নাজিম উদ্দিন মোস্তান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নাজিম উদ্দিন মোস্তান
জন্ম১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮
মৃত্যু১৮ আগস্ট, ২০১৩
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণসাংবাদিক
পুরস্কারএকুশে পদক

নাজিম উদ্দিন মোস্তান (জন্ম: ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ - মৃত্যু: ১৮ আগস্ট, ২০১৩) বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক পান। [১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

নাজিম উদ্দিন মোস্তানের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর জেলার সকদি গ্রামে। তিনি ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাফিজউদ্দিন এবং মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। নিজ গ্রামে পড়াশোনা শুরু করে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম থেকে। পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ১৯৬৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। [২]

পরিবারের সঙ্গে নাজিম উদ্দি মোস্তান

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

চট্টগ্রামের দৈনিক সমাচার পত্রিকায় প্রুফ রিডারের চাকরি দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন নাজিম উদ্দিন মোস্তান। তারপর ঢাকায় এসে বাংলাবাজারে একটি প্রকাশনা সংস্থায় প্রুফ রিডারের কাজ শুরু করেন। এরপর দৈনিক পয়গাম পত্রিকায় সহসম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৭১ সালে দৈনিক সংবাদ ও ১৯৭৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে সহসম্পাদক পদে কাজ শুরু করেন। নাজিম উদ্দিন মোস্তান দীর্ঘ সময় ধরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন এবং তিনি এর প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। সব শেষে তিনি রাষ্ট্র নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

সহজ ভাষায় বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে লেখালেখির জন্য ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স নাজিম উদ্দিন মোস্তানকে সম্মানিত করে। প্রযুক্তিবিষয়ক পত্রিকা কারিগর ১৯৯০ সালে সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় পদক প্রদান করে এবং সমাজ কল্যাণ সংঘ তাকে পুরস্কৃত করে। তিনি রোটারি ক্লাব অব রমনার পদকও পান। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ২০০৩ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। একই বছর বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ও বিসিএস কম্পিউটার সিটি তাকে আজীবন সম্মাননা জানায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]