বিরিঞ্চি কুমার বরুয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ড: বিরিঞ্চি কুমার বরুয়া
জন্ম১৬ অক্টোবর, ১৯০৮ চন
নগাঁও জেলার পুরণিগুদাম
মৃত্যু৩০ মার্চ, ১৯৬৪ সন
গুয়াহাটী
পেশাশিক্ষাবিদ, ইতিহাসবিদ, ভাষাবিদ ও লোক-সাংস্কৃতিক গবেষক
ভাষাঅসমীয়া
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারতীয়
শিক্ষাএম.এ , পি.এইচ.ডি.
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিজীবনর বাটত
অসমের লোক-সংস্কৃতি
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারসাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার

বিরিঞ্চি কুমার বরুয়া (ইংরেজি: Brinchi Kumar Barua; অসমীয়া: বিরিঞ্চি কুমার বরুৱা) অসমের একজন শিক্ষাবিদ, লেখক, ইতিহাসবিদ, ভাষাবিদ ও লোক-সংস্কৃতির গবেষক। অসমের লোক-সংস্কৃতি রক্ষার ক্ষেত্রে তিনি আজীবন অশেষ চেষ্টা করেছেন। তিনি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য জীবনের বেশি সময় অতিবাহিত করেছেন। তিনি সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Assam Academy for Cultural Relations-র প্রতিষ্ঠাপক ছিলেন যার মূল উদ্দেশ্য ছিল অসম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ভাষা ও জাতীর সমন্বয় রক্ষা করা।

জন্ম[সম্পাদনা]

১৯০৮ সনের ১৬ অক্টোবর তারিখে নগাঁও জেলার পুরণিগুদাম নামক স্থানে বিরিঞ্চি কুমার বরুয়ার জন্ম হয়। তার পিতার নাম বিজয় কুমার বরুয়া।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

১৯২৮ সনে নগাঁও সরকারি বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় রওনা হন। ১৯৩২ সনে কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৩৪ সনে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পালি ভাষায় এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৪৫ সনে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য লন্ডন যাত্রা করেন। ১৯৪৮ সনে তিনি লন্ডনে অসমের লোক-সংস্কৃতির ইতিহাস বিষয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি তার গবেষণা "A Cultural History of Assam নামে প্রকাশ করা হয়।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৩৮ সনে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমীয়া বিভাগে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন ও সেই সময়ে বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের জন্য তিনি কয়েকটি বই রচনা করেন। তারপর তিনি অসমে ফিরে আসেন ও গুয়াহাটির কটন কলেজে অধ্যাপক রুপে যোগদান করেন। ১৯৪৮ সনে তিনি অসমে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার চেষ্টা করেন। এই চেষ্টাকে সফল করার জন্য গোপীনাথ বরদলৈকে সম্পাদক ও বিরিঞ্চি কুমার বরুয়াকে সহ-সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাদের আশেষ প্রচেষ্টার ফলে ১৯৪৮ সনে অসমে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করা হয় ও নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অসমীয়া বিভাগে তিনি রিডার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় অসমীয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কলাগুরু রুপে অবসর গ্রহণ করেন।[১]

সাহিত্যকৃতি[সম্পাদনা]

১. জীবনর বাটত (বীণা বরুয়া ছদ্ম নামে)

২. সেউজী পাতর কাহিনী (রাস্না বরুয়া ছদ্ম নামে)

৩. জাতকর মালা

৪. অসমর লোক-সংস্কৃতি

৫. অসমীয়া কথা সাহিত্য

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  2. "সাহিত্য অকাডেমি বঁটা বিজয়ী অসমীয়াসকলর তথ্য"। সাহিত্য অকাডেমি। ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নৱেম্বর ১৬, ২০১২  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)