ডগ বলিঙ্গার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডগ বলিঙ্গার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডগলাস আরউইন বলিঙ্গার
জন্ম (1981-07-24) ২৪ জুলাই ১৯৮১ (বয়স ৪২)
বকহাম হিলস, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামডগ দ্য রাগ[১]
উচ্চতা১.৯২ মিটার (৬ ফুট ৪ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪০৫)
৩ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৩ ডিসেম্বর ২০১০ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৭৫)
২৪ এপ্রিল ২০০৯ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই২৮ অক্টোবর ২০১১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০২-বর্তমাননিউ সাউথ ওয়েলস
2007ওরচেস্টারশায়ার
২০১০-১২চেন্নাই সুপার কিংস
২০১১-১২সিডনি থান্ডার
২০১২-১৩হোবার্ট হারিকেন্স
২০১৪কেন্ট
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১২ ৩৯ ৮৮ ১১০
রানের সংখ্যা ৫৪ ৫০ ৩৯৯ ১২৫
ব্যাটিং গড় ৭.৭১ ৮.৩৩ ৭.০০ ৭.৮১
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২১ ৩০ ৩১* ৩০
বল করেছে ২,৪০১ ১,৯৪২ ১৫,৭০২ ৫,৬০০
উইকেট ৫০ ৬২ ৩০৪ ১৫৮
বোলিং গড় ২৫.৯২ ২৩.৯০ ২৭.৮৩ ২৭.৮৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৩
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/২৮ ৫/৩৫ ৬/৪৭ ৫/৩৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ১২/– ৩২/– ২৪/–
উৎস: CricketArchive, ১৪ মার্চ ২০১৪

ডগলাস আরউইন বলিঙ্গার (জন্ম ২৪ জুলাই ১৯৮১) সিডনির বকহাম হিলস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ও সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ডগ বলিঙ্গার প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের পক্ষে খেলছেন। তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট বোলার। পাশাপাশি বামহাতে ব্যাটিংয়েও তিনি পারদর্শী।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ডগ বলিঙ্গার ১১ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে ওলংঅংয়ে টিগ্যান সাদারল্যান্ডকে বিয়ে করেন। এ দম্পতির স্কাই নাম্নী এক কন্যা রয়েছে।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

২০০২-০৩ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। ২০০৪-০৫ মৌসুমে অনুষ্ঠিত আইএনজি কাপের খেলায় সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন। এ ইনিংসের পর ২০ খেলায় ২৮.৩২ গড়ে ২৭ উইকেট নিলে অস্ট্রেলীয় নির্বাচকমণ্ডলী ভারতে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ৩০-সদস্যের প্রাথমিক তালিকায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১ মে, ২০০৯ তারিখে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট লাভ করেন। ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। গৌহাটিতে ভারতের বিপক্ষে ৬ষ্ঠ ওডিআইয়ে চার উইকেট নিয়েও তিনি এ সম্মাননা লাভের অধিকারী হন। ৩ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে তার অভিষেক ঘটে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা-যাওয়ার পাল্লায় পড়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে তিনি পুনরায় প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত হন। দলের শীর্ষস্থানীয় বোলার বেন হিলফেনহফপিটার সিডলের আঘাতপ্রাপ্তিই এর প্রধান কারণ। অ্যাডিলেডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পান। এ ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখে তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে প্রথম ইনিংসে তার নিজস্ব সেরা ৫/৭০সহ খেলায় ৮/১৪১ পান। ২১ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে হোবার্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে নিজস্ব সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন। নবম উইকেটে শন মার্শের সাথে রেকর্ডসংখ্যক রান করেন। বোলিংয়ে নেমে ৪/২৮ লাভ করেন ও দলকে ৪৬ রানের জয় এনে দেন।[২] ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে গোড়ালিতে আঘাতপ্রাপ্তির কারণে অংশ নিতে পারেননি ও দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Doug the Rug back in town"The MercuryNews Limited। ৮ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. McGlashan, Andrew (২১ জানুয়ারি ২০১১)। "Marsh and Bollinger star in Australian victory"The Bulletin। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]