এরিখ মারিয়া রেমার্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এরিখ মারিয়া রেমার্ক
জন্মএরিখ পল রেমার্ক
২২ জুন, ১৮৯৮
অস্‌নাব্রুক, জার্মানি
মৃত্যু২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০
লোকার্নো, সুইজারল্যান্ড
পেশাঔপন্যাসিক
জাতীয়তাজার্মান
নাগরিকত্বযুক্তরাষ্ট্র (১৯৪৭-১৯৭০)
উল্লেখযোগ্য রচনাঅল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, থ্রি কমরেডস, আর্চ অফ ট্রায়াম্ফ
দাম্পত্যসঙ্গীইল্‌সা ইউটা যাম্বোনা (বি. ১৯২৫; বিচ্ছেদ. ১৯৩০)
ইল্‌সা ইউটা যাম্বোনা (বি. ১৯৩৮; বিচ্ছেদ. ১৯৫৭)
পলেত গডার্ড (বি. ১৯৫৮)

এরিখ মারিয়া রেমার্ক (ইংরেজি: Erich Maria Remarque[১]; জন্মনাম: এরিখ পল রেমার্ক; জার্মান: [ˈeːʁɪç maˈʁiːaː ʁeˈmaɐ̯k]; ২২ জুন ১৮৯৮ – ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭০) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর একজন জার্মান ঔপন্যাসিকপ্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিজের জার্মান সামরিক অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত তার অনবদ্য উপন্যাস অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট  (আক্ষরিক বাংলা শিরোনাম: পশ্চিমা রণাঙ্গণে নিশ্চুপ সব; ১৯২৮) ছিল আন্তর্জাতিক সর্বাধিক-বিক্রিত একটি উপন্যাস, যা একটি নতুন সাহিত্যধারার সৃষ্টি করে, এবং পরবর্তীকালে অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয় (১৯৩০)।

বাল্যজীবন[সম্পাদনা]

২২ জুন ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির অস্‌নাব্রুক শহরের একটি কর্মজীবী রোমান ক্যাথোলিক পরিবারে পিটার ফ্রাঞ্জ রেমার্ক (জন্ম: ১৪ জুন ১৮৬৭, কাইজারওয়ার্থ) এবং আনা মারিয়া (কুমারী নাম: স্টাল্কনেশ্‌ট; জন্ম: ২১ নভেম্বর ১৮৭১, কাটার্নবার্গ[২]) এর ঘরে জন্ম হয় এরিক মারিয়া রেমার্কের। পিটার-আনা দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে রেমার্ক ছিলেন তৃতীয়। বড় বোন আর্না, ভাই থিওডোর আর্থার (পাঁচ বছর বয়সে যার মৃত্যু হয়) এবং ছোট বোন এলফ্রিদেকে (জন্ম ১৯০৩) নিয়ে ছিল রেমার্কের পরিবার।[৩]

রেমার্কের শৈশবের ও আজীবনের বন্ধু হান্স-গার্ড রাবে’র গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃতপক্ষে, রেমার্কের ফরাসি পূর্বপুরুষ ছিল – তার প্রপিতামহ জোহান অ্যাডাম রেমার্ক, যার জন্ম হয়েছিল ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে, তিনি এসেছিলেন আখেন এর একটি ফরাসি পরিবার থেকে।[৪]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মাত্র ১৮ বছর বয়সে রেমার্ক জার্মান রাজকীয় সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে তালিকাভুক্ত হন। ১২ জুন ১৯১৭ তারিখে পশ্চিমা রণক্ষেত্রের ২য় কোম্পানির রিজার্ভ হিসেবে, তাকে এম-লংলে’র (Hem-Lenglet) ২য় রিজার্ভ রক্ষী বিভাগের যুদ্ধ ঘাঁটিতে স্থানান্তর করা হয়। ২৬ জুন ১৯১৭ তারিখে তিনি পঞ্চদশ রিজার্ভ পদাতিক বাহিনী, ২য় কোম্পানি, প্রকৌশল প্লাটুন বেথে নিযুক্ত হন, এবং টোরহাউট (Torhout) ও হাউথুল্‌স্ট (Houthulst) এর মধ্যকার পরিখায় থেকে যুদ্ধ করেন। ৩১ জুলাই ১৯১৭ তারিখে তিনি বাম পা, ডান বাহু এবং ঘাড়ে শ্র্যাপ্‌নেল এর খোল বিদ্ধ হয়ে আহত হন, এবং চিকিৎসাজনিত কারণে যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করে জার্মানিতে প্রত্যাবর্তনের পর তাকে সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়; সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি লাভের আগ পর্যন্ত যুদ্ধের অবশিষ্ট সময়কালে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

