চিত্রলেখা উদ্যান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রাচীন কালের ভাস্কর্য

চিত্রলেখা উদ্যান (ইংরেজি: Col Park) অসমের তেজপুর নগরের ঐতিহাসিক উদ্যান। পূর্বে এই উদ্যানটির নাম ছিল কল পার্ক ।এই উদ্যানটি বানরাজা ও হরিহর যুদ্ধের কীর্তিচিহ্নে ভরপুর। চিত্রলেখা উদ্যানকে তেজপুরের জাদুঘর বা সংগ্রহালয় বলা যেতে পারে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯০৬ সনে শোনিতপুর জেলার উপায়ুক্ত এচ.ডব্লিউ.জি কল তেজপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাচীন মনোহর ভাস্কর্য পাথর সংগ্রহ করে একটি উদ্যান নির্মাণ করার প্রচেষ্টা করেছিলেন।[১] প্রথম অবস্থায় উদ্যানের জমি জনৈক কালিপদ সেন নামক একজন ব্যক্তির ছিল। ৫০০ টাকার বিনিময়ে তেজপুর পৌরসভা জমিটি ক্রয় করেন ও এখানে খনন করে পাওয়া ঐতিহাসিক ভাস্কর্য শিলা সুসজ্জিত করে উদ্যানের রুপ দেয়। কলের মৃত্যুর পর এফ.ডব্লিউ.টঙে উদ্যানের কার্য সম্পূর্ণ করেন ও কলের স্মৃতিতে উদ্যানটির নাম রাখা হয় কল পার্ক। পরবর্তী সময়ে পার্কটি চিত্রলেখা উদ্যান নামে নামকরণ করা হয়। উদ্যানে থাকা ভাস্কর্য শিলাগুলি বানরাজার সময়ের বলে অনুমান করা হয় ও কিছুসংখ্যক লোক শিলাগুলি সালস্তম্ভ দিনের বলে অনুমান করেন।

চিত্রলেখা উদ্যানে একটি যুদ্ধ বিমান

উদ্যানের বিভিন্ন সামগ্রী[সম্পাদনা]

চিত্রলেখা উদ্যানে ঐতিহাসিক হারুপেশ্বরের রাজধানী রাজকারেঙের শৈলস্তম্ভ, শিলে খোদাই করা আঠপহিয়া পদ্মফুল, দশাবতার মূর্তি ইত্যাদি উদ্যানের শোভাবর্ধন করেছে। উদ্যানে স্থিত প্রাচীন শিলাগুলিতে উষা-অনিরুদ্ধের প্রেম কাহিনী, ঢোল বাদক ও বিহু নাচনি, বিহুগীত পরিবেশন সহ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর খোদাই করে নির্মিত করা আছে। তেজপুরের নালা,খাল,বিল ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা প্রাচীন ভাস্কর্য ও উপায়ুক্তের কার্যালয় নির্মাণের সময় পাওয়া প্রাচীন শিলা ও তেজপুর ডন-বস্কো থেকে পাওয়া শিলা সংগ্রহ করে উদ্যানটিতে রাখা হয়েছে। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য উদ্যানটিতে পুকুর খনন করা হয়েছে ।[২]

চিত্রলেখা উদ্যানের পুকুর

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Chitralekha Udyan - Assam Online Portal"। Online.assam.gov.in। ২০১৩-১০-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-২৬ 
  2. "Chitralekha Udyan, Tezpur"। Mygola.com। ২০১৫-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-২৬