জাঁ শার্ল লেওনার দ্য সিসমন্দি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাঁ শার্ল লেওনার দ্য সিসমন্দি
জাঁ শার্ল দ্য সিসমন্দি
Jean Charles de Sismondi
জন্ম
জাঁ শার্ল লেওনার সিসমন্দি
Jean Charles Léonard Simonde

(১৭৭৩-০৫-১৯)১৯ মে ১৭৭৩
মৃত্যু২৫ জুন ১৮৪২(1842-06-25) (বয়স ৬৯)
জাতীয়তাSwiss
ঘরানা/গোষ্ঠী/ঐতিহ্যClassical economics
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনঅ্যাডাম স্মিথ
যাদের প্রভাবিত করেছেনটমাস ম্যালথাস, Charles Dunoyer, কার্ল মার্কস
অবদানসমূহTheory of periodic crises

জাঁ শার্ল লেওনার দ্য সিসমন্দি (ইংরেজি: Jean Charles Léonard de Sismondi) (১৯ মে, ১৭৭৩২৫ জুন, ১৮৪২), যার আসল নাম ছিল সিসমন্দি, ছিলেন একজন জেনেভায় জন্মগ্রহণকারী অর্থনীতিবিদ ও লেখক। তিনি বিখ্যাত ছিলেন ফরাসিইতালির ইতিহাস এবং তার অর্থনৈতিক ধারনার জন্য।

শৈশব[সম্পাদনা]

তার বাবা ছিলেন কালভাঁপন্থি যাজক, পরিবারটি ছিল ধনী, জেনেভার অভিজাত সমাজের একটি। তিনি শৈশবে লিয়োঁ শহরে কেরানির কাজ করতে যান। তখন তার বয়স ১৮ এবং লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৭৯৩ সালের গোড়ার দিকে তার পরিবার ইংল্যান্ডে পাড়ি জমায়। ১৭৯৮ সালে জেনেভা সরকারিভাবে ফ্রান্সের দখলে চলে গেলে সিসমন্দি পরিবার ফ্রান্সে ফিরে যায়।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৮০৩ সালে অর্থনীতি বিষয়ক রচনা ব্যবসা বাণিজ্যিক সম্পদ প্রকাশিত হয়। ষোড়শ লুইয়ের উপদেষ্টা নেকার ও তার কন্যা মাদাম দ্য ন্তলকে ঘিরে লেখকদের যে চক্রটি গড়ে উঠেছিলো তাতে সিসমন্দি নিয়মিত যোগ দিতেন। এই সাহিত্যিক গোষ্ঠীর রোমান্টিকতাবাদী ধ্যানধারণার ছাপ পড়েছিল সিসমন্দির জীবনে। এই সময় তিনি কয়েক খণ্ডে লেখেন ইতালির ইতিহাস। ১৮১৩ সালে তিনি প্যারিস যান, দেখেন নেপোলিয়নের পতন, বুরবোঁ রাজবংশের প্রতিষ্ঠা এবং শত দিবস-এর নিদারুণ ঘটনাবলি। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে পড়েন নেপোলিয়নের সমর্থক।[১]

ওয়াটার লুতে ফ্রান্সের পরাজয় এবং ভিয়েনা কংগ্রেসের গ্লানির পর সিসমন্দি ফিরে যান সুইজারল্যান্ডে। তিনি ১৮১৯ সালে বিয়ে করেন এক ইংরেজ তরুণীকে। আজীবন তাদের কোনো সন্তানাদি হয়নি। এই বছরগুলোতে গড়ে উঠে তার সামাজিক অর্থনৈতিক ধ্যানধারণাগুলো যা তিনি বিবৃত করেন অর্থশাস্ত্রের নতুন মূলসূত্রগুচ্ছ বা জনসংখ্যা এবং সম্পদের মধ্যে সম্পর্ক প্রসঙ্গ নামক বইতে। ১৮১৯ সালে প্রকাশিত হয় এর প্রথম সংস্করণ। এই বইখানার জন্য অর্থনীতিবিদ হিসেবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা ইউরোপে। ১৮২৭ সালে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হলে ইংল্যান্ডের ডেভিড রিকার্ডো এবং ফ্রান্সের জাঁ বাতিস্ত সে' সম্প্রদায়ের সংগে তার তর্কযুদ্ধটা হয়ে ওঠে আরো তীব্র এবং প্রাণবন্ত। এই সংস্করণটিকে কেন্দ্র করেই ৭০ বছর পরে ১৮৯৭ সালে ভ্লাদিমির লেনিন প্রবৃত্ত হন সিসমন্দির মূল্যায়নে। সারা জীবনে তিনি ছিলেন দারুণ পরিশ্রমী। জীবনের শেষ দিন অবধি দিনে আট ঘণ্টার বেশি কাটাতেন পড়ার টেবিলে। তার সংগৃহীত রচনাবলী প্রকাশিত হয় ৭০ খণ্ডে।[১]

প্রধান রচনাসমূহ[সম্পাদনা]

De la richesse commerciale, 1803
  • Tableau de l'agriculture toscane (১৮০১)
  • ব্যবসা বাণিজ্যিক সম্পদ, (De la richesse commerciale) (১৮০৩)
  • The History of the Italian Republics in the Middle Ages (Histoire des républiques italiennes du Moyen Âge) (16 vols.) (1807–18). Sismondi's most important historical work, on Italy's republican past, which became an inspiration to 19th-century Italian nationalists.
  • De l'intérêt de la France à l'égard de la traite des nègres (1814)
  • Examen de la Constitution française (1815)
  • Political Economy (1815)
  • অর্থশাস্ত্রের নতুন মূলসূত্রগুচ্ছ বা জনসংখ্যা এবং সম্পদের মধ্যে সম্পর্ক প্রসঙ্গ, (Nouveaux principes d'économie politique, ou de la richesse dans ses rapports avec la population) (১৮১৯)
  • ফরাসিদের ইতিহাস, (Histoire des Français) (১৮২১–১৮৪৪)
  • Les colonies des anciens comparées à celles des modernes (1837)
  • Études de sciences sociales (1837)
  • Études sur l'économie politique (1837)
  • Précis de l'histoire des Français (1839)
  • Fragments de son journal et correspondance (1857)

নোটসমূহ[সম্পাদনা]

  1. ভি. আই. লেনিন, অর্থনৈতিক রোমান্টিকতাবাদ, অনুবাদ দাউদ হোসেন, সংঘ প্রকাশন, ঢাকা; ফেব্রুয়ারি, ২০০২; পৃষ্ঠা- ৯-১১।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Sismondi, Jean Charles Leonard de"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।