জমজম কূপ

স্থানাঙ্ক: ২১°২৫′১৯.২″ উত্তর ৩৯°৪৯′৩৩.৬″ পূর্ব / ২১.৪২২০০০° উত্তর ৩৯.৮২৬০০০° পূর্ব / 21.422000; 39.826000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জমজম কূপ
স্থানীয় নাম
আরবি: زمزم
জমজম কূপের প্রবেশদ্বার
অবস্থানমসজিদুল হারাম, মক্কা
স্থানাঙ্ক২১°২৫′১৯.২″ উত্তর ৩৯°৪৯′৩৩.৬″ পূর্ব / ২১.৪২২০০০° উত্তর ৩৯.৮২৬০০০° পূর্ব / 21.422000; 39.826000
অঞ্চলপ্রায় ৩০ মি (৯৮ ফু) গভীর ও ১.০৮ থেকে ২.৬৬ মি (৩ ফু ৭ ইঞ্চি থেকে ৮ ফু ৯ ইঞ্চি) ব্যাস
প্রতিষ্ঠাকাল২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়
পরিচালকবর্গসৌদি আরব সরকার
দাপ্তরিক নাম: জমজম
জমজম কূপ সৌদি আরব-এ অবস্থিত
জমজম কূপ
সৌদি আরবে জমজম কূপের অবস্থান

