কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ
logo csbmc
অবস্থান
কোটবাড়ী রোড, শাকতলা, কুমিল্লা, ডাককোড ৩৫০০, বাংলাদেশ
তথ্য
প্রতিষ্ঠাকাল২০০৮
প্রতিষ্ঠাতাবাংলাদেশ সরকার
কর্তৃপক্ষমাউশি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়
ইআইআইএন১৩২০৯২ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
অধ্যক্ষমোহাম্মদ আবুল হোসেন [১]
কর্মকর্তা১০
শিক্ষকমণ্ডলী২৫
শ্রেণী৬-১২
লিঙ্গসহশিক্ষা কার্যক্রম
বয়সসীমা১১-১৮
শিক্ষার্থী সংখ্যা১২০০
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসশাকতলা, কুমিল্লা
শিক্ষায়তন৩ একর (১২,০০০ মি)
ক্যাম্পাসের ধরনউপশহর
রং     সাদা,      কালো
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল
ডাকনামCSBGMC
শিক্ষা বোর্ডকুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড
ওয়েবসাইটhttp://csbmc.edu.bd/

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত সহশিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয় এবং এখানে আবাসিক সুবিধাও রয়েছে। কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ী রোডের শাকতলায় এটি অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারিকরণ করা হয়।[২] [৩]

সাম্প্রতিক সময়ে স্থাপিত হলেও বর্তমানে এই বিদ্যালয়টি কুমিল্লা জেলার একটি অন্যতম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।[৪] লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ৬ষ্ঠ, ৯ম এবং ১১শ শ্রেণীতে ছাত্র ভর্তি করা হয়ে থাকে। বিদ্যালয়টির বর্তমান শিক্ষক সংখ্যা ৪৩ জন এবং প্রায় ৮০০ জন শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ২০০৮ সালে প্রায় ৩ একর জমির উপর কুমিল্লায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ স্থাপিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবের নেতৃত্বে একটি স্বায়ত্বশাসিত পরিচালনা পর্ষদ বর্তমানে বিদ্যালয়টির পরিচালনার দায়িত্বে আছে। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ হতে একাদশ শ্রেণীতে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ভর্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়।[৫]

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ জাতীয় শিক্ষাক্রমের অধীনে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বাংলা মাধ্যমে শিক্ষাদান করে থাকে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজে প্রায় ১৫,০০০ বই সমৃদ্ধ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাঠাগার এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, কম্পিউটার, জীববিজ্ঞান পরীক্ষাগার রয়েছে।

শিক্ষাক্রম[সম্পাদনা]

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে থাকে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্য বিষয়সমূহের সাথে সাথে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক। জাতীয় শিক্ষাক্রমের নিয়মানুযায়ী ৯ম এবং ১১শ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান/বাণিজ্য/মানবিক এই তিনটি বিভাগের যেকোন একটি নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক এবং সে অনুযায়ী নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা নিজ পছন্দমত বিভাগ নির্বাচন করে থাকে।

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ

সহ-শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজে বিভিন্ন ধরনের সহ-শিক্ষা কার্যক্রম দেখা যায়।এর মধ্যে রয়েছে স্কাউটিং, গার্লস গাইড,রোভার, রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রম। এছাড়াও সঙ্গীত শিক্ষা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক দিক শিক্ষা দেওয়া হয়।খেলাধুলার জন্য একটি আলাদা সময় বরাদ্দ থাকে। প্রতি বছরই এখানে বার্ষিক ক্রিয়া ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজে প্রতি বছরই বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।প্রতি বছরই এ প্রতিষ্ঠানে আন্তঃ হাউজ ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।এছাড়াও এ প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর বিসিবি কর্তৃক আয়োজিত স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।এছাড়াও এ প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক আয়োজিত আন্তঃ কলেজ ভলিবল ও কাবাডি প্রতিযোগিতায় প্রতি বছর অংশগ্রহণ করে।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

২০১৮ ও ২০১৯ সালে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন করে।[৬] 2023 সালে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেব স্বীকৃতি পান ড.রাজিবুল ইসলাম। (প্রভাষক. ইতিহাস)

পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল[সম্পাদনা]

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আসছে।

জেএসসি[সম্পাদনা]

ক্রম বছর মোট পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ জিপিএ-৫ পাশের হার
০১ ২০১১ ৭৯ ৭৯ ১৬ ১০০%
০২ ২০১২ ৮১ ৮১ ১৯ ১০০%
০৩ ২০১৩ ৮১ ৮১ ৬২ ১০০%
০৪ ২০১৪ ৮৩ ৮৩ ৫১ ১০০%
০৫ ২০১৫ ৮০ ৮০ ৪২ ১০০%
০৬ ২০১৬ ৮৬ ৮৬ ৫২ ১০০%
০৭ ২০১৭ ৮৬ ৮৬ ৪৫ ১০০%
০৮ ২০১৮ ৮৪ ৮৪ ১০ ১০০%
০৯ ২০১৯ ৮৯ ৮৯ ২৬ ১০০%

এসএসসি[সম্পাদনা]

ক্রম বছর মোট পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ জিপিএ-৫ পাশের হার
০১ ২০১২ ৩৭ ৩৭ ১৭ ১০০%
০২ ২০১৩ ৫১ ৫১ ৩৪ ১০০%
০৩ ২০১৪ ৮৯ ৮৯ ৫৩ ১০০%
০৪ ২০১৫ ৮৯ ৮৯ ৪২ ১০০%
০৫ ২০১৬ ৮৬ ৮৬ ৪৫ ১০০%
০৬ ২০১৭ ৮৩ ৮৩ ৪১ ১০০%
০৭ ২০১৮ ৮২ ৮২ ৫০ ১০০%
০৮ ২০১৯ ১০৭ ১০৭ ৭২ ১০০%
০৯ ২০২০ ১৪৮ ১৪৭ ৯৬ ৯৯%
১০ ২০২১ ১৬৭ ১৬৭ ৯৪ ১০০%

এইচএসসি[সম্পাদনা]

ক্রম বছর মোট পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ জিপিএ-৫ পাশের হার
০১ ২০১০ ৭৬ ৭৬ ০৬ ১০০%
০২ ২০১১ ১২১ ১২১ ১৮ ১০০%
০৩ ২০১২ ১৪৭ ১৪৭ ৩২ ১০০%
০৪ ২০১৩ ১৭৪ ১৭৪ ৪৪ ১০০%
০৫ ২০১৪ ১৭৭ ১৭৭ ৪৫ ১০০%
০৬ ২০১৫ ১৭৩ ১৬৮ ৩২ ৯৬%
০৭ ২০১৬ ২৫১ ২৪৫ ৪৭ ৯৮%
০৮ ২০১৭ ২৪২ ২৪০ ০৮ ৯৯%
০৯ ২০১৮ ২১৩ ২১১ ০৯ ৯৯%
১০ ২০১৯ ২৯৪ ২৮৮ ২৭ ৯৮%
১১ ২০২০ ৩১১ ৩১১ ১৯৩ ১০০%
১২ ২০২১ ৩৪০ ৩৪০ ১৯৯ ১০০%

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]