ব্যবহারকারী:Shahriar Kabir Pavel/গ্যালাক্টিক সেন্টার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ছবিতে উপরের দিকে বামে উজ্জ্বল অংশটুকু  2MASS অবলোহিত বিকিরণ দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে পর্যবেক্ষিত ছায়াপথের কেন্দ্র। 

গ্যালাকটিক সেন্টার আকাশগঙ্গার ঘূর্ণায়মান কেন্দ্র। এর অনুমিত অবস্থানের পরিসর পৃথিবী থেকে ২৪-২৮.৪ সহস্র আলোকবর্ষ দূরে ধনু, সর্পধারী এবং বৃশ্চিক তারকামণ্ডলীর দিকে যেখানে আকাশগঙ্গাকে সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখা যায়। ধনু-এ তারকামণ্ডলের বেতার তরঙ্গ নির্গত হওয়ার উৎসের দিকের সাথে এর অবস্থান মিলে যায়। 

গ্যালাকটিক সেন্টারের এক পারসেক দূরত্বের মধ্যে রয়েছে ১০ মিলিয়ন নক্ষত্র যেখানে রাজত্ব লাল দানবদের। তবে পরিমিত সংখ্যায় ভারী অতিকায় দানব এবং উলফ-র‌্যায়েট তারাও রয়েছে যার প্রমাণ পাওয়া যায় এক মিলিয়ন বছর পূর্বে নক্ষত্র গঠনের ধরন থেকে। কেন্দ্রে একটি অতিকায় ভারী কৃষ্ণগহবর রয়েছে যা ধনু-এ* এর বেতার তরঙ্গের শক্তি যোগায়। 

আবিষ্কার[সম্পাদনা]

আন্তঃনাক্ষত্রিক ধূলিকণার কারণে যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় তার কারণে ছায়াপথের কেন্দ্রকে দৃশ্যমান আলো, অতিবেগুনী রশ্মি, কম শক্তির এক্স রে এর সাহায্যে যথেষ্ঠ পর্যবেক্ষণ করা যায় না। তবে গামা রশ্মি, শক্তিশালী এক্স-রে(কম্পাঙ্ক বেশি যে এক্স রে এর), অবলোহিত রশ্মি, মিলিমিটারের কাছাকাছি বেতার তরঙ্গে ছায়াপথের কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ ভাল কাজ করে। 

ইমানুয়েল কান্ট তার জেনারেল ন্যাচারাল হিস্টোরি এন্ড থিওরি অফ দ্যা হেভেনস (১৭৫৫) বইয়ে বলেন, আকাশগঙ্গার কেন্দ্রে বড় কোনো তারা আছে এবং হতে পারে সে নক্ষত্রটি সিরিয়াস[১] ১৯১৮তে হারলো শেপলে বলেন, আকাশগঙ্গাকে ঘিরে যে গোলীয় ছায়াপথ স্তবকের বর্ণবলয় দেখা যায় মনে হয় যেন ধনু তারকারাজিকে কেন্দ্র করে নক্ষত্রের দল ঘুরছে, কিন্তু ঘন আণবিক মেঘ আলোকজ্যোতির্বিদ্যার জন্য প্রতিবন্ধক।[২] ১৯৪০ এর দশকে ভাল্টার বাডে লস এঞ্জেলসের বৈদ্যুতিক বিপর্যয়ের ফলে অন্ধকার রাতের আকাশের যুদ্ধকালীন সুবিধা নিয়ে মাউন্ট উইলসন অবজারভেটরি থেকে ১০০ ইঞ্চি হুকার টেলিস্কোপ দিয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অনুসন্ধান করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, আলনাসল (গামা স্যাগিটারাই) নক্ষত্রের নিকটে আন্তঃনাক্ষত্রিক লেন্সে এক ডিগ্রি বিস্তার পরিমাণ ফাঁকা জায়গা, যে জায়গাটি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির নক্ষত্রের ঝাঁকের স্পষ্ট ছবি হিসেবে প্রতীয়মান হয়। [৩] এই ফাঁকা স্থানকে বাডের জানালা হিসেবে নামকরণ করা হয়। [৪]

<grammarly-btn>

</grammarly-btn>

১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (IAU) ধনু-এ এর অবস্থানকে ছায়াপথের অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার মূলবিন্দু ধরার সিদ্ধান্ত নেয়। [৫] বিষুবীয় স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় এর অবস্থান: বিষুবাংশ  ১৭ ৪৫মি ৪০.০৪সে, বিষুবলম্ব −২৯° ০০′ ২৮.১ ″ (J2000 epoch).