জমজম কূপ (আরবি: زمزم) হল মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি কুয়া। এটি কাবা থেকে ২০ মি (৬৬ ফুট) পূর্বে অবস্থিত। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, নবী ইবরাহিম তার স্ত্রী হাজেরাও শিশুপুত্র ইসমাইলকে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইলের পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়।[১] মসজিদুল হারামে আগত লোকেরা এখান থেকে পানি পান করে। পাঁচ হাজার বছর ধরে এখান থেকে একটানা পানি পাওয়া যাচ্ছে, একারণে জমজমের কুয়োকে বিশ্বের প্রাচীনতম সক্রীয় কূপ বলে ধারণা করা হয়।[২][তথ্যসূত্র=বুখারী ৩৩৬৪.] সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাযি.) হতে বর্ণিত। ইবনু 'আব্বাস (রাযি.) বলেন, নারী জাতি সর্বপ্রথম কোমরবন্দ বানানো শিখেছে ইসমাঈল (আ.)-এর মায়ের কাছ থেকে। হাজারা (আ.) কোমরবন্দ লাগাতেন সারাহ (আ.) থেকে নিজের মর্যাদা গোপন রাখার জন্য। অতঃপর ইবরাহীম (আ.) হাজারা (আ.) ও তাঁর শিশু ছেলে ইসমাঈল (আ.)-কে সাথে নিয়ে বের হলেন এ অবস্থায় যে, হাজারা (আ.) শিশুকে দুধ পান করাতেন। শেষ পর্যন্ত যেখানে কা'বার ঘর অবস্থিত, ইবরাহীম (আ.) তাঁদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলেন এবং মাসজিদের উঁচু অংশে যমযম কূপের উপরে অবস্থিত একটি বিরাট বৃক্ষের নীচে তাদেরকে রাখলেন। তখন মাক্কায় না ছিল কোন মানুষ, না ছিল কোনরূপ পানির ব্যবস্থা। পরে তিনি তাদেরকে সেখানেই রেখে গেলেন। আর তিনি তাদের কাছে রেখে গেলেন একটি থলের মধ্যে কিছু খেজুর এবং একটি মশকে কিছু পরিমাণ পানি। অতঃপর ইবরাহীম (আ.) ফিরে চললেন। তখন ইসমাঈল (আ.)-এর মা পিছনে পিছনে ছুটে এসে বলতে লাগলেন, হে ইবরাহীম! আপনি কোথায় চলে যাচ্ছেন? আমাদেকে এমন এক স্থানে রেখে যাচ্ছেন, যেখানে না আছে কোন সাহায্যকারী আর না আছে অন্য কোন ব্যবস্থা। তিনি এ কথা তাকে বারবার বললেন। কিন্তু ইবরাহীম (আ.) তাঁর দিকে ফিরে তাকালেন না। তখন হাজারা (আ.) তাঁকে বললেন, আল্লাহ কি আপনাকে এ আদেশ দিয়েছেন? তিনি জবাব দিলেন, হ্যাঁ। হাজারা (আ.) বললেন, তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে ধ্বংস করবেন না। তারপর তিনি ফিরে এলেন। ইবরাহীম (আ.)-ও সামনের দিকে চললেন। চলতে চলতে যখন তিনি গিরিপথের বাঁকে পৌঁছলেন, যেখানে স্ত্রী ও সন্তান তাঁকে আর দেখতে পাচ্ছে না, তখন তিনি কা'বা ঘরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে দুই হাত তুলে এ দু'আ করলেন, “হে আমার রব! আপনার পবিত্র ঘরের নিকটে এমন এক ময়দানে আমার সন্তান ও পরিজনের বসতি স্থাপন করে যাচ্ছি, যা ফসলের অনুপযোগী (মরুভূমি)। হে রব! উদ্দেশ্য হল তারা সলাত কায়িম করবে। অতএব আপনি লোকদের মনকে এদিকে আকৃষ্ট করে দিন এবং প্রচুর ফলফলাদি দিয়ে এদের খাবারের ব্যবস্থা করে দিন। যাতে করে তারা শুকরিয়া আদায় করতে পারে।”- (সূরাহ ইবরাহীম : ৩৭)। এরপর ইসমাঈলের মা ইসমাঈলকে স্বীয় স্তন্যের দুধ পান করাতেন এবং নিজে ঐ মশক থেকে পানি পান করতেন। অবশেষে মশকে যা পানি ছিল তা শেষ হয়ে গেল। তিনি নিজে পিপাসিত হলেন এবং তাঁর শিশু পুত্রটিও পিপাসায় দুর্বল হয়ে পড়ল। তিনি শিশুটির দিকে দেখতে লাগলেন। পিপাসায় তার বুক ধড়ফড় করছে অথবা বর্ণনাকারী বলেন, সে মাটিতে পড়ে ছটফট করছে। এ সময় শিশু পুত্রের এ করুণ অবস্থার প্রতি তাকানো অসহনীয় হয়ে পড়ায় তিনি সরে গেলেন এবং তাঁর অবস্থানের নিকটবর্তী পাহাড় ‘সাফা’-কে একমাত্র তাঁর নিকটতম পাহাড় হিসাবে পেলেন। অতঃপর তিনি সে পর্বতের উপর উঠে দাঁড়ালেন এবং ময়দানের দিকে মুখ করে এদিকে সেদিকে তাকিয়ে দেখলেন, কোথায়ও কাউকে দেখা যায় কিনা? কিন্তু তিনি কাউকে দেখতে না পেয়ে দ্রুত সাফা পাহাড় থেকে নামলেন। যখন তিনি নিচু ময়দান পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন তিনি তাঁর কামিজের এক প্রান্ত তুলে ধরে একজন দুর্বল লোকের মত ছুটে চললেন। অবশেষে ময়দান অতিক্রমকরে মারওয়া পাহাড়ের কাছে এসে তার উপর উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর চারিদিকে তাকালেন কাউকে দেখতে পান কিনা? কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলেন না। অনুরূপভাবে সাতবার দৌড়াদৌড়ি করলেন। ইবনু 'আব্বাস (রাযি.) বলেন, নাবী বলেছেন, এজন্যই মানুষ এ পাহাড় দুটির মাঝে সাঈ করে

