জয় হিন্দ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
"জয় হিন্দ" স্মারক পোস্টমার্ক

জয় হিন্দ (হিন্দি: जय हिन्द) হল ভারতে প্রচলিত একটি অভিবাদন-বাক্য, শ্লোগান ও রণহুঙ্কার। এটি ভারতের (যা "হিন্দ" নামেও পরিচিত) প্রতি দেশপ্রেম প্রদর্শনের জন্য ভাষণ ও বাক্যালাপের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। এই শব্দটির অর্থ "ভারতের জয় হোক"[১] বা "ভারত দীর্ঘজীবী হোক"।[২] আজাদ হিন্দ ফৌজের মেজর আবিদ হাসান সাফরানি জয় হিন্দুস্তান কি (অর্থাৎ, "ভারতের জয় হোক") শ্লোগানটি ছোটো করে "জয় হিন্দ" শ্লোগানটি চালু করেছিলেন।[৩][৪]

জয় হিন্দ পোস্টমার্ক ছিল স্বাধীন ভারতের প্রথম স্মারক পোস্টমার্ক। এটি ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের দিন ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ইস্যু করা হয়।

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে[সম্পাদনা]

ভারতের স্বাধীনতার স্মারক হিসেবে নির্মিত কাটনির একটি পুরনো বাড়ি। এখানে জওহরলাল নেহেরু, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীসুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির সঙ্গে রোমান ও দেবনাগরী হরফে জয় হিন্দ শব্দটি খোদিত।

ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা সুভাষচন্দ্র বসুর ("নেতাজি") অনুগামী তথা মধ্যভারতের গোয়ালিয়র শহরের অধিবাসী রামচন্দ্র মোরেশ্বর করকরে জয় হিন্দ নামে একটি রাজনৈতিক নাটক রচনা করেছিলেন। তিনি হিন্দিতে জয় হিন্দ নামে একটি বইও লিখেছিলেন। রামচন্দ্র করকরে পরবর্তীকালে মধ্যভারত প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি হন। তিনি চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।

আকাশবাণীর সম্প্রচার শেষে বেতার-ঘোষক "জয় হিন্দ" উচ্চারণ করেন। ১৯৬৩ সালে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া "আয়ে মেরে ওয়াতন কে লোগো" গানটিতে "জয় হিন্দ" শব্দটি আছে।[৫] জয় হিন্দ (১৯৯৯) নামে একটি হিন্দি চলচ্চিত্রও বানানো হয়েছে, যার পরিচালক পরিচালক মনোজ কুমার.[৬] কমেডি শো জয় হিন্দ! (২০০৯) এই শ্লোগানের নামানুসারে। মুম্বই শহরের জয় হিন্দ কলেজ ইত্যাদি অনেক প্রতিষ্ঠান এই শ্লোগানের নামানুসারে স্থাপিত হয়েছে। গুজরাটি সংবাদপত্র জয় হিন্দ ও টেলিভিশন চ্যানেল জয় হিন্দ টিভি এই শ্লোগানের নামানুসারে।

১৯৪৭ সালে রানি এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপের বিবাহ অনুষ্ঠানে মহাত্মা গান্ধী "জয় হিন্দ" কথাটি খোদিত নিজে হাতে চরকায় কাটা একটুকরো কাপড় উপহার পাঠান।[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. Chopra, Pram Nath (২০০৩)। A comprehensive history of modern IndiaSterling Publishing। পৃষ্ঠা 283। আইএসবিএন 81-207-2506-9। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  2. James, Lawrence (১৯৯৭)। The Rise and Fall of the British Empire। Macmillan। পৃষ্ঠা 548। আইএসবিএন 978-0-312-16985-5। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  3. Leonard A. Gordon (১৯৯০)। Brothers Against the Raj। Columbia University Press। 
  4. "A tale of two cities"The Hindu। ৩০ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  5. Chaturvedi, Mamta (২০০৪)। Filmi & non-filmi songs। Diamond Pocket Books। পৃষ্ঠা 38। আইএসবিএন 81-288-0299-2 
  6. ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে Jai Hind (ইংরেজি)
  7. http://www.royal.gov.uk/HMTheQueen/TheQueenandspecialanniversaries/DiamondAnniversary/60facts.aspx