নাসরিন সোলতানখাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নাসরিন সোলতানখাহ
তথ্য
জন্ম: ১০ এপ্রিল, ১৯৬৩ (৪৯ বছর)
পদ: ইরানের উপ রাষ্ট্রপতি
রাজনৈতিক দল: অ্যালায়েন্স অফ বিল্ডার্স অফ ইসলামিক ইরান
অন্যান্য দায়িত্ব নারী ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী (২০০৫ - ২০০৯)
উপ প্রধান, অ্যালায়েন্স অফ বিল্ডার্স অফ ইসলামিক ইরান (২০১১- আসীন)
সভাপতি, সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার্স (২০০৫ - ২০০৯)
সদস্য, তেহরান নগর পরিষদ (২০০৩ - ২০০৭)
প্রধান, ন্যাশনাল এলিটস ফাউন্ডেশান (২০০৯ - আসীন)
রাষ্ট্রপতি: মাহমুদ আহমেদিনেজাদ
উচ্চশিক্ষা: শারিফ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনলজি
জন্মস্থান: তেহরান, ইরান

নাসরিন সোলতানখাহ (ফার্সি: نسرین سلطان‌خواه) ইরানের একজন রাজনীতিবিদ ও বর্তমানে দেশটির উপ রাষ্ট্রপতি।[১]

জন্ম ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

নাসরিন সোলতানখাহ ১৯৬৩ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে ইরানের রাজধানী তেহরানে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি শারিফ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনলজিতে গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেন, যেখান থেকে তিনি ১৯৭৬ সালে স্নাতক (বিএস) ডিগ্রি, ১৯৭৮ সালে স্নাতকোত্তর (এমএস) ও ১৯৯৪ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।[২]

রাজনীতি[সম্পাদনা]

মন্ত্রিসভা[সম্পাদনা]

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ তারিখে রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমেদিনেজাদ কর্তৃক মন্ত্রিসভায় নিয়োগ লাভের মধ্য দিয়ে সোলতানখাহ প্রথম কোন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দায়িত্ম লাভ করেন। সোলতানখাহ হচ্ছেন ইরানের রাজনৈতিক ইতিহাসে মন্ত্রিসভায় সুযোগ পাওয়া দ্বিতীয় নারী। তৎকালীন উপ রাষ্ট্রপতি ফাতেমাহ জাভাদি হলেন প্রথম। একই সময়ে সোলতানখাহ ইরানস ন্যাশনাল এলিটস ফাউন্ডেশনের সভাপতিরও দায়িত্ম পালন করেন।

সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার্স[সম্পাদনা]

সোলতানখাহের মন্ত্রিসভার পদবী বলে তিনি একই সাথে ইরানের সেন্টার সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার্সের (যা আগে সেন্টার ফর উইমেনস পার্টিসিপেশান বা সিডব্লিউপি হিসেবে পরিচিত ছিল) প্রধান ও রাষ্ট্রপতির নারী বিষয়ক নীতিনির্ধারণীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছিলেন।

এই সংক্রান্ত দায়িত্ম পালনের ক্ষেত্রে সোলতানখাহ তিনটি মূল নীতিকে ভিত্তি হিসেবে স্থাপন করেন। নীতিগুলো ছিল "লিঙ্গ নির্বিশেষে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাকে সমুন্নত করা", "ব্যবস্থাপনা ও নীতিনির্ধারণী বিষয়সমূহে নারীদের বিশেষ গুণাবলীর সুষ্ঠু প্রয়োগ করা" ও "পারিবারিক বিষয়সমূহে নারীদের প্রধান ভূমিকার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা"। সোলতানখাহের দায়িত্ম পালনকালে ইরানের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নারী সংক্রান্ত কার্যক্রম এই তিনটির মূলনীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছিল। এ ব্যাপারে সোলতানখাহ মত প্রকাশ করেছিলেন যে সরকার এগুলোর ভিত্তিতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়সমূহে নারীদের কর্মক্ষমতার সুষ্ঠু প্রয়োগে ও তাদের জন্য নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরিতে নিয়োজিত আছে।

রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা[সম্পাদনা]

সোলতানখাহ ইরানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল অ্যালায়েন্স অফ বিল্ডার্স অফ ইসলামিক ইরানের একজন সদস্য। বর্তমানে তিনি দলটির উপ প্রধানের দায়িত্ম পালন করছেন।

তেহরানের নগর পরিষদ[সম্পাদনা]

২০০৩ সালে সোলতানখাহ নির্বাচনের মাধ্যমে তেহরানের নগর পরিষদের একটি আসন লাভ করেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি সে দায়িত্ম পালন করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ""Iran Daily Brief""। ২২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  2. ""Alzahra University, Professor Profile""। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
সাদিক ভাঈজ যাদেহ
উপ রাষ্ট্রপতি, ইরান
২০০৯
উত্তরসূরী
পদে আসীন
পূর্বসূরী
সাদিক ভাঈজ যাদেহ
প্রধান, ন্যাশনাল এলিটস ফাউন্ডেশান
২০০৯
উত্তরসূরী
সোরােনা সাত্তারি
পূর্বসূরী
এসফান্দিয়ার রাহিম মাশাই
উপ প্রধান, অ্যালায়েন্স অফ বিল্ডার্স অফ ইসলামিক ইরান
২০১১
উত্তরসূরী
অজানা

|}