বোধিপথপ্রদীপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বোধিপথপ্রদীপ (ওয়াইলি: byang chub lam sgron[১]) বিখ্যাত বৌদ্ধ পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর দ্বারা রচিত একটি বৌদ্ধ রচনা বিশেষ।

বিবরণ[সম্পাদনা]

অতীশ দীপঙ্কর একাদশ শতাব্দীতে সংস্কৃত ভাষায় মাত্র উনসত্তরটি সূত্রে বোধিপথপ্রদীপ রচনা করেন। এই রচনায় তিনি বিভিন্ন বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও দর্শনের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বোধি লাভের সম্পূর্ণ পথের বিভিন্ন ধাপের বর্ণনা দিয়েছেন, যা তিব্বতী বৌদ্ধধর্মে লাম-রিম নামে বিখ্যাত। এই রচনানুসারে তিনি বৌদ্ধ উপাসকদের ধর্মীয় আচরণের ওপর তাদের আগ্রহের ওপর নির্ভর করে অধম পুরুষ, মধ্যম পুরুষ এবং উত্তম পুরুষ এই তিন ভাগে ভাগ করেছেন।[২][n ১] অধম পুরুষ সংসারের মধ্যে থেকে বোধিলাভের ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকেন।[n ২] শ্রবকযানপন্থী বা শ্রবকরা এবং প্রত্যেকবুদ্ধযানপন্থীরা বা প্রত্যেকবুদ্ধরা সংসারত্যাগ করলেও জগতের সকল জীবের মুক্তিচিন্তা না করে শুধুমাত্র নিজেদের মুক্তিলাভের চেষ্টা করেন বলে তারা মধ্যম পুরুষের অন্তর্গত। মূলতঃ এই চিন্তাধারা হীনযান বৌদ্ধধর্ম থেকে এসেছে।[n ৩] একমাত্র বোধিসত্ত্বরা উত্তম পুরুষের অন্তর্গত কারণ তারা নিজেদের মুক্তির পাশাপাশি সমস্ত জীবজগতের মুক্তির জন্যও চিন্তা করে থাকেন। মহাযান বৌদ্ধধর্ম থেকে এই ধারণা নেওয়া হয়েছে।[n ৪]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. पुरुषास्त्रिविधा ज्ञेया उत्तमाधममध्यमाः।
    लिख्यते लक्षणं तेषां स्फुटं प्रत्येकभेदतः॥२॥[৩]
  2. उपायेन तु केनापि केवलं संसृतेः सुखम्।
    स्वस्यैवार्थे यैहेत ज्ञेयः सो पुरुषोऽधमः॥३॥[৩]
  3. पापकर्मनिवृत्तात्मा भवसुखात् पराङ्मुखः।
    आत्मनिर्वाणमात्रार्थी यो नरो मध्यमस्तु सः॥४॥[৩]
  4. स्वसन्तानगतैर्दुःखैर्दुःखस्यान्यस्य सर्वथा।
    सर्वस्य यः क्षयं काङ्क्षेदुत्तमः पुरुषस्तु सः।५।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sgam-po-pa (author) Guenther, Herbert V. (trans) (1959, 1986). The Jewel Ornament of Liberation. Boston, Massachusetts, USA: Shambhala Publications., Inc. আইএসবিএন ১-৫৭০৬২-৬১৪-৬(pbk.) p.17
  2. Williams, Paul (১৯৮৯)। Mahayana Buddhism: The Doctrinal Foundations। Library of Religious Beliefs and Practices Series। Routledge। আইএসবিএন ৩-৫৪০-১৩২৫৮-৯ 
  3. "Bodhipathapradipa text in Digital Sanskrit Buddhist Canon"। ৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৩