তোতাপাখি ফুল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

তোতাপাখি ফুল
Impatiens psittacina
Hooker's illustration
Protected[১]
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: সপুষ্পক উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Asterids
বর্গ: Ericales
পরিবার: Balsaminaceae
গণ: Impatiens
প্রজাতি: I. psittacina
দ্বিপদী নাম
Impatiens psittacina
জোসেফ ডালটন হুকার

তোতাপাখি ফুল (বৈজ্ঞানিক নাম:Impatiens psittacina), (ইংরেজি: parrot flower বা parrot balsam) হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি উদ্ভিদ প্রজাতি, এবং এটি প্রথম বর্ণনা করেন জোসেফ ড্যালটন হুকার। এটির আকার তুলনায় উড়ন্ত তোতাপাখির কারণে এটিকে উল্লেখ করা হয়। এটিকে থাইল্যান্ড, বার্মা এবং ভারতের অংশবিশেষে দেখা যায়।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

তোতাপাখি ফুল প্রথম আবিষ্কার হয় বার্মার শান নামক অঞ্চলে আর আবিষ্কার করেন “এ, এইচ, হিল্ডাব্রান্ড”। আবিস্কারের পরেই কিন্তু এই ফুলের অস্তিত্ত সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয় নাই। ১৮৯৯ সালে প্রথমে এই ফুলের বীজ সংগ্রহ করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় লন্ডনের "কিউ রয়্যাল গার্ডেন” এ, তারপর এই রয়্যাল গার্ডেনেই ১৯০০ সালে প্রথম ফুল ফোটে। বলতে পারেন মানুষের পর্যবেক্ষণে প্রথম এই ফুল ফুটানো হয়। কেননা এই ফুল এর আগে সবার অগোচরে বনাঞ্চলেই ফুটতো। এরপর ১৯০১ সালে ইংরেজ উদ্ভিদ বিজ্ঞানী “জোসেফ ড্যালটন হুকার” সর্বপ্রথম এই ফুলের অস্তিত্ত সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবিহত করেন।[৩]

বিবরণ[সম্পাদনা]

তোতাপাখি ফুলের গাছ উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুটের মত হয়। আর এর পাতা লম্বায় ৬ সেঃমিঃ এর মত হয়ে থাকে। আর ফুল প্রায় ৫ সেঃমিঃ এর মত হয়ে থাকে। এই ফুল সাধারনত অক্টোবার থেকে নভেম্বরের মধ্যে ফোটে। এই তোতাপাখি ফুলের গাছ সব জায়গায় জন্মাতে পারে না, কেননা এরা পরিবেশ দ্বারা অনেক বেশি প্রভাবিত হয়। সাধারনত সমুদ্র সৈকত অঞ্চলে যেখানে বাতাসের আদ্রতা অনেক বেশি সেই সকল জায়গায় বেশি জন্মায়। আর এই ফুলের রঙ হাল্কা বেগুনী এবং গাঢ় লাল রঙের হয়। আর এই দু’টি রঙকে মাঝখানের সাদা রঙ আলাদা করে রেখেছে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Parrot Flower"Snopes। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৩ 
  2. Morgan, P. Raymond (২০০৭)। Impatiens: the vibrant world of Busy Lizzies, Balsams, and Touch-me-nots। Timber Press.। পৃষ্ঠা 205আইএসবিএন 0881928526 
  3. Hooker, JD (1901) Impatiens psittacina : Native of Burma TAB: 7809. Curtis Botanical Magazine 127

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]