চম্পাবতের বাঘিনী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিকারী ও চম্পাবতের বাঘিনী

চম্পাবতের বাঘিনী উনিশ শতকের এক কিংবদন্তি মানুষখেকো বাঘিনী। বেঙ্গল টাইগার উপপ্রজাতির এ বাঘিনী নেপালভারতের উত্তরখণ্ডে অবস্থিত কুমায়ন জেলার প্রায় ৪৩০ জন মানুষকে হত্যা করেছিল।[১] ১৯০৭ সালে জিম করবেট বাঘিনীটিকে গুলি করে মারেন।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

নেপালে দুইশ'রও ওপর মানুষ হত্যার পর নেপালী সেনাবাহিনী বাঘিনীটিকে তাড়িয়ে ভারতের দিকে নিয়ে আসে। সারদা নদী পাড়ি দিয়ে সে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং কুমায়ন জেলায় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যায়। বাঘিনীটি এতই সাহসী ছিল যে সে তার সব শিকার ধরত দিনের আলোয়, রাতের অন্ধকারে নয়।

১৯০৭ সালে বাঘিনী চম্পাবত নগরে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে হত্যা করে। পরদিন জিম করবেট বাঘিনীটিকে গুলি করে হত্যা করেন। ময়নাতদন্তে বের হয়, বাঘিনীর ডান পাশের উভয় শ্বদন্ত (উপরের ও নিচের) ভাঙা। উপরের শ্বদন্ত অর্ধেক ভাঙা আর নিচেরটি একেবারে গোড়া থেকে ভাঙা। করবেটের মতে, এ শারিরীক অক্ষমতার কারণেই বাঘিনীটি তার স্বাভাবিক শিকার ধরতে পারত না। মানুষ খুন করতে বাধ্য হত।

চম্পাবত শহরে একটি সিমেন্টের নির্দেশকের সাহায্যে যে জায়গাটিতে বাঘিনীকে হত্যা করা হয়েছিল তা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যে জায়গাটিতে করবেট বাঘিনীটি মেরেছিলেন তা ঐ সিমেন্টের নির্দেশক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাঘিনী ও তার মৃত্যুর ঘটনা করবেট তার কুমায়ুনের মানুষখেকো (Man-Eaters of Kumaon, 1944) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Tiger and leopard attacks in Nepal BBC News (11July 2012)
  2. Stephen Mills (২০০৪)। Tiger। Firefly Books। পৃষ্ঠা 99আইএসবিএন 978-1-55297-949-5ওসিএলসি 57209158 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]