থিসারা পেরেরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
থিসারা পেরেরা
২০১৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে থিসারা পেরেরা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামনারানগোদা লিয়ানারাচ্চিলাগে থিসারা চিরান্থা পেরেরা
জন্ম (1989-04-03) ৩ এপ্রিল ১৯৮৯ (বয়স ৩৫)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
ডাকনামপান্ডা, টিপি
উচ্চতা৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১১৫)
২৬ মে ২০১১ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩ জানুয়ারি ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪১)
২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই৫ জানুয়ারি ২০১৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই শার্ট নং
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ৩৬)
৩ মে ২০১০ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ টি২০আই১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বনাম ভারত
টি২০আই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৮ - বর্তমানওয়েয়াম্বা
২০১০চেন্নাই সুপার কিংস
২০১১কোচি তুস্কার্স কেরালা
২০১২মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
২০১২ব্রিসবেন হিট
২০১২কন্দুরাতা ওয়ারিয়র্স
২০১৩সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
২০১৪ - ২০১৫কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব
২০১৫ - বর্তমানরংপুর রাইডার্স
২০১৬ - বর্তমানকোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স
২০১৩ - বর্তমানরাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৬৪ ৮০ ১৫৭
রানের সংখ্যা ২০৩ ২,৩১৬ ১,১৮০ ১,৯৩৬
ব্যাটিং গড় ২০.৩০০ ১৯.৯৮ ২৩.৬০ ১৯.৯৫
১০০/৫০ ০/১ ১/১০ ০/৩ ০/৮
সর্বোচ্চ রান ৭৫ ১৪০ ৬১ ৮০*
বল করেছে ৯৫৪ ৫,৮২৮ ১,০৭২ ৫,৮৮৭
উইকেট ১১ ১৭২ ৫১ ১৯৮
বোলিং গড় ৫৯.৩৬ ৩২.৯৫ ৩২.৪৫ ২৮.০৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৪/১৫১ ৬/৪৪ ৩/২৪ ৬/৪৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ৬২/– ৩০/– ৬৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ মার্চ ২০২০

নারানগোদা লিয়ানারাচ্চিলাগে থিসারা চিরান্থা পেরেরা (সিংহলি: තිසර පෙරේරා; জন্ম: ৩ এপ্রিল, ১৯৮৯) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছেন। এছাড়াও, ওয়েয়াম্বা উল্ভস এবং কোল্টস ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষ হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়ে থাকেন। একজন অল-রাউন্ডার হিসেবে বামহাতে আগ্রাসী ব্যাটিং ও ডানহাতে মিডিয়াম ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য পরিচিত হয়ে আছেন।[১] অস্ট্রেলিয়ায় তিনি পাণ্ডা ডাকনামে ভূষিত হন। বিগ ব্যাশ লীগে ব্রিসবেন হিটে সতীর্থ জর্জ বেইলি তাকে এ নামকরণ করেছিলেন।[২] কিন্তু, তিনি 'টিপি' নামেই নিজেকে পরিচিতি ঘটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

২০১৪ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় শিরোপা বিজয়ী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। [১] ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ভারত সফরে অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন যা টি২০ আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে চতুর্থ।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

কলম্বোর মর্যাদাসম্পন্ন সেন্ট জোসেফ’স কলেজে পড়াশোনা করেন থিসারা পেরেরা। এ কলেজ থেকেই চামিন্দা ভাস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দিমুথ করুণারত্নেের ন্যায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বয়সভিত্তিক যুবদের বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলেছেন তিনি। তন্মধ্যে ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপেও তিনি খেলেন। নভেম্বর, ২০০৯ সালে কোল্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে পেরেরা’র।[১]

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে পেরেরা’র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার পক্ষে অভিষেক ঘটে। কলকাতায় অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারত ক্রিকেট দলের বিপক্ষে খেলার জন্য শেষদিকে তার দলে ডাক পড়ে।[১] এর পরের মাসে ২০১০ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে খেলার জন্য চেন্নাই সুপার কিংস তাকে ৫০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দলে অন্তর্ভুক্ত করে।[৩] মে, ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[১] আগস্ট, ২০১০ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার প্রথম পাঁচ-উইকেট প্রাপ্তি ঘটে। এরফলে ভারতের বিপক্ষে দলের জয়ের পাশাপাশি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হন।[৪] অক্টোবর, ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কা দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন। টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অস্ট্রেলিয়ার নিজ মাঠে পরাজয় ঘটে মূলতঃ তার শেষ তিন বলে ১৬ রান সংগ্রহের ফলে।[৫] একই সফরে তিনি পাঁচ উইকেট লাভ করেছিলেন।[৬]

বিশ্বকাপ ক্রিকেট[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় ভারতের বিপক্ষে নেমে দশ বলে অপরাজিত ২২ রান ও বোলিংয়ে নেমে কেবলমাত্র গৌতম গম্ভীরের উইকেট লাভ করেন। খেলায় শ্রীলঙ্কা দল পরাজিত হওয়ায় রানার্স-আপ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।[৭]

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে হ্যাট্রিক করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন। ব্রেট লি, টিম সাউদিজ্যাকব ওরামের পর টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে চতুর্থ বোলার হিসেবে ও প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে এ সফলতা পান। কিন্তু ব্যাটিংয়ে শূন্য রানে আউট হন ও ৬৯ রানে পরাজিত হয় তার দল।[৮] এছাড়াও, ব্রেট লি'র পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে হ্যাট্রিক করার গৌরবগাঁথা রচনা করেন তিনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Thisara Perera: Sri Lanka"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ 
  2. http://www.sampspeak.in/2013/07/shikhar-dhawans-ton-wins-thisara.html
  3. "IPL Auction: Pollard, Bond Costliest Players"Outlook (magazine)। ১৯ জানুয়ারি ২০১০। ১৬ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ 
  4. S. Dinakar (২৩ আগস্ট ২০১০)। "India slumps to yet another big defeat"The Hindu। ২৫ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ 
  5. "Australia suffer seven-wicket Twenty20 defeat to Sri Lanka on home soil"The Daily Telegraph। ৩১ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ 
  6. "Sri Lanka's Perera takes five but Australia rally to 239"Reuters India। ৩ নভেম্বর ২০১০। ১১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ 
  7. "ICC Cricket World Cup - Final: India v Sri Lanka"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ 
  8. "Records / Twenty20 Internationals / Bowling records / Hat-tricks"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]