থাকে। অতঃপর তিনি যখন মারওয়া পাহাড়ে (শেষবার) উঠলেন, তখন একটি শব্দ শুনতে পেলেন। তিনি নিজে নিজেকে বললেন, একটু ধৈর্য ধর (মনোযোগ দিয়ে শোন)। তিনি (একাগ্রতার সাথে এ শব্দের দিকে) কান দিলেন। আবারও শব্দ শুনলেন। তখন বললেন, তোমার শব্দ তো শুনছি। যদি তোমার নিকট সাহায্য করার কোন কিছু থাকে তবে আমায় সাহায্য কর। হঠাৎ তিনি যমযম কূপ যেখানে অবস্থিত সেখানে একজন ফিরিশতা দেখতে পেলেন। সেই ফিরিশতা নিজ পায়ের গোড়ালি দ্বারা আঘাত করলেন অথবা তিনি বলেছেন, নিজ ডানা দ্বারা আঘাত করলেন। ফলে পানি বের থেকে লাগল। তখন হাজারা (আ.)-এর চারপাশে আপন হাতে বাঁধ দিয়ে এক হাউজের মত করলেন এবং হাতের কোষভরে তার মশকটিতে পানি ভরতে শুরু করলেন। তখনো পানি উপচে উঠছিল। ইবনু 'আব্বাস (রাযি.) বলেন, নাবী বলেছেন, আল্লাহ ইসমাঈলের মাকে রহম করুন। যদি তিনি বাঁধ না দিয়ে যমযমকে ছেড়ে দিতেন কিংবা বলেছেন, যদি কোষে ভরে পানি মশকে জমা না করতেন, তবে যমযম একটি কূপ না হয়ে একটি প্রবাহমান ঝর্ণায় পরিণত হতো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর হাজারা (আ.) পানি পান করলেন এবং শিশু পুত্রকেও দুধ পান করালেন, তখন ফিরিশতা তাঁকে বললেন, আপনি ধ্বংসের কোন ভয় করবেন না। কেননা এখানেই আল্লাহর ঘর রয়েছে। এ শিশুটি এবং তাঁর পিতা দু'জনে মিলে এ ঘরটি পুনঃনির্মাণ করবে আর আল্লাহ তাঁর আপনজনকে কখনও ধ্বংস করেন না। ঐ সময় আল্লাহর ঘরের জায়গাটি যমীন থেকে টিলার মত উঁচু ছিল। বন্যা আসার কারণে তার ডানে বামে ভেঙ্গে যাচ্ছিল। অতঃপর হাজারা (আ.) এভাবেই দিন যাপন করছিলেন। শেষ পর্যন্ত জুরহুম গোত্রের একদল লোক তাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিল। অথবা বর্ণনাকারী বলেন, জুরহুম পরিবারের কিছু লোক কাদা নামক উঁচু ভূমির পথ ধরে এদিকে আসছিল। তারা মাক্কায় নীচু ভূমিতে অবতরণ করল এবং তারা একঝাঁক পাখি চক্রাকারে উড়তে দেখল। তখন তারা বলল, নিশ্চয় এ পাখিগুলো পানির উপর উড়ছে। আমরা এ ময়দানের পথ হয়ে অনেক বার অতিক্রম করেছি। কিন্তু এখানে কোন পানি ছিল না। তখন তারা সেখানে একজন বা দুইজন লোক পাঠালো। ফলে তারা সেখানে গিয়েই পানি দেখতে পেল। তারা সেখান থেকে ফিরে এসে সকলকে পানির সংবাদ দিল। সংবাদ শুনে সকলেই সেদিকে অগ্রসর হল । বর্ণনাকারী বলেন, ইসমাঈল (আ.)-এর মা তখন পানির কাছে বসা ছিলেন। তারা তাঁকে বলল, আমরা আপনার নিকটবর্তী স্থানে বসবাস করতে চাই। আপনি আমাদেরকে অনুমতি দিবেন কি? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। তবে, এ পানির উপর তোমাদের কোন অধিকার থাকবে না। তারা হ্যাঁ, বলে স্বীকার করল।

