার ভূমিকম্পের কারণ হলো এই খাতের সাথে আড়াআড়িভাবে কোনো ভূত্বকীয় পাত আঘাত করা। আরেকটি কারণ হলো এই খাতের পূর্বদিকের অংশ থেকে খাত বরাবর সাগর তলদেশ স্থানান্তরিত হওয়া।

অন্যান্য বৃহৎ ভূমিকম্পের মতোই ২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বরের ভূমিকম্পের কারণ ছিলো ভূত্বকীয় পাতের চাপ সৃষ্টি হওয়া। প্রায় ১০০ কিলোমিটার অংশ জুড়ে ভাঙন সৃষ্টি হওয়া। এই ভাঙনের ফলে পাতটির প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার অংশ পিছল যায়। ভূচ্যুতির অংশটি ১৫ মিটার সরে যায় ও সাগরের তলদেশ প্রায় কয়েক মিটার উপরে উঠে আসে। এর ফলশ্রুতিতে সুনামির সৃষ্টি হয়।

ইউরেশীয়, আফ্রিকীয়, ও আরব পাতের মিলনস্থল। ২০০৫ এর কাশ্মীরের ভূমিকম্পটি ভারতীয় পাতের উত্তর প্রান্তে সংঘটিত হয়।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]