যুদ্ধের পর তিনি তার শিক্ষক প্রশিক্ষণ চালিয়ে যান এবং ১ আগস্ট ১৯১৯ হতে তৎকালীন লিঙ্গান (Lingen) কাউন্টির অন্তর্ভুক্ত লোনা (Lohne) শহরের (বর্তমানে বেনথাইম কাউন্টিভুক্ত) একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। মে ১৯২০ থেকে তিনি তদানীন্তন হুমলিং কাউন্টি, বর্তমানে এম্‌সল্যান্ড কাউন্টির ক্লাইন বার্সেনে কাজ করেন, এবং অগাস্ট ১৯২০ থেকে নাহ্‌নাতে (Nahne), যা ১৯৭২ থেকে অস্‌নাব্রুকের অংশ। ২০ নভেম্বর ১৯২০ সালে তিনি শিক্ষকতা থেকে অনুপস্থিতির ছুটির জন্য আবেদন করেন। জীবনের এ পর্যায়ে রেমার্ক বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন, যার মধ্যে গ্রন্থাগারিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, এবং সম্পাদক পেশা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার প্রথম বেতনভুক্ত লেখকের চাকরি ছিল কন্টিনেন্টাল রাবার কোম্পানি নামক একটি জার্মান টায়ার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের একজন কৌশলি লেখক (technical writer) হিসেবে।[৫]

লেখক জীবন[সম্পাদনা]

দাভোসে রেমার্ক, ১৯২৯

১৬ বছর বয়সে রেমার্ক প্রথম লেখালেখির প্রচেষ্টা শুরু করেন। তার মধ্যে ছিল প্রবন্ধ, কবিতা, এবং একটি উপন্যাসের গোড়ার কিছু অংশ যা পরবর্তীকালে তিনি শেষ করেন এবং ১৯২০ সালে Die Traumbude (ইংরেজি: দ্য ড্রিম রুম) নামে প্রকাশ করেন।

যুদ্ধ থেকে ফেরার পর, যুদ্ধের নৃশংসতা আর সেই সাথে নিজের মায়ের মৃত্যু তার মানসিক পীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিজের মায়ের স্মরণে পরবর্তীকালে পেশাদার সাহিত্যজীবনে তিনি নিজের মধ্যনাম “পল” থেকে বদলে “মারিয়া” ব্যবহার করতে শুরু করেন।[৩] যখন তিনি অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট উপন্যাসটি প্রকাশ করেন, তিনি নিজের পদবীর বানান Remark থেকে বদলে আগের বানান Remarque ব্যবহার করেন– যাতে করে তার পূর্ববর্তী উপন্যাস Die Traumbude এর পরিচয় থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারেন।[৬]

১৯২৭ সালে তিনি প্রকাশ করেন তার উপন্যাস Station am Horizont (ইংরেজি: স্টেশন অ্যাট দ্য হরাইজন)। এটি ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্ট ইম বিল্ড (Sport im Bild)– এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়, যেখানে রেমার্ক চাকরি করতেন (এটা গ্রন্থ আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে)।

Im Westen nichts Neues (ইংরেজি: অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট) রচিত হয়েছিল ১৯২৭ সালে। প্রথমদিকে রেমার্ক এর জন্য কোন প্রকাশক খুঁজে পাচ্ছিলেন না। [২] এতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান সৈন্যদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা ছিল। প্রকাশের পরপরই এটি আন্তর্জাতিকভাবে সর্বাধিক-বিক্রিত এবং বিংশ শতাব্দীর সাহিত্যকর্মের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হিসেবে মর্যাদা পায়। এই গ্রন্থটি প্রবীণ সৈনিকদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখালেখির একটি নতুন ধারা, এবং যুদ্ধের ব্যাপক বৈচিত্র্যপূর্ণ সব স্মৃতিকথার বাণিজ্যিক প্রকাশনাকে উৎসাহিত করে। জার্মানিসহ অন্যান্য দেশ যারা জার্মান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশগুলোতে এটি মঞ্চ ও চলচ্চিত্রে যুদ্ধের নাটকীয় উপস্থাপনাকেও উৎসাহিত করে।

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট এর সাফল্যের পিঠে সওয়ার রেমার্কের কাছ থেকে আরো বেশ কিছু অনুরূপ ধরনের রচনা পাওয়া যায়। সেগুলো সরল, আবেগঘন ভাষায় যুদ্ধকালীন এবং যুদ্ধোত্তর সময়ে জার্মানির বর্ণনা করেছে। তার প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম যে বিপুল অর্থ-সম্পদ তাকে এনে দিয়েছিল তার বদৌলতে ১৯৩১ সালে, Der Weg zurück (ইংরেজি: দ্য রোড ব্যাক) বইটি শেষ করার পর তিনি পোর্তো রঙ্কো, সুইজারল্যান্ডে একটি বাগানবাড়ি ক্রয় করেন। তার পরিকল্পনা ছিল তিনি সেখানে এবং ফ্রান্সে – উভয় জায়গাতেই থাকবেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

১৯৩৩ এর মার্চে অ্যাডল্‌ফ হিটলার জার্মানির সরকারি ক্ষমতা দখলের পর, তিনি অবাধ ক্ষমতার অধিকারী হন, এবং প্রকারান্তরে স্বৈরতন্ত্রই কায়েম করেন। ১০ মে, ১৯৩৩ তারিখে নাৎসি প্রচারণা মন্ত্রী ইয়োসেফ গোবেল্‌স (Joseph Goebbels) এর উদ্যোগে, রেমার্কের রচনাবলিকে প্রকাশ্যে “দেশাত্মবোধহীন” বলে ঘোষণা করা হয় এবং জার্মানিতে নিষিদ্ধ করা হয়। সকল গ্রন্থাগার থেকে তার বই অপসারণ করা হয় এবং দেশের যে কোন স্থানে সেগুলোর বিক্রয় বা প্রকাশনার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

জার্মানী দ্রুতই স্বৈরতান্ত্রিক সমাজের দিকে ধাবিত হচ্ছিল, যার ফলে জনগোষ্ঠীর যে সব অংশের ওপর নতুন সরকার নাখোশ ছিল তারা গণ-গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছিল। তখন রেমার্ক জার্মানি ছেড়ে তার সুইজারল্যান্ডের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। নাৎসিরা রেমার্কের ফরাসি বংশধারা ও ক্যাথোলিক ধর্মবিশ্বাসকেও প্রকাশ্যে আক্রমণ করতো। তারা রেমার্কের অনুপস্থিতিতে তার লেখা নিয়ে ক্রমাগত বিষোদগার করতো; তাদের দাবি ছিল, যে লোক নিজের নামের বানান জার্মান "Remark" থেকে ফরাসি "Remarque"– এ বদলে ফেলতে পারে, সে কখনো সত্যিকারের জার্মান হতে পারে না। নাৎসিরা আরো মিথ্যা দাবি করেছিল যে, রেমার্ককে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধের ময়দানে দেখা যায়নি। ১৯৩৮ সালে রেমার্কের জার্মান নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। ১৯৩৯ সালে প্রাক্তন স্ত্রীর জার্মানিতে প্রত্যাবাসন ঠেকাতে রেমার্ক তাকে পুনর্বিবাহ করেন। ইউরোপে ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে তারা পোর্তো রঙ্কো, সুইজারল্যান্ড ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।[৭] ১৯৪৭ সালে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব (Naturalized Citizenship) লাভ করেন।[৮]

রেমার্ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মান অভিজ্ঞতার আলোকে তার লেখালেখি অব্যাহত রাখেন। তার পরবর্তী উপন্যাস, থ্রি কমরেডস (Drei Kameraden) এর পটভূমি ছিল ভাইমার প্রজাতন্ত্রের (Weimar Republic) সময়কালে ১৯২৩ সালের অধি-মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে দশকের শেষ অব্দি সময় নিয়ে। তার চতুর্থ উপন্যাস, ফ্লোটসাম (জার্মান শিরোনাম Liebe deinen Nächsten বা Love Thy Neighbour), প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ সালে কলিয়ার’স পত্রিকায়, ইংরেজিতে অনূদিত ধারাবাহিক সংস্করণরূপে। ১৯৪১ সালে ইংরেজি ও জার্মান– উভয় ভাষায় এটি বই আকারে প্রকাশের আগে, তিনি আরও বছরখানেক ব্যয় করেন এর পরিমার্জনার কাজে। তার পরবর্তী সাহিত্যকর্ম, আর্চ অফ ট্রায়াম্ফ উপন্যাসটি প্রথমে ইংরেজি ভাষায় ১৯৪৫ সালে, এবং পরবর্তী বছর জার্মান ভাষায় Arc de Triomphe শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এটি তার আরেকটি তাৎক্ষণিক সর্বাধিক-বিক্রিত রচনা, যার বিশ্বব্যাপী বিক্রয়ের সংখ্যা ছিল প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ। তার শেষ উপন্যাস ছিল শ্যাডোজ ইন প্যারাডাইসনিউ ইয়র্ক শহরের ৩২০ পূর্ব–৫৭তম স্ট্রিটে থাকাকালে তিনি এটা লিখেছিলেন। অ্যাপার্টমেন্ট ভবনটি তার “উপন্যাসে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছে”।[৯]

১৯৪৩ সালে নাৎসিরা তার কনিষ্ঠ বোন এলফ্রিদে শোয়েৎজকে (Elfriede Scholz) গ্রেপ্তার করে, যিনি তার স্বামী ও দুই সন্তানের সাথে জার্মানিতে থেকে গিয়েছিলেন। কুখ্যাত "Volksgerichtshof" (হিটলারের সংবিধান বহির্ভূত “জনতার আদালত”)– এ বিচারের পর, তাকে “মনোবল ক্ষুণ্ণ” করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় কেননা তিনি বলেছিলেন যে, তার বিবেচনায় যুদ্ধে তারা পরাজিত। আদালতের প্রেসিডেন্ট রোলান্ড ফ্রাইস্‌লার (Roland Freisler) ঘোষণা দিয়েছিলেন, “Ihr Bruder ist uns leider entwischt—Sie aber werden uns nicht entwischen” (“তোমার ভাই দুঃখজনকভাবে আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে – যা হোক, তুমি আমাদের হাত থেকে রেহাই পাবে না”)। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৩ তারিখে শোয়েৎজ এর শিরশ্ছেদ করা হয়।[১০]

নির্বাসিত অবস্থায়, যুদ্ধ শেষ হবার আগ পর্যন্ত রেমার্ক নিজের বোন এলফ্রিদে’র নিয়তি সম্পর্কে অজ্ঞাতই ছিলেন। তার ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস স্পার্ক অফ লাইফ (Der Funke Leben) তিনি বোনের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। এই উৎসর্গ বইটির জার্মান সংস্করণ থেকে মুছে ফেলা হয়, জনশ্রুতি অনুসারে এর কারণ হচ্ছে কিছু কিছু জার্মান তখনও রেমার্ককে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই দেখতো।[১১]

পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৬১ সালে রেমার্কের ছবি

১৯৪৮ সালে রেমার্ক সুইজারল্যান্ডে ফিরে যান, অবশিষ্ট জীবনকাল তিনি সেখানেই অতিবাহিত করেন। আর্চ অফ ট্রায়াম্ফ ও তার পরবর্তী কাজ স্পার্ক অফ লাইফ (Der Funke Leben), যা ১৯৫২ সালে ইংরেজিজার্মান ভাষায় প্রকাশিত হয়, তার মাঝে প্রায় সাত বছরের একটা ব্যবধান ছিল – রেমার্কের জন্য যেটা একটা দীর্ঘ নীরবতা। স্পার্ক অফ লাইফ নিয়ে কাজ করার সময়কালে তিনি Zeit zu leben und Zeit zu sterben (ইংরেজি: টাইম টু লিভ অ্যান্ড টাইম টু ডাই) শীর্ষক আরেকটি উপন্যাস নিয়েও কাজ করছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৫৪ সালে সেটার ইংরেজি অনূদিত সংস্করণটি প্রথমে প্রকাশিত হয় এ টাইম টু লাভ অ্যান্ড এ টাইম টু ডাই শিরোনামে, যদিও শিরোনামটি হুবহু ভাষান্তরিত ছিল না। ১৯৫৮ সালে জার্মানিতে রেমার্কের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে পরিচালক ডাগলাস সার্ক (Douglas Sirk) এ টাইম টু লাভ অ্যান্ড এ টাইম টু ডাই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। এই চলচ্চিত্রে অধ্যাপকের একটি চরিত্রে রেমার্ককে অতিথি শিল্পী হিসেবে দেখা যায়।[১২]

১৯৫৫ সালে, বার্লিনের রাইশের দপ্তরের (Reichskanzlei) বাংকারে হিটলারের জীবনের চূড়ান্ত দিনগুলি নিয়ে রচিত অস্ট্রিয়ান চলচ্চিত্র দ্য লাস্ট অ্যাক্ট (Der letzte Akt), যা নির্মিত হয়েছিল মাইকেল মুসমান্নো রচিত টেন ডেইজ টু ডাই (১৯৫০) বইটির ওপর ভিত্তি করে, তার চিত্রনাট্য রচনা করেন রেমার্ক। ১৯৫৬ সালে, রেমার্ক ফুল সার্কেল (Die letzte Station) শীর্ষক একটি মঞ্চনাটক রচনা করেন, যেটা জার্মানি এবং ব্রডওয়ে- উভয় স্থানে মঞ্চস্থ হয়েছিল। এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে। ১৯৬১ সালে বই আকারে প্রকাশের পূর্বে ১৯৫৯ সালে, হ্যাভেন হ্যাজ নো ফেভারিট্‌স উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় (বরোওড লাইফ শিরোনামে), এবং পরবর্তীকালে এর চলচ্চিত্রায়ণ ঘটে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ববি ডিয়ারফিল্ড চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে। রেমার্কের শেষ করা সর্বশেষ উপন্যাস দ্য নাইট ইন লিসবন (Die Nacht von Lissabon) প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালে। উপন্যাসটি জার্মানিতে ৯ লক্ষ কপির মত বিক্রি হয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে সুইজারল্যান্ডের লোকার্নোতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৭২ বছর বয়সে রেমার্ক মৃত্যুবরণ করেন।[১৩] তার মরদেহ রঙ্কো, টিচিনো, সুইজারল্যান্ড এর রঙ্কো সমাধিস্থানে সমাহিত করা হয়।[১৪] রেমার্কের স্ত্রী, পলেত গডার্ড, ১৯৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং স্বামীর কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়। তিনি নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউরোপীয় গবেষণার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের তহবিল হিসেবে ২ কোটি মার্কিন ডলার (US$20 million) দান করে যান, রেমার্কের সম্মানার্থে যার নামকরণ করা হয়।[১৫]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

পোর্তো রঙ্কোতে রেমার্ক ও পলেত গডার্ড (১৯৬১)

রেমার্কের প্রথম বিয়ে ছিল অভিনেত্রী ইল্‌সা ইউটা যাম্বোনা’র (Ilse Jutta Zambona) সাথে ১৯২৫ সালে।[১৬]