ইবনু 'আব্বাস (রাযি.) বলেন, নাবী এই বলেছেন, এ ঘটনা ইসমাঈলের মাকে একটি সূবর্ণ সুযোগ এনে দিল। আর তিনিও মানুষের সাহচার্য চেয়েছিলেন। অতঃপর আগন্তুক দলটি সেখানে বসতি স্থাপন করল এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও সংবাদ পাঠাল। তখন তারাও এসে তাদের সাথে বসবাস করতে লাগল। অবশেষে সেখানে তাদেরও কয়েকটি পরিবারের বসতি স্থাপিত হল। আর ইসমাঈলও যৌবনে উপনীত হলেন এবং তাদের থেকে আরবী ভাষা শিখলেন। যৌবনে পৌঁছে তিনি তাদের কাছে অধিক আকর্ষণীয় ও প্রিয়পাত্র হয়ে উঠলেন। অতঃপর যখন তিনি পূর্ণ যৌবন লাভ করলেন, তখন তারা তাঁর সাথে তাদেরই একটি মেয়েকে বিয়ে দিল। এরই মধ্যে ইসমাঈলের মা হাজারা (আ.) ইন্তিকাল করেন। ইসমাঈলের বিবাহের পর ইবরাহীম (আ.) তাঁর পরিত্যক্ত স্বজনের অবস্থা জানার জন্য এখানে আসলেন। কিন্তু তিনি ইসমাঈলকে পেলেন না। তিনি তাঁর স্ত্রীকে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। স্ত্রী বলল, তিনিঅধ্যায় আমাদের জীবিকার খোঁজে বেরিয়ে গেছেন। অতঃপর তিনি পুত্রবধূকে তাদের জীবন যাত্রা ও অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। সে বলল, আমরা খুব কষ্ট ও অভাবের মাঝে আছি। সে ইবরাহীম (আ.)-এর কাছে তাদের দুর্দশার অভিযোগ করল। তিনি তাকে বললেন, তোমার স্বামী বাড়িতে এলে তাকে আমার সালাম জানিয়ে বলবে, সে যেন তার ঘরের দরজার চৌকাঠ বদলিয়ে নেয়। অতঃপর ইসমাঈল বাড়িতে আসলেন, তিনি যেন কিছুটা আভাস পেলেন। ফলে তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কাছে কেউ কি এসেছিল? স্ত্রী বলল, হ্যা। এমন এমন আকৃতির একজন বৃদ্ধ লোক এসেছিলেন এবং তিনি আমাকে আপনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। আমি তাকে আপনার সংবাদ দিলাম। তিনি আমাকে আমাদের জীবন যাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, আমি তাকে জানালাম, আমরা খুব কষ্ট ও অভাবের মাঝে আছি। ইসমাঈল (আ.) জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কি তোমাকে কোন উপদেশ করেছেন? স্ত্রী বলল, হাঁ। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমি যেন আপনাকে তাঁর সালাম জানাই এবং তিনি আরো বলেছেন, আপনি যেন আপনার ঘরের দরজার চৌকাঠ বদলিয়ে ফেলেন। অতঃপর ইসমাঈল (আ.) বললেন, ইনি আমার পিতা। এ কথা দ্বারা তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়ে গেছেন, আমি যেন তোমাকে আলাদা করে দেই। সুতরাং তুমি তোমার আপনজনদের কাছে চলে যাও। এ কথা বলে, ইসমাঈল (আ.) তাকে তালাক দিলেন এবং ঐ লোকদের থেকে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করলেন। অতঃপর ইবরাহীম (আ.) এদের থেকে দূরে রইলেন, আল্লাহ যতদিন চাইলেন। এরপর তিনি পুনরায় এদের দেখতে আসলেন। কিন্তু এবারও তিনি ইসমাঈল (আ.)-কে পেলেন না। তিনি পুত্রবধূর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে ইসমাঈল (আ.) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। সে বলল, তিনি আমাদের খাবারের অনুসন্ধানে বেরিয়ে গেছেন। ইবরাহীম (আ.) জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কেমন আছ? তিনি তাদের জীবন যাপন ও অবস্থা জানতে চাইলেন। তখন সে জবাব দিল, আমরা ভাল এবং স্বচ্ছল অবস্থায় আছি। আর সে আল্লাহর প্রশংসাও করল। ইবরাহীম (আ.) জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের প্রধান খাদ্য কী? সে বলল, গোশ্ত। তিনি পুনরায় জানতে চাইলেন, তোমাদের পানীয় কী? সে বলল, পানি। ইবরাহীম (আ.) এ বলে দু'আ করলেন, হে আল্লাহ! তাদের গোশ্ত ও পানিতে বরকত দিন। নাবী বলেন, ঐ সময় তাদের সেখানে কোন প্রকার খাদ্যশস্য উৎপাদন হতো না। যদি হতো তাহলে ইবরাহীম (আ.) সে বিষয়েও তাদের জন্য দু'আ করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, মাক্কাহ ব্যতীত অন্য কোথাও কেউ শুধু গোশ্ত ও পানি দিয়ে জীবন ধারণ করতে পারে না। কারণ, শুধুমাত্র গোশত ও পানি জীবন যাপনের অনুকূল হতে পারে না।

