জান আডজেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জান আডজেন
২০০০ সালে জান আডজেন
জন্ম(১৯১৮-০৪-০৯)৯ এপ্রিল ১৯১৮
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
মৃত্যু২৯ নভেম্বর ২০০৮(2008-11-29) (বয়স ৯০)
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
মাতৃশিক্ষায়তনরয়েল ডেনিশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস
পুরস্কারপ্রিতজকার পুরস্কার
ভবনসমুহসিডনি অপেরা হাউস, ব্যাগসভার্ড চার্চ

জান আডজেন, এসি (ডেনীয়: Jørn Oberg Utzon; ডেনীয় উচ্চারণ: [jɶɐ̯n ˈud̥sʌn], জন্ম: ৯ এপ্রিল, ১৯১৮ - মৃত্যু: ২৯ নভেম্বর, ২০০৮) ড্যানিশ স্থাপত্যবিদ ছিলেন।[১] তিনি সিডনি অপেরা হাউসের নকশা প্রণয়ন করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ২০০৩ সালে তিনি স্থাপত্যকলার সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রিতজকার স্থাপত্য পুরস্কার লাভ করেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

কোপেনহেগেনের নৌ-প্রকৌশলীর সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণকারী আডজেন ডেনমার্কের আলবোর্গে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। ঐ সময়ই তিনি জাহাজের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং নৌবাহিনীতে কর্মজীবনে যোগ দেয়ার অভিলাষ ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু পারিবারিক চিন্তাধারায় প্রবাহিত হয়ে তিনি ১৯৩৭ সালে রয়েল ড্যানিশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসে কে ফিস্কার এবং স্টিন এইলার রাসমুসেনের নিয়ন্ত্রণে শিক্ষাজীবন অতিক্রমণ করেন। ১৯৪২ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর তিনি স্টকহোমের গানার আসফ্লান্ডে যোগদান করেন। সেখানে আর্নে জ্যাকবসন এবং পল হেনিংসনের সাথে একযোগে কাজ করেন তিনি।[২] আমেরিকান স্থাপত্যবিদ ফ্রাঙ্ক লয়েড রাইটের কাজের প্রতি তিনি বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন।[৩] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে জার্মান দখলকৃত ডেনমার্ক থেকে তিনি কোপেনহেগেনে ফিরে আসেন।

কীর্তিগাঁথা[সম্পাদনা]

আডজানের অমর শিল্পকর্ম সিডনী অপেরা হাউস ২৮ জুন, ২০০৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষিত হয়। এরফলে, তিনি হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি জীবদ্দশায় এ ধরনের সম্মাননা পেলেন।[৪] অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কর্মের মধ্যে রয়েছে কোপেনহেগেনের কাছাকাছি ব্যাগসভার্ড চার্চ এবং কুয়েতের জাতীয় সংসদ ভবন। এছাড়াও, হেলসিঙ্গারের কাছাকাছি কিঙ্গো হাউসের বাড়ির নকশা প্রণয়ন অন্যতম।

সিডনি অপেরা হাউস[সম্পাদনা]

১৯৫৭ সালে তিনি অপ্রত্যাশিত ও বিতর্কিতভাবে সিডনি অপেরা হাউসের নকশা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। পুরস্কারের মূল্যমান ছিল £৫,০০০।[৫] ১৯৫৭ সালে প্রকল্পের তত্ত্বাবধান ও সহায়তার জন্য সিডনিতে আসেন।[৬] ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ সালে তিনি সিডনিতে তার অফিস স্থানান্তরিত করেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সালে আডজেন প্রকল্পের কাজ ফেলে রেখে চলে যান।[৭] এর প্রধান কারণ ছিল রাজ্য সরকারের অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি। ২০০১ সালে আডজেন অস্ট্রেলিয়ায় আমন্ত্রিত হয়ে অবকাঠামোটির নকশাকে পরিবর্তন করে প্রকৃত অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন।

অস্ট্রেলিয়ার রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০ অক্টোবর, ১৯৭৩ সালে আধুনিক স্থাপত্যকলার অন্যতম পদচিহ্ন সিডনি অপেরা হাউস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। বিপুলসংখ্যক আগ্রহী জনতা এতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সিডনি অপেরা হাউসের নকশাকার জান আডজেনকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি কোথাও তার নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Sydney Opera House designer Joern Utzon dies"Associated Press। ২০০৮-১১-৩০। ২০০৮-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-৩০ 
  2. Kasper Krogh, "Jørn Utzon - visionens mester", Berlingste Tidende, 29 November 2008. (ডেনীয়) Retrieved 18 September 2011.
  3. Tobias Faber "Jørn Utzon", Kunstindekx Danmark & Weilbachskunstnerleksikon. (ডেনীয়) Retrieved 18 September 2011.
  4. Kathy Marks (২৭ জুন ২০০৭)। "World Heritage honour for 'daring' Sydney Opera House"The IndependentIndependent News & Media। ৮ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 
  5. "Eric Ellis interview with Utzon in the Sydney Morning Herald Good Weekend, 31 October 1992, Ericellis.com[dead link] Retrieved 2 December 2008"। ৯ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১২ 
  6. ""Millennium Masterwork: Jorn Utzon's Sydney Opera House". Hugh Pearman. Gabion. Retrieved 28 June 2007."। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১২ 
  7. "Jørn Utzon: Danish architect who designed the Sydney Opera House", The Times, 1 December 2008.