এই বিবাহকাল ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এবং উভয় তরফ থেকেই অবিশ্বস্ত। ১৯৩০ সালে রেমার্ক ও যাম্বোনার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে, কিন্তু ১৯৩৩ সালে তারা একসাথে সুইজারল্যান্ডে পালিয়ে যান।[১৭] ১৯৩৮ সালে, যাম্বোনার জার্মানিতে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন ঠেকাতে তারা পুনর্বিবাহ করেন, এবং ১৯৩৯ সালে তারা দেশান্তরী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান যেখানে ১৯৪৭ সালে তারা নাগরিকত্ব লাভ করেন।[১৮] ২০ মে ১৯৫৭ তারিখে তারা পুনরায় বিবাহবিচ্ছেদ করেন, এবার চিরতরের মতো। ইল্‌সা রেমার্ক ২৫ জুন ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

১৯৩০ এর দশকে রেমার্কের সাথে অস্ট্রিয়ান অভিনেত্রী হেডি লামার, ডলোরেস দেল রিও[১৯] এবং মার্লিন দিত্রিশের[২০] সম্পর্ক ছিল। দিত্রিশের সাথে প্রণয়ের সূচনা ঘটে ১৯৩৭ এর সেপ্টেম্বরে যখন ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষ্যে ভেনিসে থাকাকালে লিডোতে তাদের পরিচয় ঘটে এবং এই সম্পর্ক অন্তত ১৯৪০ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল, যা মূলত চিঠি, তারবার্তা এবং টেলিফোনের মাধ্যমেই বহাল ছিল। তাদের বিনিময়কৃত নির্বাচিত কিছু চিঠি ২০০৩ সালে "Sag Mir, Dass Du Mich Liebst" (টেল মি দ্যাট ইউ লাভ মি) শীর্ষক বইয়ে[২১][২২] এবং পরে ২০১১ সালে পুমা নাটকের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।[২৩]

১৯৫৮ সালে রেমার্ক অভিনেত্রী পলেত গডার্ডের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

জার্মানির বার্লিন শহরের কাইজারডাম ব্যুলেভার্ডে এরিখ মারিয়া রেমার্ক এর স্মরণে বসানো স্মৃতিফলক
এরিখ মারিয়া রেমার্ক এর স্মরণে জার্মানির বার্লিনের উইটেলবাখার্‌শট্রাস ৫ এ ২২ জুন ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে উন্মোচিত স্মৃতিফলক

রেমার্ক ইনস্টিটিউট এর প্রথম পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক টোনি জাট[২৪] রেমার্কের কাগজপত্র নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেল্‌স গ্রন্থাগারে (Fales Library) রক্ষিত আছে।[২৫] নভেম্বর ২০১০ এ, এরিক মারিয়া রেমার্ক ও পলেত গডার্ড এর বাগানবাড়িটিকে প্রায় অবধারিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ৬২ লক্ষ সুইস ফ্রাঁ (৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার) এর তহবিল গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল কাসা মন্তে তাবর কে একটি যাদুঘর ও আবাসিক-শিল্পী কার্যক্রমের কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা।[২৬]

সাহিত্যকর্মের তালিকা[সম্পাদনা]

Im Westen nichts Neues (অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট; ১৯২৯) এর মূল জার্মান সংস্করণ

উপন্যাস ও অন্যান্য রচনাবলি[সম্পাদনা]

উপন্যাস
মূল শিরোনাম প্রকাশকাল ইংরেজি সংস্করণের শিরোনাম
Die Traumbude. Ein Künstlerroman ১৯২০ The Dream Room (দ্য ড্রিম রুম)
Game ১৯২৪ (রচনা);

১৯৯৮ (প্রকাশ)