ইবরাহীম (আ.) বললেন, যখন তোমার স্বামী বাড়িতে ফিরে আসবে, তখন তাঁকে আমার সালাম জানিয়ে তাঁকে আমার পক্ষ থেকে আদেশ করবে যে, সে যেন তার ঘরের দরজার চৌকাঠ ঠিক রাখে। অতঃপর ইসমাঈল (আ) যখন ফিরে আসলেন, তখন তিনি বললেন, তোমাদের কাছে কেউ এসেছিলেন কি? সে বলল, হাঁ। একজন সুন্দর আকৃতির বৃদ্ধ লোক এসেছিলেন এবং সে তাঁর প্রশংসা করল, তিনি আমাকে আপনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন। আমি তাঁকে আপনার সংবাদ জানিয়েছি। অতঃপর তিনি আমাকে আমাদের জীবন যাপন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন। আমি তাঁকে জানিয়েছি যে, আমরা ভাল আছি। ইসমাঈল (আ) বললেন, তিনি কি তোমাকে আর কোন কিছুর আদেশ করেছেন? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি আপনাকে সালাম জানিয়ে আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আপনি যেন আপনার ঘরের চৌকাঠ ঠিক রাখেন। তখন ইসমাঈল (আ.) বললেন, ইনিই আমার পিতা। আর তুমি হলে আমার ঘরের দরজার চৌকাঠ। এর দ্বারা তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমি যেন তোমাকে স্ত্রী হিসাবে বহাল রাখি। এরপর ইবরাহীম (আ.) এদের থেকে দূরে রইলেন, যতদিন আল্লাহ চাইলেন। পরবর্তীতে তিনি আবার আসলেন। (দেখতে পেলেন) যমযম কূপের নিকটস্থ একটি বিরাট গাছের নীচে বসে ইসমাঈল (আ.) তাঁর একটি তীরমেরামত করছেন। যখন তিনি তাঁর পিতাকে দেখতে পেলেন, তিনি দাঁড়িয়ে তাঁর দিকে অগ্রসর হলেন। অতঃপর একজন পিতা-পুত্রের সাথে সাক্ষাৎ হলে যেমন করে থাকে তারা উভয়ে তাই করলেন। অতঃপর ইবরাহীম (আ.) বললেন, হে ইসমাঈল! আল্লাহ আমাকে একটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। ইসমাঈল (আ.)বললেন, আপনার রব! আপনাকে যা নির্দেশ দিয়েছেন তা করুন।ইবরাহীম (আ.) বললেন,তুমি আমাকে সাহায্য করবে কি? ইসমাঈল (আ.) বললেন, আমি আপনাকে সাহায্য করব। ইবরাহীম (আ.) বললেন, আল্লাহ আমাকে এখানে একটি ঘর নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই বলে তিনি উঁচু টিলাটির দিকে ইঙ্গিত করলেন যে, এর চারপাশে ঘেরাও দিয়ে। তখনি তাঁরা উভয়ে কা'বা ঘরের দেয়াল তুলতে লাগলেন। ইসমাঈল (আ.) পাথর আনতেন এবং ইবরাহীম (আ.) নির্মাণ করতেন। শেষ পর্যন্ত যখন দেয়াল উঁচু হয়ে গেল, তখন ইসমাঈল (আ.) (মাকামে ইবরাহীম নামে প্রসিদ্ধ) পাথরটি নিয়ে এসে ইবরাহীম (আ.)-এর জন্য তা (যথাস্থানে) রাখলেন। ইবরাহীম (আ.) তার উপর দাঁড়িয়ে নির্মাণ কাজ করতে থাকলেন। আর ইসমাঈল (আ.) তাঁকে পাথর যোগান দিতে থাকেন। তখন তারা উভয়ে এ দু'আ করতে লাগলেন, হে আমাদে রব! আমাদের থেকে কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছু শুনেন ও জানেন। তাঁরা উভয়ে কা'বা ঘর নির্মাণ করতে লাগলেন এবং কা'বা ঘরের চারদিকে ঘুরে ঘুরে এ দু'আ করতে থাকেন। “হে আমাদের রব! আমাদের পক্ষ থেকে (এ শ্রমটুকু) কবূল করে নিন। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছু

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

ইসলামের ইতিহাসে জমজম কুপের উৎপত্তি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। নবী ইবরাহিম তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর আদেশে মক্কার বিরান মরুভূমিতে রেখে আসেন। তার রেখে যাওয়া খাদ্য পানীয় শেষ হয়ে গেলে হাজেরা পানির সন্ধানে পার্শ্ববর্তী সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার ছোটাছুটি করেছিলেন। এসময় ইসমাইলের পায়ের আঘাতে ভূমি থেকে পানি বের হয়ে আসে, অন্য একটি বর্ণনানুসারে, আল্লাহ জিবরাঈলকে সেখানে প্রেরণ করেন, জিব্রাইলের পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানির ধারা বেরিয়ে আসে। ফিরে এসে এই দৃশ্য দেখে হাজেরা পাথর দিয়ে পানির ধারা আবদ্ধ করলে তা কুপের রূপ নেয়। এসময় হাজেরা উদগত পানির ধারাকে জমজম তথা থামো বলায় এর নাম জমজম হয়েছে। পরবর্তীতে নবী ইবরাহিম জমজমের পাশে কাবা পুনঃনির্মাণ করেন।[১] পূর্বে আদমের সময় এটি নির্মিত হলেও পরবর্তীকালে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মুসলিমরা নামাজ পড়ার সময় কাবার দিকে মুখ করে দাঁড়ায়। জমজম কুয়া কাবা থেকে প্রায় ২০মি (৬৬ ফুট) দূরে।[৩] ইসলামের ইতিহাসের একটি অলৌকিক ঘটনার বিবরণ অনুসারে জিবরাইল ও ফেরেশতা মিকাইল শৈশবে মুহাম্মদের বক্ষ বিদারণ করে কলিজার একটি অংশ বের করে তা জমজম কূপের পানিতে ধুয়ে আবার যথাস্থানে স্থাপন করেছিলেন।[৪]

সংস্কার[সম্পাদনা]

জমজম কুয়া বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়। প্রথম থেকে এটি বালি ও পাথর দিয়ে ঘেরা অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে খলিফা আল মনসুরের সময় ৭৭১ (১৫৪/১৫৫ হিজরি)[৫] সালে এর উপর গম্বুজ এবং মার্বেল টাইলস বসানো হয়। পরবর্তীতে খলিফা আল মাহদি এটি আরো সংস্কার করেন। সর্বশেষ ২০১৭-২০১৮ সালে সৌদি বাদশাহ সংস্কার করেন ।[২] বর্তমানে কুয়া কাবা চত্বরে দেখা যায় না। এটি ভূগর্ভস্থ অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং এখানে থেকে পাম্পের সাহায্যে পানি উত্তোলন করা হয়। মসজিদুল হারামের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করা হয়।

পুনর্নির্মাণ[সম্পাদনা]

বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ জমজমের পূর্ব ও দক্ষিণে পানি পান করানোর জন্য দুটি স্থান নির্মাণ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] দক্ষিণ দিকে ৬টি এবং পূর্বদিকে ৩টি ট্যাপ লাগানো হয়। বর্তমানে কাবা ঘরের ২০ মিটার দূরে অবস্থিত এই কূপটি থেকে পাম্পের সাহায্যে প্রতিদিন ২০ লক্ষাধিক ব্যারেল পানি উত্তলিত হয়। এই কূপের পানি বণ্টনের জন্য ১৪০৩ হিজরিতে সৌদি বাদশাহের এক রাজকীয় ফরমান অনুযায়ী হজ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ইউনিফাইড ‘জামাজেমা দফতর’ গঠিত হয়। এই দফতরে একজন প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্টসহ মোট ১১ জন সদস্য ও ৫ শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাদশাহ আব্দুল্লাহ জমজম পানি কমপ্লেক্সটি ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ৭০০ মিলিয়ন রিয়াল ব্যয়ে মক্কাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা প্রতিদিন ২০০,০০০ বোতল পানি সরবরাহ করতে পারে।[৬]