গ্যালাকটিক সেন্টারের দূরত্ব[সম্পাদনা]

অতিকায় ভারী কৃষ্ণগহবর[সম্পাদনা]

ছবিটির কেন্দ্র থেকে ডান দিকে সাদা উজ্জ্বল অংশে রয়েছে একটি অতিকায় কৃষ্ণগহ্বর। এই জটিলতর ছবিটি আকাশে আধা ডিগ্রিরও কম অংশ ধারণ করে। 

ধনু তারারাজির এ এর বেতার তরঙ্গউৎস গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে নিঃসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (আসন্ন অবস্থান- ১৮ ঘন্টা, −২৯ ডিগ্রি)। এটি বেশ ঘন  বেতার তরঙ্গ উৎস হিসেবে ধরা দেয়, যা আবার অতিকায় কৃষ্ণগহ্বরের সাথে সহাবস্থান করে। কৃষ্ণগহ্বরের দিকে চাকতির আদলে গ্যাসের অধিগমন বেতার তরঙ্গের শক্তি সঞ্চারণের উৎস হতে পারে। এর চেয়ে গভীরে পর্যবেক্ষণের প্রযুক্তি এখনো আমাদের আবিষ্কার হয় নি। 

<grammarly-btn>

</grammarly-btn>

শিল্পীর চোখে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অতিকায় কৃষ্ণগহ্বর।[৬]

আরিজোনা এবং ক্যালিফোর্নিয়াতে ২০০৮ সালে রেডিও টেলিস্ককোপের মাধ্যমে একটি গবেষণা সম্পন্ন করা হয় যেখানে ধনু এ* নক্ষত্রের ব্যাস নির্ণয় করা হয় ৪৪ মিলিয়ন কিলোমিটার (প্রায় ০.৩ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক)। [৭][৮] পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটারকে যেখানে ১ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক ধরা হয়, সূর্য থেকে বুধের নিকটতম বিন্দুর দূরত্বও প্রায় ০.৩ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক (৪৬ মিলিয়ন কিলোমিটার)। এভাবেও বলা যায় তাই— এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে বেতার তরঙ্গের উৎসস্থলের আকার সূর্য থেকে বুধের দূরত্বেরও কম। 

<grammarly-btn>

</grammarly-btn>

জার্মানিতে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা চিলির টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নিশ্চিত হয়েছেন যে ছায়াপথের কেন্দ্রে অতিকায় ভারী কৃষ্ণগহবরের অস্তিত্ব রয়েছে যা ৪.৩ মিলিয়ন সৌর ভরের সমান।

৫ জানুয়ারি ২০১৫ তে, নাসা ধনু-এ* থেকে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ৪০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল এক্স-রে পর্যবেক্ষণ করে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে এই অস্বাভাবিক ঘটনার কারণ হতে পারে কোনো গ্রহাণুর কৃষ্ণগহবরে পতন অথবা ধনু-এ এর দিকে গ্যাসীয় প্রবাহে চৌম্বকক্ষেত্রের এন্টেঙ্গেলমেন্টের কারণে।[৯]

নক্ষত্রের পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

একটি উল্কাপাত এবং মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্র

সংগ্রহশালা[সম্পাদনা]

<grammarly-btn>

1

</grammarly-btn>

2
নামহীন প্যারামিটার 2= আর সমর্থিত নয়। {{কলামের তালিকা}} নথি দেখুন।
* Cosmic noise

Notes and references[সম্পাদনা]

  1. Ley, Willy (আগস্ট ১৯৬৫)। "The Galactic Giants"। For Your Information। Galaxy Science Fiction। পৃষ্ঠা 130–142। 
  2. Shapley, H (১৯১৮)। "Studies based on the colors and magnitudes in stellar clusters. VII. The distances, distribution in space, and dimensions of 69 globular clusters"। Astrophysical Journal48: 154। ডিওআই:10.1086/142423বিবকোড:1918ApJ....48..154S 
  3. Baade, W (১৯৪৬)। "A Search for the Nucleus of Our Galaxy"। Publications of the Astronomical Society of the Pacific58: 249। ডিওআই:10.1086/125835বিবকোড:1946PASP...58..249B 
  4. Ng, Y. K; Bertelli, G; Chiosi, C; Bressan, A (১৯৯৬)। "The galactic structure towards the Galactic Centre. III. A study of Baade's Window: Discovery of the bar population?"। Astronomy and Astrophysics310: 771। বিবকোড:1996A&A...310..771N 
  5. Blaauw, A.; Gum, C.S.; Pawsey, J.L.; Westerhout, G. (১৯৬০)। "The new IAU system of galactic coordinates (1958 revision)"Monthly Notices of the Royal Astronomical Society121 (2): 123–131। ডিওআই:10.1093/mnras/121.2.123বিবকোড:1960MNRAS.121..123B 
  6. "ALMA Reveals Intense Magnetic Field Close to Supermassive Black Hole"ESO Press Release। European Southern Observatory। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৫ 
  7.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  8.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  9. Chou, Felicia; Anderson, Janet; Watzke, Megan (৫ জানুয়ারি ২০১৫)। "RELEASE 15-001 - NASA's Chandra Detects Record-Breaking Outburst from Milky Way's Black Hole"NASA। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৫ 

[[বিষয়শ্রেণী:আকাশগঙ্গা]]