দিলীপ চক্রবর্তী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দিলীপ চক্রবর্তী
জন্মমে ২২, ১৯৬৭
মৃত্যু১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২
ফার্মগেট, ঢাকা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পেশামঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেতা, লেখক
পুরস্কারতনুশ্রী পদক

দিলীপ চক্রবর্তী (জন্ম মে ২২, ১৯৬৭ - মৃত্যু সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১২) একাধারে মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের একজন বাংলাদেশী মেধাবী অভিনেতা ছিলেন, যিনি মঞ্চের দর্শকদের কাছে একলব্য হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন।[১]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

দিলীপ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৬৭ সালের ২২ শে মে দীঘিলিয়া, টাংগাইল তার মামাবাড়িতে । তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার নগরভাদ গ্রামে।[২] বাবা সুধীর চক্রবর্তী একজন উদার ও শিল্পমনা ব্রাহ্মণ পুরোহিত ছিলেন এবং মা বেলা চক্রবর্তী। তিনি পিতা মাতার প্রথম সন্তান। দিলীপ চক্রবর্তী কৌশরেই তার মাকে হারান । মাত্র ৪০ বছর বয়সে মা বেলা চক্রবর্তী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে স্বামী, ১৬ বছরের ছেলে দিলীপ এবং ৬ বছরের মেয়ে শিবানীকে রেখে মারা যান । আর শুরু হয় দিলীপ চক্রবর্তীর কঠিন জীবন সংগ্রাম । সাংস্কৃতিক আবহে জন্ম নেয়া দিলীপ চক্রবর্তী শৈশব থেকেই যুক্ত ছিলেন লোকনাটক আর যাত্রাপালার সাথে।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালে বিরসাকাব্য নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চকর্মী হিসেবে দেশ নাটকে যুক্ত হন দিলীপ চক্রবর্তী । দিলীপ চক্রবর্তী অভিনীত উল্ল্যেখযোগ্য মঞ্চনাটকগুলো হলো নিত্যুপুরাণ, দর্পণে শরৎশশী, 'বিরসাকাব্য' ও অরক্ষিতা। টেলিভিশন মাধ্যমেও ছিল তার সবলীল পদচারণা। আফসানা মিমির পৌষ ফাগুনের পালা, মেজবাউর রহমান সুমনের দখিনের জানালার খোলা আলো আসে ফিরে যায়, দীপংকর দীপনের আশা টকিজ ও টেম্পু, মাসুদ হাসান মাসুদের ধুলোর মানুষ, মানুষের ঘ্রাণ, শিহাব শাহিনের মামুলি একটি মানুষ সহ বহু নাটকে তিনি তার অভিনয় প্রতিভার সাক্ষর রেখে গেছেন। দিলীপ চক্রবর্তী চলচ্চিত্রেও তার অভিনয় যাত্রা শুরু করেছিলেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নোমন রবিনের পরিচালনায় কমন জেন্ডার এবং বেলাল আহমেদের অনিশ্চিত যাত্রা। অভিনয়ের পাশাপাশি টেলিভিশন এর জন্য কিছু নাটকও লিখেছিলেন এই প্রতিভাবান ক্ষণজন্মা অভিনেতা। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে একাকিত্ব, মানুষ, মাইক মাস্টার, ও সন্দেহ। মঞ্চ নাটকে তার অভিনীত 'নিত্যপুরান' নাটকের 'একলব্য' চরিত্রটি দরুন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে চরিত্রটি পরিপূর্ণভাবে দিলীপ চক্রবর্তী ফুটিয়ে তুলেছিলেন। নাটকটির ৮৬টি প্রদর্শনীর পর মঞ্চায়ন স্থগিত করা হয়। ২০০১ সালের ১৪ জানুয়ারি মহিলা সমিতি মঞ্চে নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হয়। 'নিত্যপুরাণ'র পর দেশ নাটকের হয়ে তিনি 'অরক্ষিতা' নাটকেও অভিনয় করেছিলেন। এটি লিখেছেন মাহবুব লিলেন আর নির্দেশনা দিয়েছিলেন ইশরাত নিশাত। নাটকের 'শুক্রাচার্য' চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দিলীপ চক্রবর্তী। শুক্রাচার্য চরিত্রটি ছিল মহাভারতের একটি চরিত্র। এ চরিত্রটিতেও তিনি ছিলেন সফল। ২০০১ সালের পর দিলীপ চক্রবর্তীকে দলের নতুন কোনো নাটকে দেখা যায়নি। তবে ওই সময় তিনি দলের পুরনো প্রযোজনা 'বিরসা কাব্য' ও 'দর্পণে শরৎশশী' নাটকে অভিনয় করেছিলেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

দিলীপ চক্রবর্তী ২০০৫ সালে তনুশ্রী পদক অর্জন করেন ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কামরুজ্জামান মিলু (সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১২)। "অভিনেতা দিলীপ চক্রবর্তী আর নেই"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "চলে গেলেন অভিনেতা দিলীপ চক্রবর্তী"প্রথম আলো। ১৯-০৯-২০১২। সংগ্রহের তারিখ 2013-05-23  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]