গোসাইরহাট উপজেলা
গোসাইরহাট | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে গোসাইরহাট উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪′৩৬″ উত্তর ৯০°২৫′৫৪″ পূর্ব / ২৩.০৭৬৬৭° উত্তর ৯০.৪৩১৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | শরীয়তপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৯৬.৭২ বর্গকিমি (৭৫.৯৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,৫৭,৬৬৫ |
• জনঘনত্ব | ৮০০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮০৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৮৬ ৩৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
গোসাইরহাট বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
এ উপজেলার উত্তরে ডামুড্যা উপজেলা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলা ও হিজলা উপজেলা, পূর্বে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা, পশ্চিমে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা।
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
এখানে বাংলাদেশের রপ্তানি কারক পাট চিনিক কি্ষক পিঁয়াজ আলু ধান শরীষা মষ্যচাসের খামার মাটির জিনিস তৈরি অনেকে ব্যবসা বাণিজ্য করে।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
গোসাইরহাট উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
পৌরসভা:
ইউনিয়ন সমূহ:
- সামন্তসার ইউনিয়ন
- নাগেরপাড়া ইউনিয়ন
- ইদিলপুর ইউনিয়ন
- গোসাইরহাট ইউনিয়ন
- কোদালপুর ইউনিয়ন
- নলমুড়ি ইউনিয়ন
- আলাওলপুর ইউনিয়ন
- কুচাইপট্টি ইউনিয়ন
ঐতিহাসিক স্থান[সম্পাদনা]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- সর্দার নগেন্দ্রশেখর চক্রবর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।[২]
- মৃত ডাঃ নিবারণ চন্দ্র বসু, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গোসাইরহাট উপজেলা শাখা।
তৎকালীন মুসলিম লীগের শাসনামলে এই উপজেলাতে আওয়ামী কে প্রতিষ্ঠা করা ছিলো, তার জন্য অনেক বিশাল ব্যাপার।
তিনি একজন স্বনামধন্য জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন।
পাকিস্তান সরকারের আমলে তিনি নাম করা একজন ডাক্তার ছিলেন। তিনি স্বনামধন্য ইদিলপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং পরে সেই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করে।
- "যোগেশচন্দ্র ঘোষ"[[১]] (১৮৮৭ - এপ্রিল ৪, ১৯৭১) ছিলেন প্রখ্যাত আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বিশারদ এবং শিক্ষাবিদ।
১৮৮৭ সালে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় যোগেশচন্দ্র ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০২ সালে ঢাকার কে এল জুবিলী স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। ১৯০৪ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করেন। এর পর ১৯০৬ সালে কুচবিহার কলেজ থেকে বি.এ. এবং ১৯০৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নশাস্ত্রে এম.এ. পাশ করেন। ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ভাগলপুর কলেজে ও ১৯১২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে রসায়নশাস্ত্র বিষয়ের অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৭-১৯৪৮ পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৮ সালে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। যোগেশচন্দ্র লন্ডন কেমিক্যাল সোসাইটি-র ফেলো (১৯১১-১৯৭১) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেমিক্যাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাধনা ঔষধালয়ের সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Population and Housing Census 2011: Bangladesh at a Glance" (পিডিএফ)। Bangladesh Bureau of Statistics। ২৮ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৪।
- ↑ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২২১-২২২।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |