ছিন্নমস্তার অভিশাপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ছিন্নমস্তার অভিশাপ – ফেলুদা ফেরত

ছিন্নমস্তার অভিশাপ সত্যজিৎ রায় রচিত ফেলুদা সিরিজের একটি উপন্যাস। ১৯৭৭ সালের প্রেক্ষাপটে এটি রচিত হয়।[১]

কাহিনি[সম্পাদনা]

১৯৭৭ সালের পটভূমিতে রচিত এ কাহিনী। ফেলুদা, তপেশ আর জটায়ু হাজারিবাগে ছুটি কাটাতে যায়, পথে একজন ব্যক্তিকে লিফট দেন তারা। ব্যক্তির পিতা শব্দ-জব্দ প্রিয় মানুষ মহেশ চৌধুরী। তিনি তার কৈলাস নামক বিরাট অট্টালিকায় পরে একদিন আমন্ত্রণ জানান এই তিনজনকে। মহেশবাবু এই তিনজনকে তার জন্মদিন উপলক্ষে এক বনভোজনে রাজরাপ্পার কাছে ছিন্নমস্তার মন্দিরে যাওয়ার জন্য বলেন। সেখানে গিয়ে তিনি ফেলুদাকে বলেন যে মহশেবাবু তার দ্বিতীয় সন্তান বীরেনকে খুব মিস করেন, যে কীনা ১৯ বছর বয়সে প্রথাবিরোধী জীবনযাপনের জন্য ঘর ছেড়েছিল এবং ১০ বছর আগে বাবাকে শেষ চিঠি লেখার পর থেকে কোনো যোগাযোগ নেই। ঘটনাচক্রে মহেশ পাহাড়ের ওপর হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং ভীষণভাবে জখম হন। এর মধ্যে জানা যায়,হাজারিবাগে আসা গ্রেট ম্যাজেস্টিক সার্কাস থেকে সুলতান নামের এক বাঘ পালিয়েছে। সার্কাসে গিয়ে কারান্ডিকার নামের মূল রিংমাস্টারের সাথে পরিচয় হয় তাদের। এদিকে মহেশবাবু মৃত্যুশয্যায় শেষবারের মত ফেলুদার সাথে কথা বলতে চাইলে সাংকেতিক ভাষায় তিনি কিছু বলেন। ফেলুদা তার ডায়েরি আর বীরেনের দেয়া চিঠিগুলো নিয়ে পড়তে থাকে। ফেলুদা আবিষ্কার করে যে পারিবারিক রহস্য লুকিয়ে আছে। ঐদিন রাতে ফেলুদার বাড়িতে আক্রমণ ঘটে। এর পরদিন বাঘ ধরার জন্য সবাই অভিযান চালায়, ঐদিনই রহস্যের যবনিকাপাত ঘটে।[২]

পর্দায়[সম্পাদনা]

২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ফেলুদা ফেরত ওয়েব ধারাবাহিকের প্রথম মৌসুম হিসেবে এটি মুক্তি লাভ করে। কাহিনিটিকে মোট ৬টি পর্বে দেখানো হয়।[২][৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "এক্সক্লুসিভ: ওয়েব সিরিজে 'ফেলুদা'কে? ফাঁস করলেন সৃজিত"আনন্দবাজার পত্রিকা। ১২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  2. "আড্ডাটাইমসে 'ফেলুদা ফেরত'"ইত্তেফাক। ২৫ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "এ বার ফেলুদাকে নিয়ে ওয়েব সিরিজে আসছেন সৃজিত"আনন্দবাজার পত্রিকা। ৫ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