খোদা বক্স মৃধা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খোদা বক্স মৃধা
জন্ম(১৯৪৫-০১-২২)২২ জানুয়ারি ১৯৪৫
মৃত্যু৩০ মার্চ ২০১০(2010-03-30) (বয়স ৬৫)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
শিক্ষাএমএ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
মাতৃশিক্ষায়তনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাক্রীড়া ধারাভাষ্যকার, কলেজ শিক্ষক

খোদা বক্স মৃধা (জানুয়ারি ২২, ১৯৪৫ – মার্চ ৩০, ২০১০) বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার, খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ টেলিভিশনবেতারে এ বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠান সম্প্রচারে ধারাভাষ্য দিয়েছেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

খোদা বক্স ২২ জানুয়ারি ১৯৪৫ সালে রাজশাহীর হেতেমখাঁয় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহীর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬১ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হন ১৯৬৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

শিক্ষকতা[সম্পাদনা]

১৯৬৮ সালে সিলেট এমসি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনা দিয়ে শিক্ষকতা পেশার শুরু। এরপর তিনি বিভিন্ন সময় রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী কলেজ এবং রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালের মে মাসে তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ২০০৩ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[২]

ক্রীড়াঙ্গনে অবদান[সম্পাদনা]

খোদা বক্স খেলোয়াড় হিসেবে রাজশাহী জেলা ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। রাজশাহীতে ১৯৬০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন সানরাইজ স্পোর্টিং ক্লাব নামের একটি ক্রীড়া সংগঠন।

১৯৭২ সালে এক অডিশনের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ বেতারে ধারাভাষ্যকার হিসেবে সুযোগ পান।[৩] ধারাভাষ্যে তার অভিষেক হয় সে বছরই কলকাতা ইস্ট বেঙ্গল বনাম রাজশাহী জেলা ফুটবল দলের একটি প্রদর্শনী ম্যাচে, যা রাজশাহী বেতারে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।[২] এর ছয় বছর পর তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ধারাভাষ্যকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।[৩] এরপর থেকে মৃত্যুর পূর্বে প্রায় ৩৮ বছর ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালের ২১ মার্চ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচে তিনি যে ধারাভাষ্য দেন, সেটিই ছিল তার সর্বশেষ ধারাভাষ্য।[১]

এছাড়া তিনি রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্স ও রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ছিলেন; কাজ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী সদস্য হিসেবেও।[১]

অভিনয়[সম্পাদনা]

২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত খিজির হায়াৎ খান পরিচালিত জাগো চলচ্চিত্রে তিনি ধারাভাষ্যকার হিসেবে অভিনয় করেন।[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

খোদা বক্স মৃধা ৩০শে মার্চ, ২০১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগ থেকেই তিনি টাইফয়েডনিউমোনিয়াতে ভুগছিলেন।[২] তাকে হেতেমখাঁ কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সারা সুলতানা (২০১২)। "মৃধা, খোদাবক্স"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২১ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৯-০৪-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-৩১ 
  3. "Khoda Baksh no more"ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ মার্চ ২০১০। ৩১ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২১