নালক্রিউ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নালক্রিউ
নালক্রিউ
সংক্ষেপেএনসি
নীতিবাক্য"নালিং ইউর সার্ভারস সিনস ২০১২"
গঠিতমে, ২০১২
ধরনহ্যাকিং
স্বেচ্ছাকর্মী

নালক্রিউ, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি কম্পিউটার হ্যাকার দল যাদেরকে বহুজাতিক কম্পানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইটসহ অনেক গুরত্বপূর্ন ওয়েবসাইট হ্যাকিং এর জন্য দায়ী করা হয়। এই হ্যাকার দলের প্রাথমিক সদস্য সংখ্যা হলো ছয় জন। তারা হলেনঃ অরবিট (0rbit), ডক (Doc), একো (3cho), সাইফোন (Siph0n), নপ (Nop) এবং ক্রেজিবরিস (crazyboris)। সাবেক সদস্যরা হলেন, সাটারনাইন (Saturnine), স্লিঙ্ক (sl1nk) এবং টিমোক্সেলিন (Timoxeline)। দলটির ভাষ্যমতে তারা বিকল্পধারার ওয়েবসাইট উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাস্যাঞ্জকে সমর্থন করে[১] ও সকল প্রকার দূর্নীতিকে ঘৃণা করে।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১২ সালের ১৩ জুলাই নালক্রিউ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ভাঙ্গতে সমর্থ হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের “পাবলিক ব্রডকাস্টিং সার্ভিস” (পিবিএস), “পেস্টবিনে” একটি পোস্টে ৫৯১ টি ইউজারনেইম ও পাসওয়ার্ড প্রকাশ করে। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল ডাটাবেজর তথ্য যার মধ্যে ১,০০০ ই-মেইল ও পাসওয়ার্ডও ছিল।[৩] ১৬ জুলাই তারা অ্যাসুস কম্পিউটার ইন. এর ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ভেঙ্গে “পেস্টবিনে” একটি পোস্ট দেয় যার মধ্যে প্রসাশকদের ২৩টি ইউজারনেইম ও হ্যাশ আকারে পাসওয়ার্ড ছিল।[৩] এ হ্যাকার দলটি আগস্ট ২০১২ তে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালায় যেখানে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটও ছিল।[২]

সেপ্টেম্বরে, দলটি তাদের টুইটার একাউন্টে দাবি করে তারা সনি এন্টারটেইনমেন্ট কর্পোরেসন দ্বারা পরিচালিত আটটি সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে।[৪] এছাড়া সেপ্টেম্বরে গুয়েন্দারা কম্বোডিয়া থেকে পাইরেট বের সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেফতার করলে, তারা প্রতিবাদ সরূপ কম্বোডিয়া সরকারের উপর সাইবার হামলা চালায় ও সরকার নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়।[৫]

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে নালক্রিউ অপারেশন “ফাক দ্য সিস্টেমের” নামে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইরে তথ্য প্রকাশ করে যেখানে প্রশাশনের বিভিন্ন ব্যক্তিদের পাসওয়ার্ড ও ওয়েব মাস্টারের পাসওয়ার্ডও ছিল। ২০১২ সালের ৬ অক্টোবর, তারা তাদের টুইটার একাউন্টে একটি পোস্ট দেয় যেখানে “ওরেঞ্জ টেলিকমিউনিকেসন্স” এর আইএসপি হ্যাক করার কথা বলা হয়। এছাড়া “অরবিট” আরেকটি পোস্টে ওরেঞ্জের গুরত্বপূর্ন তথ্য যেমন, মাইএসকিউএল হোস্ট, ইউজারস, পাসওয়ার্ড, ৫২টি কম্পানি ও অনেক সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল ইমেইল ঠিকানা ফাঁস করে দেন।[৬]

গ্রেফতার ও পরিচয় প্রকাশ[সম্পাদনা]

  • ২১ বছর বয়সী লুয়েস মার্টিনকে (Sl1nk) গ্রেফতার করা হয় কেন্টের ওয়েলমার থেকে। তার বিরুদ্ধে কেন্ট পুলিস, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এর ওয়েবসাইটে সাইবার হামলার অভিযোগ আনা হয়।
  • সাটারনাইন এর আসল নাম এন্ড্রো বোগস বলে জানা যায়।
  • নালজর্জের আসল নাম রিকি সু।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "NullCrew: the principled hacker group?"Info Security Magazine। সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৫, ২০১২ 
  2. Kendall, Ben (আগস্ট ২৯, ২০১২)। "Cambridge University NullCrew hacking claim investigated"The Independent। সংগ্রহের তারিখ মে ৩১, ২০১৩ 
  3. Eduard, Kovacs (জুলাই ১৩, ২০১২)। "PBS and World Health Organization Hacked, User Details Leaked (Updated)"Softpedia। সংগ্রহের তারিখ মে ৩১, ২০১৩  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "softpedia" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  4. Osborne, Charlie (সেপ্টেম্বর ৩, ২০১২)। "NullCrew pillages Sony servers?"ZDNet। সংগ্রহের তারিখ মে ৩১, ২০১৩ 
  5. Sabari, Selvan (সেপ্টেম্বর ২, ২০১২)। "Cambodia Government websites Hacked by NullCrew"eHackingNews। নভেম্বর ১৪, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৩১, ২০১৩ 
  6. Lee, J (অক্টোবর ৬, ২০১২)। "Telecom Giant Orange Hacked, Data leaked by #NullCrew"CyberWarNews। জুন ২৬, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৩১, ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]