Game (গেইম)
Station am Horizont ১৯২৮ Station at the Horizon (স্টেশন অ্যাট দ্য হরাইজন)
Im Westen nichts Neues ১৯২৯ All Quiet on the Western Front (অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট)
Der Weg zurück ১৯৩১ The Road Back (দ্য রোড ব্যাক)
Drei Kameraden ১৯৩৬ Three Comrades (থ্রি কমরেডস; ১৯৩৭)
Liebe deinen Nächsten ১৯৩৯ Flotsam (ফ্লোটসাম; ১৯৪১)
Arc de Triomphe ১৯৪৫ Arch of Triumph (আর্চ অফ ট্রায়াম্ফ)
Der Funke Leben ১৯৫২ Spark of Life (স্পার্ক অফ লাইফ)
Zeit zu leben und Zeit zu sterben ১৯৫৪ A Time to Love and A Time to Die (এ টাইম টু লাভ অ্যান্ড এ টাইম টু ডাই)
Der schwarze Obelisk ১৯৫৬ The Black Obelisk (দ্য ব্ল্যাক অবেলিস্ক; ১৯৫৭)
Der Himmel kennt keine Günstlinge

(ধারাবাহিক প্রকাশ Geborgtes Leben শিরোনামে)

১৯৬১ Heaven Has No Favorites (হ্যাভেন হ্যাজ নো ফেভারিট্‌স)
Die Nacht von Lissabon ১৯৬২ The Night in Lisbon (দ্য নাইট ইন লিসবন; ১৯৬৪)
Das gelobte Land ১৯৭০ The Promised Land (দ্য প্রমিস্‌ড ল্যান্ড)
Schatten im Paradies ১৯৭১ Shadows in Paradise (শ্যাডোজ ইন প্যারাডাইস)
অন্যান্য সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যকর্মের ধরণ মূল শিরোনাম প্রকাশকাল ইংরেজি সংস্করণের শিরোনাম
ছোট গল্প সংকলন Der Feind ১৯৩১ The Enemy (দ্য এনিমি; ১৯৩০-৩১)
চিত্রনাট্য Der letzte Ak ১৯৫৫ The Last Act (দ্য লাস্ট অ্যাক্ট)
নাটক Die letzte Station ১৯৫৬ Full Circle (ফুল সার্কেল; ১৯৭৪)
নাটক Die Heimkehr des Enoch J. Jones ১৯৮৮ The Return of Enoch J. Jones (দ্য রিটার্ন অফ ইনোখ জে. জোন্স)
সাক্ষাতকার ও প্রবন্ধসমগ্র Ein militanter Pazifist ১৯৯৪ A Militant Pacifist (এ মিলিট্যান্ট প্যাসিফিস্ট)