জমজম পানির খনিজ উপাদান[সম্পাদনা]

জমজম কূপের পানির কোনও রং বা গন্ধ নেই, তবে এর বিশেষ একটি স্বাদ রয়েছে। বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় জমজম কূপের পানি পরীক্ষা করেছে এবং তারা এর পুষ্টি গুণ ও উপাদান সমূহ নির্ণয় করেছে। জমজম পানির উপাদানসমূহ:

খনিজের ঘনীভবন
বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত[৭]
খনিজ ঘনীভবন
mg/L oz/cu in
সোডিয়াম ১৩৩ ৭.৭×১০−৫
ক্যালসিয়াম ৯৬ ৫.৫×১০−৫
ম্যাগনেসিয়াম ৩৮.৮৮ ২.২৪৭×১০−৫
পটাশিয়াম ৪৩.৩ ২.৫০×১০−৫
বাইকার্বোনেট ১৯৫.৪ ০.০০০১১২৯
ক্লোরাইড ১৬৩.৩ ৯.৪৪×১০−৫
ফ্লোরাইড ০.৭২ ৪.২×১০−৭
নাইট্রেট ১২৪.৮ ৭.২১×১০−৫
সালফেট ১২৪.০ ৭.১৭×১০−৫
মোট দ্রবীভূত কঠিন বস্তুর ৮৩৫ ০.০০০৪৮৩

স্বাস্থ্যগত দিক[সম্পাদনা]

সৌদি সরকার জমজমের পানি সংরক্ষণ এবং বিতরণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। প্রতি ঘণ্টায় এ পানির অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সৌদি ভূতাত্ত্বিক জরিপের সভাপতি জুহাইর নাওয়াব জানান যে জমজম কূপ এবং এটির পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। নিয়মিতভাবে জমজম কূপের পানির গুনগতমান পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সৌদি ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন জমজমের অবস্থা নিরীক্ষণ করে। প্রতিদিন পরীক্ষা এবং গবেষণার জন্য পানির তিনটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে কোনোরূপ বিদূষণ ঘটে নি। গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয় এবং ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া হত্যার জন্য অতিবেগুনী রশ্মি প্রয়োগ করা হয়। জমজমের পানি সুরক্ষার জন্য স্টেইনলেস স্টীলের পাইপের মাধ্যমে শীতলীকরণ কেন্দ্রে যায়, অতঃপর গ্র্যান্ড মসজিদে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাভাবিক পানিতে আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা প্রতি লিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম। যদি পানিতে এই মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তাহলে সেই পানি কিডনী ও লিভারের জন্য ক্ষতিকারক এবং ক্যানসারের কারণ হতে পারে। জমজমের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে অনেক কম । মক্কায় নতুন প্রতিষ্ঠিত বাদশাহ আব্দুল্লাহ জমজম পানি বিতরণ কেন্দ্রটি উন্নত সুবিধায় সজ্জিত এবং সেখানে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বোতলজাত করা হয়। জীবাণুমুক্ত করার পর বোতলজাত করতে আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় । বাদশাহর তত্ত্বাবধানে গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয় এবং ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া হত্যার জন্য অতিবেগুনী রশ্মি প্রয়োগ করা হয়। সৌদি আরবের জিওলজিক্যাল সার্ভে-র একটি “জমজম স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার” আছে যারা এই কূপের পানির মান, গভীরতা, অম্লতার মাত্রা এবং তাপমাত্রার দিকে নিয়মিত নজর রাখে। প্রতিদিন ট্যাঙ্কারে করে অন্তত ১২০ টন জমজমের পানি মদিনার মসজিদে নববীতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবহনের সময় সেই পানি যাতে কোনওভাবে দূষিত না-হয়, সেদিকেও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়ে থাকে। ফরাসি পরীক্ষাগারে জমজমের পানির উপর পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, "মূল উৎস থেকে নেওয়া নমুনাসমূহে পরিচালিত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, জমজম পানি পান করার জন্য ভাল। রাষ্ট্রীয়ভাবে জমজম পানি রপ্তানী করা হয় না। সৌদি সরকার জমজমের পানির অবৈধ বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে।"[২][৬]

