ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর লোগো
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর প্রধান কার্যালয়
গঠিত২২ মার্চ ১৯৭৫
প্রতিষ্ঠাতাশেখ মুজিবুর রহমান
ধরনইসলামী শিক্ষা, গবেষণা ও কার্যক্রম
সদরদপ্তরবায়তুল মোকাররম, ঢাকা, বাংলাদেশ
অবস্থান
  • ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, বায়তুল মোকাররম, ঢাকা, বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
মহাপরিচালক
মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার[১]
উপ-পরিচালক
মুশতাক আহমদ
স্টাফ
১২০০
ওয়েবসাইটwww.islamicfoundation.gov.bd

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যেটি ইসলামের আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রচার করে এবং সে সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা করে।[২][৩] ফাউন্ডেশনটির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত, যেটি ৭টি বিভাগীয় কার্যালয়, ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ২৯ টি ইসলামিক প্রচারণা কেন্দ্রের সহায়তায় কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করে। ফাউন্ডেশনটির মহাপরিচালক হলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর

১৯৫৯ সালে, বাংলাদেশের ঢাকায় ইসলামের শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। বায়তুল মোকাররম সোসাইটি নির্মাণ করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ (আরবি: بيت المكرّم) এবং ওলামাগণ, ইসলামী দর্শন, সংষ্কৃতি ও জীবন ব্যবস্থাকে মানুষের কাছে সহজে পৌছে দেওয়ার জন্য এবং তা নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন দারুল উলুম।[২] ১৯৬০ সালে দারুল উলুমকে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী একাডেমী নামে নামকরণ করা হয়, যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আবুল হাশিম এবং একেকরাচিভিত্তিক সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক রিসার্চ এর একটি শাখা হিসেবে রুপান্তর করা হয়।[২]

মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বঘোষিত সমর্থন ও সহায়তার জন্য নিষিদ্ধ করা হয় ইসলামিক একাডেমীকে। [৪] একাডেমীটিকে সে সময় রাজনীতিকে ইসলামীকরণের জন্য দোষারোপ করা হয়েছিল।[৪] বর্তমান সংস্থাটি ১৯৭৪ সালে কার্যকর হয়েছিল, যখন শেখ মুজিবুর রহমান একে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন হিসাবে উদ্বোধন করেন।[৫]

১৯৭৮ সালের ২০-২২শে মার্চ ফাউন্ডেশনটি ও.আই.সি.'র সৌজন্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।[২] ১৯৭৯-৮০ সালে ফাউন্ডেশনটির উন্নয়ন নতুন করে গতিবেগ লাভ করে।[২]

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

বই[সম্পাদনা]

মাআরিফুল কুরআন; তাফসীরে উসমানী; সীরাতুল মুস্তফা; সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া; নবীয়ে রহমত; যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ইসলামিক ফাউন্ডেশন - কর্মকর্তাবৃন্দ"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. Syed Mohammed Shah Amran and Syed Ashraf Ali, Islamic Foundation Bangladesh, Banglapedia: The National Encyclopedia of Bangladesh, Asiatic Society of Bangladesh, Dhaka;
  3. Islamic Foundation ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ জুন ২০০৮ তারিখে, Bangladesh Directory; Retrieved: 2007-12-25
  4. Raman, B. (২০০৬-০৮-২৯)। "Mujib and Islam"। ২০০৭-০৬-১১ তারিখে মূল (PHP) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-২৯ 
  5. "Country to be run as per Madinah Charter: PM"The Daily Star। UNB। ২২ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]