ক্যালরিমিতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ছবিতে উপস্থিত বিশ্বের প্রথম ক্যালোরিমিতির প্রতিকৃতি যা ১৭৮২-৮৩ সালের শীতকালে অঁতোয়ান লাভোয়াজিয়ে এবং পিয়ের সিমোঁ লাপ্লাস বিচিত্র রাসায়নিক বিক্রিয়ার তাপের মান নির্ণয়ে ব্যবহৃত করেন। এই গণনাসমূহ জোসেফ ব্ল্যাকের পূর্বেই আবিষ্কৃত লীনতাপের ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এই পরীক্ষাগুলো তাপ-রসায়নের মূল ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করে।

ক্যালরিমিতি পদার্থ বিজ্ঞানের একটি উপশাখা যার বিষয় তাপ পরিমাপ। তাপ পরিমাপের অন্যতম একক ক্যালরি; এবং এরই ভিত্তিতে তাপ বিজ্ঞানের এই উপশাখার নামাকরণ করা হয়েছে ক্যালরিমিতি। স্কটিশ চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী জোসেফ ব্ল্যাক, যিনি তাপ এবং তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করেন, তাঁকেই ক্যালোরিমিতির জনক হিসাবে ধরা হয়। [১]

মূলনীতি[সম্পাদনা]

ভিন্ন তাপমাত্রার একাধিক বস্তুকে তাপীয় সংস্পর্শে আনা হলে তাদের মধ্যে তাপের আদান-প্রদান ঘটে। বেশি তাপমাত্রার বস্তুগুলো তাপ হারায় এবং কম তাপমাত্রার বস্তুগুলো তাপ গ্রহণ করে। তাপের এ গ্রহণ বা বর্জন তাপের পরিমাণের উপর নির্ভর করে না, এদের তুলনামূলক তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। বস্তুগুলোর তাপমাত্রা সমান না হওয়া পর্যন্ত তাপ উচ্চ তাপমাত্রার বস্তু থেকে নিম্ন তাপমাত্রার বস্তুতে প্রবাহিত হয়। শক্তির সংরক্ষণশীলতার সূত্র অনুসারে বেশি তাপমাত্রার বস্তুগুলো যে তাপ হারায় কম তাপমাত্রার বস্তুগুলো সেই তাপ গ্রহণ করে। এ থেকে আমরা তাপ পরিমাপের তথা ক্যালরিমিতির মূলনীতি পাই -

যদি একাধিক বস্তুর মধ্যে তাদের বাহিরের অন্য কোথাও থেকে তাপ এদের ভেতরে না আসে কিংবা এদের ভিতর থেকে কোন তাপ বাহিরে না যায়, তাদের মধ্যে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া না ঘটে, তাহলে শক্তির সংরক্ষণশীলতার সূত্র হতে আমরা পাই, গৃহীত তাপ = বর্জিত তাপ।

ক্যালরিমিতির আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

  1. তাপধারণ ক্ষমতা
  2. আপেক্ষিক তাপ
  3. তাপের পরিমাণ
  4. ক্যালরিমিটার
  5. আপেক্ষিক সুপ্ত তাপ


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Laidler, Keith, J. (১৯৯৩)। The World of Physical Chemistryবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-855919-4