দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম(১৮৯৩-১২-০৪)৪ ডিসেম্বর ১৮৯৩
মৃত্যু২০ জুন ১৯৪৩(1943-06-20) (বয়স ৪৯)
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারত
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯২৯-১৯৪২
আদি নিবাসকলকাতা
দাম্পত্য সঙ্গীবীণাপাণি বন্দ্যোপাধ্যায়
পিতা-মাতা
  • তারকনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (পিতা)
  • অন্নপূর্ণা দেবী (মাতা)


দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৩ - ২০ জুন, ১৯৪৩) একজন বিখ্যাত বাঙালি অভিনেতা । তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার দক্ষিণ গড়িয়ার সন্নিহিত কালিকাপুর গ্রামের এক বর্ধিষ্ণু জমিদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন ।[১]

সংক্ষিপ্ত জীবনী[সম্পাদনা]

ব্যোমকেশ ইনস্টিটিউশনে কিছুদিন পড়ার পর ইন্ডিয়ান স্কুল অব আর্টসে ভরতি হন। তিনি আর্ট স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন। গিরিশচন্দ্র ঘোষের সংস্পর্শে তিনি অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নেন । তিনি কলকাতার ম্যাডান থিয়েটারে নির্বাক চলচ্চিত্রের বর্ণনা লেখার কাজ গ্রহণ করেন । ১৯২১ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে মোট ২২টি নির্বাক চলচ্চিত্রে এবং তারপর ১৬টি সবাক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন । দুর্গেশনন্দিনী চলচ্চিত্রে ওসমানের ভূমিকায় তিনি সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন । তিনি একজন দক্ষ নাট্যভিনেতা ছিলেন । তিনি অন্তত ৪৬টি নাটকে অভিনয় করেন । ১৯২৩ সালে স্টার থিয়েটারে কর্ণাজুন নাটকে বিকর্ণের ভূমিকায় কৃতিত্ব দেখান । ১৯২৫ সালে চিরকুমার সভা নাটকে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রশংসা পান ।

তার অভিনীত কর্ণার্জুন, খনা, শকুন্তলা নাটকগুলির রেকর্ড এখনও জনপ্রিয় । দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র ৫০ বছর বয়েসে মারা যান ।

অভিনীত চলচ্চিত্র (বন্ধনীতে মুক্তির বছর এবং অভিনীত চরিত্রের নাম)[সম্পাদনা]

  • প্রিয় বান্ধবী (১৯৪৩ জহর)
  • অবতার (১৯৪১ নারায়ণ এবং ত্রিভঙ্গ)
  • ঠিকাদার (১৯৪০ অবনী হালদার)
  • পরশমণি (১৯৩৯ মোহিত)
  • দেশের মাটি (১৯৩৮)
  • বিদ্যাপতি (১৯৩৭ শিব সিংহ)
  • দিদি (১৯৩৭ ড. ব্যানার্জী)
  • ভাগ্য চক্র (১৯৩৫ মিঃ রায়)
  • মহুয়া (১৯৩৪ নদের চাঁদ)
  • কপাল কুণ্ডলা (১৯৩৩ নবকুমার)
  • মীরাবাই (১৯৩৩ মেবারের রাজা)
  • চিরকুমার সভা (১৯৩২ পূর্ণ)
  • ভাগ্যলক্ষ্মী (১৯৩২ ব্যোমকেশ)
  • চন্ডীদাস (১৯৩২ চন্ডীদাস)
  • দেনা পাওনা (১৯৩১ জীবানন্দ)
  • স্বামী (১৯৩১)
  • কন্ঠহার (১৯৩০)
  • রাধারানী (১৯৩০)
  • বুকের বোঝা (১৯৩০)
  • ইন্দিরা (১৯২৯)
  • কপাল কুণ্ডলা (১৯২৯)
  • রজনী (১৯২৯ হীরালাল)
  • ভ্রান্তি (১৯২৮)
  • সরলা (১৯২৮) (হিন্দিতে স্বর্ণলতা)
  • ষষ্ঠী কি শান্তি (১৯২৮ ঘন্টি)
  • দুর্গেশনন্দিনী (১৯২৭ ওসমান)
  • কৃষ্ণকান্তের উইল (১৯২৬ গোবিন্দলাল)
  • ধর্মপত্নী (১৯২৬)
  • জেলের মেয়ে (১৯২৬)
  • মিশর রানী (১৯২৪ ইউসুফ)
  • চন্দ্রনাথ (১৯২৪ চন্দ্রনাথ)
  • প্রেমাঞ্জলি (১৯২৪)
  • মানভঞ্জন (১৯২৩)
  • বিষবৃক্ষ (১৯২২)
  • আঁধারে আলো (১৯২২)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ২৯৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