চার্লস ব্রনসন (কয়েদি)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চার্লস ব্রনসন
এই হাল জেলখানাতে ব্রনসন ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় এক লোককে আটকে রেখেছিল
জন্ম
মাইকেল গরডন পিটারসন

(1952-12-06) ৬ ডিসেম্বর ১৯৫২ (বয়স ৭১)
লোটন, বেডফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড
অন্যান্য নামচার্লস আলী আহমেদ
পেশাশ্রমিক, বক্সার
অপরাধীর অবস্থা২১ মে, ২০১০ থেকে এইস এম জেলখানায় বন্দি[১]
দাম্পত্য সঙ্গীআইরেন
ফাতেমা সাইরা রেহমান
সন্তানমাইকেল জনাথন পিটারসন
পিতা-মাতাইরা এবং জো পিটারসন
দণ্ডাদেশের কারণসশস্ত্র ডাকাতি; লোকজনকে আহত করা (২);ইচ্ছাকৃত অহতকরা; অপরাধমূলক ক্ষতি; প্রচন্ডভাবে শারীরিক ক্ষতি করা; মিথ্যা কারাদন্ড (৩); প্রতারনা; হত্যার হুমকি[২]
ফৌজদারি দণ্ডযাবতজীবন কারাদন্ড

চার্লস ব্রনসন (জন্মঃ মাইকেল গরডন পিটারসন, ১৯৫২) একজন ব্রিটিশ কয়েদি যাকে ইংল্যান্ডের মিডিয়া সবচেয়ে দাগী আসামি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।[৩]

তার জন্ম লোটন, বেডফোর্ডশায়ারে কিন্তু ডেইলি মিরর তাদের এক সংবাদে লেখে তার জন্ম এবারেস্টোয়েথ, ওয়ালসে।[৪] ১৯৭৪ সালে ৭ বছরের সাজা হওয়ার আগে সে ছোট খাটো অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। জেলে থাকা অবস্থায় সে তার নাম যেন চারদিকে ছড়িয়ে পরে সে জন্য সে সবসময় অন্য কয়েদি ও জেলের অফিসারদের সাথে সবসময় মারামারি করত। সবচেয়ে বিশৃংখল এই কয়েদিকে ১২০ বার ইংলেন্ডের এক জেল থেকে অন্য জেলে স্থানান্তর করা হয় এবং সে তার জেল জীবনের অধিকাংশ সময় নির্জন কারাগারে কাটিয়েছে।[৫] তার এই উগ্র স্বভাবের জন্য তার সাত বছরের সাজা বাড়িয়ে ১৪ বছর করা হয় এবং সেজন্য তার প্রথম স্ত্রী আইরিন ও তার ছেলে তাকে ছেড়ে চলে যায়। ৩০ অক্টোবর ১৯৮৮ সালে তিনি মুক্তি পান কিন্তু ৬৯ দিন পর তিনি আবার গ্রেপ্তার হন।

মুক্তির পর সে পূর্ব লন্ডনে ভাড়াটে বক্সার হিসেবে জীবন শুরু করেন। তার নিয়োগকর্তা তার নাম নিয়ে সন্তুষ্ঠ ছিলেন না তাই তিনি তার নাম পরিবর্তন করে চার্লস ব্রনসন রাখেন। এর পর তাকে ডাকাতি করার চেষ্টা, অনেক অবৈধ কর্মকাণ্ড করা ও অনেক লোককে অপহরণ করার দায়ে আবার জেলে ফেরত পাঠানো হয়। জেলে থাকা অবস্থায় ২০০১ সালে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত তালাকপ্রাপ্তা ফাতেমা সাইরা রেহমানকে[৬] বিয়ে করে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ও চার্লস আলী অহমেদ নাম ধারণ করেন। ব্রনসন চার বছর পর ফাতেমাকে তালাক দেন[৭] এবং ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেন।

ব্রনসন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে দামী কয়েদি যিনি বই, সাক্ষাৎকার, শিক্ষা এবং চলচ্চিত্রে স্থান পেয়েছেন। তাকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ব্রনসনএ (২০০৮) তার জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। ব্রনসন তার কয়েদি জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে অনেক বই লিখেছেন যা তাকে আরো বিখ্যাত করে তুলে। তার নিজের ভাষায়, “আমি এমনিতে একজন ভালো মানুষ, কিন্তু মাঝে মাঝে আমার মাথা ঠিকমত কাজ করে না এবং খারাপ হয়ে যাই। আমি তখন বুঝতে পারি না ঠিক কি করব”।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "About Charles Bronson"freebronson.co.uk। ১৫ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৩  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  2. "Bronson: 'Gentle boy' to terror inmate"। BBC News। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০০। 
  3. Mina, Denise (১৩ জানুয়ারি ২০০৩)। "Why are women drawn to men behind bars?"The Guardian। London। 
  4. । ১৩ মার্চ ২০০৯ http://www.mirror.co.uk/news/uk-news/charles-bronson-top-10-facts-789093  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  5. Clements, Jo (১০ মার্চ ২০০৯)। "Prison thug Charles Bronson admits 'I'm not ashamed' in message to moviegoers"Daily Mail 
  6. "Attempt to publish Bronson pictures"। BBC News। ২০ জানুয়ারি ২০০৪। 
  7. Dunroe, Irene (১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Your dad's Britain's most violent prisoner"। pickmeupmagazine.co.uk। ১২ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৩ 
  8. Bronson 2000, পৃ. 167