দোয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইসলামের পরিভাষায়, দোয়া (আরবি: دُعَاء বহুবচন: আদ ইয়াহ, আরবি: أدْعِيَة) বলা হয়। শব্দটির আক্ষরিক অর্থ 'আহবান' বা 'ডাকা',চাওয়া, আবদার করা,[১] যা ইসলামে একটি বিশুদ্ধ মিনতি প্রক্রিয়া। এই শব্দটি এসেছে একটি আরবি শব্দ থেকে যার বাংলায় অনুবাদ ডাক বা তলব কর, এবং মুসলমানরা একে ইসলামি আইন হিসাবে এবং সওয়াব বিবেচনা করে পালন করে থাকে। ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন: "দোয়া ইবাদতের সারাংশ"; আর আল্লাহ তার প্রেরিত ধর্মগ্রন্থ কোরআন-এ বলেছেন:

অনুবাদ: তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে, এবং লাঞ্চিত হবে। – সূরা আল-মু'মিন, আয়াত ৬০[২]

মুসলমানরা মনের সকল চাওয়া তাদের প্রভূর নিকট তুলে ধরে।

হাদিস[সম্পাদনা]

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি, হাদিস : ৬৩৪০)

হাদিসে এসেছে-হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে।’ (তিরমিজি)

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর ৩৩৮২)

মুহাম্মদ ইবন হুমায়দ রাযী ও সাঈদ ইবন ইয়াকুব (রহঃ) ...... সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদীর রদ করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (হাসান, সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৩৯)

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Gardet, L. (২০১২-০৪-২৪)। "Duʿāʾ"Encyclopaedia of Islam, Second Edition (ইংরেজি ভাষায়)। Brill। ডিওআই:10.1163/1573-3912_islam_com_0195 
  2. কুরআন ৪০:৬০

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]