কুশিয়ারা নদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুশিয়ারা নদী
কুশিয়ারা নদী, বালাগঞ্জ, সিলেট
কুশিয়ারা নদী, বালাগঞ্জ, সিলেট
কুশিয়ারা নদী, বালাগঞ্জ, সিলেট
দেশসমূহ বাংলাদেশ, ভারত
রাজ্য আসাম
অঞ্চলসমূহ সিলেট বিভাগ, ঢাকা বিভাগ
জেলাসমূহ সিলেট জেলা, মৌলভীবাজার জেলা, সুনামগঞ্জ জেলা, হবিগঞ্জ জেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা
উৎস বরাক নদী
মোহনা মেঘনা নদী
দৈর্ঘ্য ২৮৮ কিলোমিটার (১৭৯ মাইল)

কুশিয়ারা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী[১] বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক কুশিয়ারা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ১৭।[২]

প্রবাহ[সম্পাদনা]

কুশিয়ারা নদীর উৎস হচ্ছে বরাক বা বরবক্র নদী। বরাক নদীর উৎপত্তি স্থল মণিপুরের উত্তরে আঙ্গামীনাগা পাহাড়। উক্ত পাহাড় হতে বরাক নদী উৎপন্ন হয়ে মণিপুর হয়ে কাছাড় জেলা ভেদ করে বদরপুর দিয়ে সিলেটে প্রবেশ করেছে। সিলেটের সীমান্তস্থিত অমলসিদ স্থান থেকে দুই শাখায় দুই ভিন্ন নামে প্রবাহিত হচ্ছে। যার একটি হচ্ছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নদী সুরমা অপরটির নাম কুশিয়ারা। কুশিয়ারা নদীর দৈর্ঘ্য ১২০ মাইল। এটি উৎপত্তিস্থল থেকে দহ্মিণ দিগে পশ্চিমাভিমুখে সিলেট কাছাড় সীমান্ত হয়ে বহে মেঘনা নদীর উৎস স্থলে পতিত হয়েছে।[৩][৪]

গতিপথ[সম্পাদনা]

প্রাচীন কালের স্বাধীন রাজ্য মণিপুরের আঙ্গামীনাগা পাহাড়ের ৩০০ কি.মি. উঁচু স্থান থেকে বরাক নদীর উত্পত্তি। উত্পত্তিস্থান হতে ৪৯১ কি.মি. অতিক্রম করে সিলেটের সীমান্তে এসে বরাক নদী দুই শাখায় সুরমা ও কুশিয়ারা নামে ৩০০ কি.মি. প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদী গঠন করে। উল্লেখিত নদী দুটো সিলেট বিভাগের বেষ্টনী হিসেবে দর্তব্য। সিলেটের সীমান্ত হতে উত্তরে প্রবাহিত স্রোতধারাকে সুরমা নদী এবং দহ্মিণে প্রবাহিত স্রোতধারাকে কুশিয়ারা নামে অবহিত করা হয়। বরাক হতে কুশিয়ারার বিভক্তির স্থান হতে বদরপুর হয়ে অমলসিদ নামক স্থানে এসেছে। অমলসিদ হতে বাহাদুরপুরের নিকট দিয়ে কুশিয়ারা নদী নবীগঞ্জের ভেতর প্রবেশ করে দিরাই হয়ে আজমিরীগঞ্জে বহে দিলালপুরের নিকটে মেঘনা নদীর সৃষ্টি করে। কুশিয়ারা নদীর আবার ছোট ছোট বিভিন্ন শাখায় সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবাহিত আছে। যা কোথায় কোথায় বিবিয়ানা, ধলেশ্বরী খোয়াই ও কালনী নামে অবহিত হচ্ছে।[৩][৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আন্তঃসীমান্ত_নদী"বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪ 
  2. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৮০-১৮১। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  3. শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ, দ্বিতীয় ভাগ, প্রথম খণ্ড,দ্বিতীয় অধ্যায়, অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ২০০৪।
  4. সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত: সিলেট বিভাগের ঐতিহাসিক নদী নিবন্ধ, মোহাম্মদ মুমিনুল হক, প্রকাশক- শেখ ফারুক আহমদ,প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০০১; পৃষ্ঠা ১১৭।