ধনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ধনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য (ইংরেজি: Dhaneshchandra Bhattacharya), (১৯০৭ - ২৫ নভেম্বর, ১৯৩৭) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।[১]

জন্ম[সম্পাদনা]

চন্দ্রকুমার ভট্টাচার্যের পুত্র ধনেশচন্দ্র ঢাকা , কেরানীগঞ্জ উপজেলা পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের নবগঠিত প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রাথমিক জীবন, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক সমিতি সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না[২]

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

১৯৩২ সালের ২৪ এপ্রিল দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে হিজলি ক্যাম্পে পাঠানো হয়। তারপর জুলাইয়ে দেউলি ক্যাম্পে। এক বছর পরে, তার পা কিছু অবেদনিক প্যাচ দিয়ে ফুলে গিয়েছিল; তাই প্রেসিডেন্সি জেলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। কুষ্ঠ ধরা পড়লে তাঁকে বাঁকুড়া কুষ্ঠ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।।[২]

ভাটপাড়ায় গিয়ে তিনি বিপ্লবী পূর্ণানন্দ দাশগুপ্ত ও শ্যামানন্দ পালের সঙ্গে দেখা করেন, যাঁরা আলিপুর জেল থেকে পলায়নের পর সেখানে শিবির স্থাপন করছিলেন, তাঁদের বলেছিলেন যে, কুষ্ঠ রোগীর মৃত্যুর চেয়ে তিনি শাহাদাতকেই শ্রেয় মনে করেন; এবং অস্ত্র আনতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। ১৯৩৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সত্যেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে অবস্থান করছিলেন, সেখানে তাঁর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার হন এবং তার স্যুটকেস থেকে ২০২৯ সালের একটি পাঁচ পয়েন্ট পিস্তল জব্দ করেন।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫); কিন্তু তার রোগ বেড়ে যাওয়ায় তাকে তার বাড়িতে অন্তরীণ করা হয়েছিল; ১৯৩৭ সালের ২৫ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৯৬।
  2. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩১৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