রেমার্কের রচনা অবলম্বনে চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

(১৯৩৭) The Road Back, পরিচালক: জেমস হোয়েল, রচনা: আর.সি. শেরিফ এবং চার্লস কেনিয়ন
(১৯৩৮) Three Comrades, পরিচালক: ফ্রাঙ্ক বোর্জাগ
(১৯৪১) So Ends Our Night (FLOTSAM অবলম্বনে), পরিচালক: জন ক্রমওয়েল, অভিনয়ে: ফ্রেডরিক মার্চ, মার্গারেট সুলিভান, ফ্রান্সেস দি, গ্লেন ফোর্ড।
(১৯৪৮) ARC DE TRIOMPHE, পরিচালক: লুই মাইলস্টোন, অভিনয়ে: ইনগ্রিড বার্জম্যান, চার্লস বয়ার, চার্লস লাফটন।
(১৯৫৯) A Time to Love and a Time to Die (ZEIT ZU LEBEN UND ZEIT ZU STERBEN অবলম্বনে), পরিচালক: ডগলাস সির্ক, অভিনয়ে: জন গেভিন, লিলো পুলভার, কেনান উইন, এরিক মারিয়া রেমার্ক।
(১৯৭৭) Bobby Deerfield (DER HIMMEL KENNT KEINE GÜNSTLINGE অবলম্বনে) পরিচালক: সিডনি পোলাক।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ইংরেজি: /rəˈmɑːrk/;
  2. Robertson, William। "Erich Remarque"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০০৯ 
  3. "Erich Maria Remarque Biography" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২০ 
  4. Landová, Jolana: Exil, Krieg und Flucht in Frankreich zwischen 1933 und 1941, dargestellt an ausgewählten Werken deutscher Schriftsteller, Charles University in Prague, 2009, p. 46.
  5. "Exactly as it happened... (the story of an encounter in Ticino with Remarque and the coach-built Lancia Dilambda, which following All Quiet on the Western Front, he purchased in 1931 and retained till the late 1960s)"। Motor। খণ্ড 3506। ৩০ আগস্ট ১৯৬৯। পৃষ্ঠা 26–30। 
  6. Afterword by Brian Murdoch, translator of 1996 English edition of All Quiet on the Western Front। London: Vintage Books। ১৯৯৬। পৃষ্ঠা 201। আইএসবিএন 978-0-09-953281-1 
  7. "Finding Aid for Erich Maria Remarque Papers, 1938–1973", Department of Special Collections and Archives, State University of New York-Albany. 2009; accessed 31 July 2012.
  8. Schneider, Thomas (১৯৯১)। Erich Maria Remarque: Ein Chronist des 20. Jahrhunderts, Eine Biographie in Bildern und Dokumenten। Germany: Rasch Verlag Bramsche। পৃষ্ঠা 94–95। 
  9. Ullmann, Michaela। "Research Guides: Exiled German-speaking intellectuals in Southern California: Erich Maria Remarque"libguides.usc.edu 
  10. "Elfriede Scholz Obituary" (German ভাষায়)। Osnabrück Cultural Website। ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০০৯ 
  11. Sauer, Patrick (১৬ জুন ২০১৫)। "The Most Loved and Hated Novel About World War I"Smithsonian.com। Smithsonian Institution। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৫ 
  12. "Erich Maria Remarque"IMDb। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২০ 
  13. Dictionary of Literary Biography, Volume 56: German Fiction Writers, 1914–1945. A Bruccoli Clark Layman Book. Edited by James Hardin, University of South Carolina. The Gale Group, 1987. pp. 222–41
  14. The New York Times
  15. Lorch, Donatella. "Paulette Goddard Left N.Y.U. $20 Million", New York Times, 18 May 1990; accessed 29 July 2012.
  16. Liukkonen, Petri। "Erich Maria Remarque"Books and Writers। Finland: Kuusankoski Public Library। ১ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  17. Taylor, Marvin J. The life and writings of Erich Maria Remarque, New York: Fales Library, New York University, 2011; accessed 29 July 2012.
  18. Bloom, Harold (২০০১)। "Chronology"। Modern Critical Interpretations: Erich Maria Remarque's All Quiet on the Western Front। Philadelphia: Chelsea House Publishers। পৃষ্ঠা 157। 
  19. Latins in Hollywood: Dolores del Río, latinasdeayer.blogspot.mx; accessed 24 August 2017.
  20. Connolly, Kate. "Marlene and the wall", The Guardian, 18 April 2002.
  21. Fuld, Werner & Thomas F. Schneider (eds). "Dass Du Mich Liebst: Erich Maria Remarque — Marlene Dietrich Zeugnisse einer Leidenschaft ("Tell Me That You Love Me: Erich Maria Remarque-Marlene Dietrich. Evidence of a Passion). Koln: Kiepenheuer & Witsch, 2003.
  22. Germany, SPIEGEL ONLINE, Hamburg। "Marlene Dietrich und Remarque: "Madonna meines Blutes" - SPIEGEL ONLINE — Kultur"SPIEGEL ONLINE 
  23. Jones, Kenneth. "Marlene Dietrich is Focus of Puma, a NJ Rep World Premiere Starting Feb. 24." ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে, Playbill.com, 24 February 2011; accessed 29 July 2012.
  24. "About Us", Remarque Institute. New York University; accessed 29 July 2012.
  25. Taylor, Marvin J. "Introduction", The life and writings of Erich Maria Remarque. New York: Fales Library, New York University, 2011; accessed 29 July 2012.
  26. swissinfo.ch, Gerhard Lob। "Remarque-Villa im Tessin droht der Abbruch"। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২০