চিকিলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

চিকিলা
Chikila fulleri
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: অ্যাম্ফিবিয়া
বর্গ: জিমনোফিওনা
পরিবার: চিকিলা
গণ: চিকিলা
কামেই এট আল। (অনলাইন, ২০১২)
প্রজাতি: চিকিলা ফুলেরি
(অ্যালকক, ১৯০৪) কামেই এবং সব. ২০১২
প্রতিশব্দ
  • হারপিল ফুলার অ্যালকক, ১৯০৪
  • জিজেনিওফিস ফুলেরি (অ্যালকক, ১৯০৪) টেলর ১৯৬৮

চিকিলা (বৈজ্ঞানিক নাম:Chikila fulleri) লেজহীন, প্রত্যঙ্গহীন উভচর প্রাণী। গোত্রীয় নাম Chikilidae (চিকিলিডি)। প্রাণীটি চিকিলা গণের ফুলেরি প্রজাতির। এটি সিসিলিয়ান পর্বের উভচর প্রাণী। সিসিলিয়ান পর্বের উভচর প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এদের পা বা অন্য কোনো প্রত্যঙ্গ নেই। চিকিলা মাটির নিচে বাস করে।[১][২]

নামকরণ[সম্পাদনা]

ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুতে ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সত্যভামা দাস বিজুর নেতৃত্বে ভারতীয় ও ইউরোপীয় একদল গবেষক প্রায় পাঁচ বছর গবেষণার পর উত্তর ভারতের ২৫০টির মতো স্থানে গবেষণাজরিপ চালিয়ে পা ও লেজহীন উভচর প্রাণীর এক প্রজাতির সন্ধান পান। মেঘালয়ের গারো অঞ্চলের মানুষ প্রাণীটিকে গারো ভাষায় চিকিলা বলে। তাদের ধারণা এটি একধরনের বিষাক্ত সাপ।

অধ্যাপক বিজুর গবেষক দলের সদস্যরা প্রাণীটির অঙ্গসংস্থান ও ডিএনএ বিশ্লেষণ করে দেখতে পান, এটি Herpele ও Gegeneophis থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি গণের প্রত্যঙ্গহীন প্রজাতি। তারা এর নামকরণ করেন গারো শব্দ ‘চিকিলা’ দিয়ে। তাদের রচিত গবেষণা সন্দর্ভটি ব্রিটিশ রয়েল সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত হয়। তারা দাবি করেন, এই প্রজাতির উদ্ভব ডাইনোসরের যুগে এবং এর নিকটতম আত্মীয়রা এখনো আফ্রিকায় বাস করে।[১][২]

আকার[সম্পাদনা]

চিকিলার দৈর্ঘ্য ১১ ইঞ্চি, ব্যাস প্রায় ১ দশমিক ৮ ইঞ্চি, ছোট ছোট দাঁতযুক্ত মুখের দৈর্ঘ্য আধা ইঞ্চির কাছাকাছি হতে পারে। লেজ নেই, পশ্চাদ্ভাগ কেঁচো বা দুমুখো সাপের মতো দেখা যায়।[১][২]

শুককীট পর্যায়[সম্পাদনা]

মা চিকিলা মাটির নিচে বাসা বাঁধে ও ডিম দেয়। ডিমগুলো জড়িয়ে কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকে। দুই-তিন মাসের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয়। অন্যান্য উভচরের মতো এদের কোনো শুককীট পর্যায় নেই। সরাসরি বেরিয়ে আসা চিকিলা আকারে ছোট কিন্তু দেখতে পূর্ণবয়স্ক চিকিলার মতোই।[১][২]

প্রাপ্তিস্থান[সম্পাদনা]

সম্প্রতি ভারতের আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে মাটি খুঁড়ে চিকিলার সন্ধান পাওয়া গেছে। তাছাড়া বাংলাদেশের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানেও চিকিলা পাওয়া গেছে।[১][২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ১৪ কোটি বছর আগের ইতিহাস জানান দেওয়া উভচর ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০৮-২৮ তারিখে,মশিউল আলম, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০২-১০-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  2. ১৪ কোটি বছর আগের ইতিহাস জানান দেওয়া উভচর[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],নিজস্ব সংবাদদাতা, বাংলাখবর ২৪.নেট। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০২-১০-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।