কিষেনজি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও
জন্ম২৬ নভেম্বর, ১৯৫৪
পেড্ডাপল্লী, করিমনগর, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত
মৃত্যু২৪ নভেম্বর ২০১১(2011-11-24) (বয়স ৫৬)
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামকিষেনজি, বিমল, প্রহ্লাদ, প্রদীপ, মুরলী, রামজি, সূর্য, জয়ন্ত, শ্রীধর ও কোটান্না।
প্রতিষ্ঠানভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)
পরিচিতির কারণA cadre, Politburo and Central Military Commission member, and reportedly, the in charge[১] of People's Liberation Guerrilla Army (PLGA) of CPI (Maoist)
দাম্পত্য সঙ্গীসুজাতা[২]

মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও (২৬ নভেম্বর, ১৯৫৪ – ২৪ নভেম্বর, ২০১১[৩]), সাধারণভাবে পরিচিত তার কিষেনজি (হিন্দি উচ্চারণ: [kɪʃndʒiː]) ছদ্মনামে। তিনি ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)র একজন পলিটব্যুরো[৪] এবং পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের[৫] সদস্য, এবং ছিলেন পার্টির সামরিক নেতা।[২] ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) ভারতের একটি অতি-বামপন্থী[৬] সাম্যবাদী দল। এই দলটিকে ভারত সরকার "সন্ত্রাসবাদী সংগঠন", হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে এবং এটির সকল "গঠন ফ্রন্ট সংগঠন"গুলোকে বেআইনি কার্যকলাপ (নিবারণ) অ্যাক্ট (UAPA) অনুযায়ী নিষিদ্ধ করা হয়েছে।[৭] তাকে "ভারতে মাওবাদের মুখ"রূপে দেখা হয়।[৮]

জ্যোতি বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে মত[সম্পাদনা]

২০১০ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রচারমাধ্যমের কাছে ৮ পৃষ্ঠার লিখিত বিবৃতি ফ্যাক্স করেন এবং সেই লেখায় তিনি জ্যোতি বসুকে পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গল অধ্যুষিত জেলাগুলোতে “অনুন্নয়ন” এবং তার “ফলশ্রুতিতে অশান্তি”র জন্য দায়ী করেন।[৯] এমনকি তিনি বসু বাবুর সাম্যবাদ সম্পর্কিত বোধ নিয়েও প্রশ্ন করেন। তিনি লেখেন,

"প্রধান অপরাধীটি হলেন জ্যোতি বসু। তিনি সারা দেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের এক নঞর্থক আদর্শ। আর এজন্যই বুর্জোয়া আর জমিদারদের কাছে তিনি এত প্রিয়। ... ... এজন্যই দেশের পুরো শাসকগোষ্ঠী তার অসুস্থতায় তার সাথে সাক্ষাত করতে হুমড়ি খায়।"[৯]

তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের নীতিকে ত্রুটিপূর্ণ এবং পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকায় ধারাবাহিক অশান্তির জন্য;[৯] এবং তাকে ২০০৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে উৎখাতের পরিকল্পনা করেন।[৫]

ইসলামি উত্থান সম্পর্কে মত[সম্পাদনা]

কিষেনজি বলেন, "ইসলামি উত্থানকে বিরোধিতা করা উচিত নয় যেহেতু এটি প্রকৃতিগতভাবে সাধারণত মার্কিন-বিরোধী এবং সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী। আমরা, অতএব, চাই এটি বাড়ুক"।[১০]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

লালগড়ের বুড়িশোল জংগলে ২৪ নভেম্বর ২০১১ তার মৃত্যু হয় পুলিশের সাথে যুদ্ধে এমনটা প্রচারিত হয় সরকারী তরফে। মাওবাদী দল এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কর্মীরা মনে করেন তাকে আগে ধরে নিয়ে পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করে। মৃতদেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। কবি ভারভারা রাও মনে করেন তাকে গ্রেপ্তার করে বীভৎস অত্যাচার চালানো হয় ও মিথ্যা সংঘর্ষের কথা প্রচার করা হয়। তাকে নিয়ে শিল্পী কবীর সুমন গান লেখেন "কোটেশ্বর রাও রাও রাও/ শাহাদাত বৃথা যায় না একটাও"[১১]। পুলিশ কর্তা মানোজ বর্মা, যার নেতৃত্বে কিষেনজি মারা যান, তাকে প্রসংসা করে রাজ্য সরকার।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Kishenji alive, reveal arrested Maoist leaders"Zee News। Kolkata: Essel Group। ৫ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৩ 
  2. Flood, Derek Henry (২০১০)। "Kishenji:A Profile of the Leader of the Indian Maoist Insurgency" (পিডিএফ)Militant Leadership Monitor। The Jamestown Foundation। 1 (4): 8–11। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১০ 
  3. "Maoist leader Kishenji killed in encounter: Reports"। Hindustan Times। ২৬ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১১ 
  4. "Mamata has killed Kishenji: Varavara Rao"Zee News। Midnapore: Essel Group। ২৬ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩ 
  5. HT Correspondent (২৪ নভেম্বর ২০১১)। "Who was Kishenji"Hindustan Times। Kolkata: HT Media Ltd। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৩ 
  6. Bhalla, Abhishek (২ জুলাই ২০১৩)। "Maoists at the gate: Intelligence reports reveal ultra-left groups have infiltrated Delhi's labour unions to incite violent protest"Daily Mail and General Trust। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৩ 
  7. LIST OF ORGANISATIONS DECLARED AS TERRORIST ORGANISATIONS UNDER THE UNLAWFUL ACTIVITIES (PREVENTION) ACT, 1967 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে — Ministry of Home Affairs. Retrieved 13 June 2013
  8. "Who is Kishenji?"NDTV। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৩ 
  9. "Kishenji slams Basu"Hindustan Times। Kolkata: HT Media Ltd। ১০ জানুয়ারি ২০১০। ৩১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩ 
  10. Anand, Vinod (২০০৯)। "Naxalite ideology, strategy and tactics" (পিডিএফ)Studies & Comments 9 – Security in South Asia: Conventional and Unconventional Factors of Destabilization। Munich: Hanns Seidel Foundation। 9: 19–32। ১৮ মে ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৩ 
  11. "কোটেশ্বর রাও"। ৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]