জমজম পানি বিতর্ক[সম্পাদনা]

২০১১ সালের মে মাসে বিবিসি লন্ডন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, লন্ডনে বাজারজাতকৃত জমজম পানিতে প্রচুর পরিমাণে আর্সেনিক রয়েছে। এই পানি খাওয়া মানুষের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘ দিন এই পানি কেউ পান করলে খুব দ্রুতই সে ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।[৮] কিন্তু সৌদি আরব এটি তীব্রভাবে প্রত্যাখান করেছে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "জমজমের পানি পরীক্ষিত এবং আসল জমজম পানিতে কোনো আর্সেনিক নেই। জমজম পানি পবিত্র শহর মক্কার জমজম কূপ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং এটি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য রপ্তানী করা হয় না। ফ্রান্সের স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষা অনুযায়ী জমজম পানি মানুষের জন্য উপযুক্ত।"[৯] টাওয়ার হ্যামলেটসের পরিবেশ বিষয়ক নেতৃত্বকারী কাউন্সিলার আব্দাল উল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, 'আসল জম-জম পানি যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র, তা শুধুমাত্র সৌদি আরবের একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে উৎসরিত হয়। আর এটি আইনতঃ কোনোভাবেই ওই দেশ থেকে বাইরে বাণিজ্যিকভাবে রফতানী করা সম্ভব নয়।' তিনি আরও বলেন,'তাই দোকানে বিক্রি হওয়া এ-ধরনের পানির উৎসের কোন নিশ্চয়তা নেই।[১০]

জমজমের পানি পানের আদব[সম্পাদনা]

ইসলামের বিধান অনুযায়ী পানি উপবিষ্ট অবস্থায় পান করতে হয়। কিন্তু জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পানের বিধান রয়েছে। একজন মুসলিম জমজমের পানি পান করার সময় কিবলার দিকে মুখ করে দাঁড়াবেন এবং আল্লাহ’র নাম নিয়ে তিন ঢোকে জমজমের পানি পান করবেন।

عن ابن عباس، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم شرب من زمزم وهو قائم ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে জমজম হতে পানি পান করেছেন। [১১] হজ্জে গেলে মানুষ জমজমের পানি সাথে নিয়ে আসে। এটি মুসলমানদের জন্য পবিত্র মনে করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. টেমপ্লেট:Ihadis
  2. জমজমের কুয়ো সংস্কারে হাত দিয়েছে সৌদি আরব--BBC News বাংলা । ৩০ অক্টোবর ২০১৭
  3. "Zamzam Studies and Research Centre"Saudi Geological Survey (আরবি ভাষায়)। Archived from the original on জুন ১৯, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ জুন ২, ২০১৪ 
  4. "Sahih Muslim Book 001, Hadith Number 0314"Hadith Collection 
  5. Walker, John। "Calendar Converter" 
  6. Badea Abu Al-Naja | Arab News | Kingdom rejects BBC claim of Zamzam water Contamination 2011-05-08
  7. Nour Al Zuhair, ও অন্যান্য A comparative study between the chemical composition of potable water and Zamzam water in Saudi Arabia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে. KSU Faculty Sites, সংগৃহীত হবার তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১০
  8. Contaminated 'Zam Zam' holy water from Mecca sold in UK---BBC News | 05 May 2011
  9. 'No arsenic in genuine holy water', Saudis Say---BBC News | 08 May 2011
  10. ukbengali | 'Tower Hamlets warns about Zam Zam water' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ জুন ২০২১ তারিখে
  11. টেমপ্লেট:Ihadis

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  • Careem, S. H. A. "The Miracle of Zamzam"Sunday Observer। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৫, ২০০৫  Provides a brief history of the well and some information on the alleged health benefits of Zamzam water.